গোরক্ষায় গণপিটুনি ঠেকাবে কে! যুক্তি হরিয়ানার CM-র https://ift.tt/EA57o4T - MAS News bengali

গোরক্ষায় গণপিটুনি ঠেকাবে কে! যুক্তি হরিয়ানার CM-র https://ift.tt/EA57o4T

এই সময়, নয়াদিল্লি ও বাসন্তী: হরিয়ানায় কাজ করতে গিয়ে গোরক্ষকদের গণপিটুনিতে প্রাণ হারিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর বাসিন্দা সাবির মল্লিক (২৬)। শুক্রবারই তাঁর দেহ এসে পৌঁছেছে বাসন্তী থানার বল্লারটোপ গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে। গণপিটুনির সেই ঘটনা নিয়ে শনিবার মুখ খুললেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নবাব সিং সাইনি। তাঁর দাবি, ‘হরিয়ানায় গোরক্ষা আইন খুব কড়া। গোরক্ষার সঙ্গে মানুষের ভাবাবেগ জড়িত, ফলে গ্রামবাসীরা গোরক্ষার তাগিদে কাউকে মারলে তাঁদের কে থামাবে!’ তবে খুনের ঘটনায় শনিবারই পাঁচ জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে দুই নাবালককেও। রাতেই মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।পুলিশ সূত্রে খবর, বছর পাঁচেক ধরে স্ত্রী শাকিলা ও তিন বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে হরিয়ানার চারখি দাদরি জেলার বালদা বাজার সংলগ্ন এলাকায় ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করতেন সাবির। সেখানেই বছর দশেক ধরে রয়েছেন তাঁর শ্বশুর নুর ইসলাম সর্দার, শাশুড়ি আকলিমা সর্দার ও শ্যালক সুজাউদ্দিন সর্দার ও তাঁর পরিবার। প্লাস্টিকের কাগজ, বোতল কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন হতদরিদ্র সাবির। গত ২৭ অগস্ট, মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে ভাঙাচোরা জিনিসপত্র বিক্রির নাম করে একটি দোকানে ডেকে পাঠান অভিযুক্ত অভিষেক, মোহিত, রবিন্দর, কমলজিৎ এবং সাহিল। সেখানেই সাবিরকে পিটিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। দীর্ঘক্ষণ সাবির বাড়িতে না ফেরায় তাঁর শ্যালক সুজাউদ্দিন ও শ্বশুর নুর ইসলাম খুঁজতে বেরোলে তাঁদেরও ঘিরে ফেলে গোরক্ষা কমিটির লোকজন। পুলিশ রাস্তা থেকে তাঁদের উদ্ধার করে। পরে বিকেলে সাবিরকে এক কিলোমিটার দূরের ভান্ডুয়া গ্রামের একটি নালার পাশ থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে সন্ধ্যার পর তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এর পরই প্রাণ বাঁচাতে সাবিরের মৃতদেহ নিয়ে পঞ্চাশ হাজার টাকার বিনিময়ে অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে শুক্রবার বাসন্তীর বল্লারটোপ গ্রামের মাঝেরপাড়ায় ফিরে আসে পরিবারটি। রাতেই সাবিরের দেহ কবর দেওয়া হয়। সুজাউদ্দিন বলেন, ‘গোরক্ষা কমিটির লোকজনই আমার ভগ্নিপতিকে পিটিয়ে খুন করেছে। যখন আমরা ওখানকার থানায় ছিলাম তখন সেখানে শুনেছি অসমের দু’জনকেও একই ভাবে মারা হয়েছে। আমরা প্রাণ হাতে করে ভগ্নিপতির মৃতদেহ ও পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাসন্তীর বাড়িতে ফিরতে পেরেছি।’ তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ফোন করে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন। আমার বিধবা বোন ও ছোট্ট ভাগ্নির জন্য সরকারি সাহায্য প্রার্থনা করেছি।’ তবে গোমাংস খাওয়ার জন্য পিটিয়ে খুন, নাকি ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতা ছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এর মধ্যে শনিবার বলেন, ‘গণপিটুনির ঘটনা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। কিন্তু হরিয়ানার মানুষের কাছে গোরু খুবই পবিত্র। গোরক্ষায় হরিয়ানা বিধানসভায় কড়া আইনও আনা হয়েছে। সেখানে কেউ গোমাংস খেয়েছে বা নিয়ে যাচ্ছে, এমন খবর এলে গ্রামবাসীরা খেপে ওঠেন। তখন তাঁদের কে থামাবে?’শনিবারই মৃতের বাড়িতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নীলিমা মিস্ত্রি, বাসন্তীর তৃণমূল বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল ও বাসন্তী ব্লকের বিডিও সঞ্জীব সরকার। আজ, রবিবার সকালে পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের প্রধান সামিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সাবিরের বাড়ি যাবে বলে জানা গিয়েছে।


from Bengali News, বাংলা নিউজ, বাংলায় সর্বশেষ খবর, Live Bengali News, Bangla News, Ajker Bengali Khabar - Eisamay https://ift.tt/p5ZNfvl
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads