সেন্ট মার্টিনের জন্যই ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা? কেন এই দ্বীপে মার্কিন নজর? https://ift.tt/t5MARwq - MAS News bengali

সেন্ট মার্টিনের জন্যই ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা? কেন এই দ্বীপে মার্কিন নজর? https://ift.tt/t5MARwq

চেয়েছিল আমেরিকা! রাজি হননি হাসিনা! আর তাই মার্কিন রোষানলে পড়ল ভারতের পড়শি রাজ্য? আচমকাই খবরের শিরোনামে এই সেন্ট মার্টিন দ্বীপ। কোথায় রয়েছে এই এলাকা? কেন এই দ্বীপের উপর নজর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের? দেশ ছাড়ার পর রবিবার প্রকাশ্যে এসেছে শেখ হাসিনার প্রথম প্রতিক্রিয়া। আর তাতে বাংলাদেশের পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রীর দাবি, বাংলাদেশ অধীনস্থ ছোট্ট সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ঘাঁটি তৈরি করতে চেয়েছিল আমেরিকা। কিন্তু, রাজি হননি তিনি। সেই রাগেই তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র আঁটে মার্কিন মুলুক। সহযোগী মারফত বার্তা পাঠিয়ে বলেন, 'মৃত্যুমিছিল রুখতে আমি পদত্যাগ করেছি। যদি আমি আমেরিকার দাবি মেনে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের সার্বভৌমত্ব ওদের হাতে সমর্পণ করতাম, তবে হয়তো ক্ষমতাচ্যুত হতে হতো না।

সেন্ট মার্টিন দ্বীপ কোথায়?

বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় নয় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি ছোট্ট দ্বীপ সেন্ট মার্টিন। বাংলাদেশের দক্ষিণ প্রায় শেষ প্রান্তে এই দ্বীপ মায়ানমারেরও নিকটে। মাত্র নয় কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১২ কিলোমিটার চওড়া এই দ্বীপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা। বাসিন্দা মোটে ৩ হাজার ৭০০ জন। ন'টি গ্রাম রয়েছে এই দ্বীপে। মূলত কৃষি, পর্টন, নারকেল ও মাছ বিক্রি করে এখানকার বাসিন্দারা জীবীকা নির্বাহ করেন। মূল বাংলাদেশ এবং মায়ানমার থেকে সেখানে দ্রব্য আমদানি করা হয়।

এই দ্বীপে কেন নজর আমেরিকার?

আওয়ামি লিগের সমর্থকদের দাবি, সেন্ট মার্টিন দ্বীপটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে বিমানঘাঁটি তৈরি হলে কিংবা নৌবহ তৈরি হলে গোটা দক্ষিণ এশিয়ার জলভাবে নজরদারি চালানো সম্ভব হবে। দ্রুত ভারত মহাসাগরের আশপাশে যে কোনও এলাকায় পৌঁছনো যাবে। দ্বীপটি এয়ারস্ট্রিপের জন্যও আদর্শ। বহুদিন ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নজর রয়েছে এই সেন্ট মার্টিন দ্বীপের উপর। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যে কোনও দেশের কাছে এই ধরণের স্ট্র্যাটেজিক পজিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশ সেন্ট মার্টিন দেশের বাণিজ্যিক তাৎপর্যও রয়েছে।উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা এর আগেও বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেছিলেন। বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের কিছু অংশ নিয়ে পূর্ব তিমুরের মতো খ্রিস্টান দেশ তৈরির ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেছিলেন, একজন শেতাঙ্গ ব্যক্তি তাঁকে এই দ্বীপ নিয়ে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যদি ওই ব্যক্তিকে তিনি বাংলাদেশের এই দ্বীপে বিমানঘাঁটি তৈরির অনুমতি দেন তবে বিনা বাধায় এই বছরের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামি লিগ জিতে যাবে। যদিও হাসিনা সে সময় সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নাম নেননি। তিনি বলেছিলেন, 'প্রাচীনকাল থেকেই উপসাগর ও ভারত মহাসাগরের মাধ্যমে বাণিজ্য হয়ে আসছে। এই নির্দিষ্ট জায়গাটার দিকে অনেকের নদর রয়েছ। এখানে কারও মধ্যে কোনও বিরোধ নেই। আমি সেটা হতে দিইনি। আর এটাও আমার একটা অপরাধ হয়ে গিয়েছে।'

সেন্ট মার্টিন দ্বীপ

একমাত্র সমুদ্রপথেই সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পৌঁছনো সম্ভব। কক্সবাজার ও টেকনাফ থেকে নৌকা ও ফেরিপথে সেখানে বহু পর্যটক পৌঁছন। কক্সবাজার থেকে এই দ্বীপের দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার। ১৯৯১ সালে টাইফুন ঝড়ের পর থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে বাংলাদেশ ন্যাশনাল গ্রিড থেকে আর বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় না। ফলে বেশিরভাগ হোটেল জেনারেটক এবং সৌরশক্তির উপরই নির্ভরশীল।


from Bengali News, বাংলা নিউজ, বাংলায় সর্বশেষ খবর, Live Bengali News, Bangla News, Ajker Bengali Khabar - Eisamay https://ift.tt/yLUwmce

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads