১৭ কেজির ‘গারফিল্ড’-এর কঠোর ডায়েট, ওয়াটার ট্রেডমিলে! https://ift.tt/veJgEd5 - MAS News bengali

১৭ কেজির ‘গারফিল্ড’-এর কঠোর ডায়েট, ওয়াটার ট্রেডমিলে! https://ift.tt/veJgEd5

মস্কো: পার্ম শহরের একটি হাসপাতালের বেসমেন্টে তার বাস। আদরও কিছু কম নয়। দিব্যি খাচ্ছে আর নাদুস-নুদুস হচ্ছে। খুব পছন্দের খাবার ব্রেডক্রাম্বস (পাউরুটির গুঁড়ো), স্যুপ, মাংস আর হুইস্কি! সে সব কিছুই সেই হাসপাতালের মার্জার-প্রেমীরা অকাতরে তাকে খাইয়ে যান। যার ফল ‘ক্রোশিক’-এর ওজন ১৭ কেজি! পশু চিকিৎসকরা মনে করছেন, ও সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে মোটা পাঁচটি বেড়ালের মধ্যে একটি। ক্রোশিক একটি রাশিয়ান নাম, যার ইংরেজি অর্থ — ক্রাম্বস। এই জিঞ্জার ক্যাট-এর খাদ্য প্রেম থেকেই এমন নাম দিয়েছেন হাসপাতালের কর্মীরা। ক্রোশিক কিন্তু ভালোই ছিল। যেমন রশে-বসে থাকা তেমনই আদর। তবে সব কিছুরই তো একটা খারাপ দিক আছে। অতি আদরে ক্রোশিক মোটামুটি গারফিল্ড-এর মতো হতে লাগল। মনে আছে তো জিম ডেভিসের অমর সৃষ্টি সেই মার্জার-শ্রেষ্ঠকে যে কি না ভীষণ অলস, মোটা, আত্মমগ্ন ও নাক-উঁচু কমলা রঙের পার্সিয়ান ক্যাট? সে আবার ছোট্ট থেকেই লাসাগনা (এক ধরনের ইতালীয় ডিশ), পিৎজ়া, কফি খেতে ভীষণ ভালোবাসত। ঘুম ছিল সব থেকে প্রিয়। আর সোমবার, আর যোগব্যায়ামে ছিল ভীষণ আপত্তি! ক্রোশিকও প্রায় সে পথেই এগোচ্ছে। হাত-পা নাড়তে তার মোটেই ইচ্ছা করে না। শুধু খাওয়া আর ঘুম! অবশেষে অবস্থা এমনই দাঁড়াল যে সে আর হাঁটতেই পারে না। উঠে যদি বা দাঁড়াতেও পারে, একটুও চলতে পারে না। থপ করে বসে পড়ে। এ বার উপায়? খবর গেল পার্মের অ্যানিম্যাল কেয়ার সেন্টার মাত্রোস্কিন শেল্টার। ভেটদের তো মাথায় হাত। এমনই চর্বির স্তর সে বানিয়েছে, এমনকী তা ভেদ করে আল্ট্রাসাউন্ডও করতে পারছেন না চিকিৎসকরা। কারণ সেন্সর ফ্যাট লেয়ার অতিক্রম করতে পারছে না! এক চিকিৎসক তো বলেই ফেললেন, যে কোনও পশু-প্রাণীকে ভালোবাসা খুবই ভালো, তা বলে তার জেরে এত খাওয়াতে হবে যে সে আনফিট হয়ে যাবে?দিন দশেক হলো ক্রোশিকের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। গত মাসের ৩০ তারিখ ‘মনস্টার ক্যাট’কে রিহ্যাব সেন্টারে নিয়ে গিয়েছেন চিকিৎসকরা। সে দিন থেকেই শুরু হয়েছে ফিজ়িওথেরাপি ও কড়া ডায়েট। এক সপ্তাহ পর ‘প্রোগ্রেস’ সন্তোষজনক বলে জানিয়েছেন শেল্টারের চিকিৎসকেরা। ক্রোশিকের ওজন সামান্য কিছুটা ঝরেছে। আবার দু’-চার পা করে হাঁটছে সে। এখন নিয়মিত সে ওয়াটার ট্রেডমিলে হাঁটছে। মডার্ন ডে গারফিল্ডের কেয়ারগিভার বলছেন, ‘এই ছোট্ট সদস্যটি পুরো সুস্থ হয়ে যাবে। ওর জন্য আমরা বিশেষ রিহ্যাব প্রোগ্রাম তৈরি করেছি। হাইড্রোথেরাপি ও কাইনেসিওথেরাপি (শক্তি বাড়ানোর জন্য বিশেষ ম্যাসাজ ও মুভমেন্ট) দেওয়া হচ্ছে সপ্তাহে ৩-৪ দিন করে।’ ক্রোশিককে তার মালিক ওই হাসপাতালের দোরে ফেলে দিয়ে চলে গিয়েছিলেন। তখন থেকে সে সেখানেই আদর-যত্নে ছিল। কিন্তু বাধ সাধল ভোজনরসিক স্বভাবটাই। আর তাতেই এখন প্রিয় সব খাবার ছোঁয়া মানা। ক্রোশিক বেশ বুঝেছে ফিটনেস ফিরে পাওয়াটা জরুরি। তাই সে খুব একটা আপত্তি করছে না। তবে আলসেমিটা এখনও যায়নি। তাই চোখ সরালেই ওয়াটার ট্রেডমিলে ফাঁকি, ডায়েটের মধ্যে ‘চিট ডে’-র সুযোগে থাকে সে। চিকিৎসকরা বলছেন, ‘এ তো মানুষও করে! আমাদের গাবলু-গুবলু আদুরে বেড়াল ওইটা একটু নকল করে আর কী!’


from Bengali News, বাংলা নিউজ, বাংলায় সর্বশেষ খবর, Live Bengali News, Bangla News, Ajker Bengali Khabar - Eisamay https://ift.tt/2gZkc90
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads