সুইসাইড করতে এসে অঘোরে ঘুম রেললাইনে! https://ift.tt/uHCVy0O - MAS News bengali

সুইসাইড করতে এসে অঘোরে ঘুম রেললাইনে! https://ift.tt/uHCVy0O

এই সময়: প্রেমিককে নিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঝগড়া, অভিমান... অতঃপর আত্মহননের সিদ্ধান্ত! তরুণী সটান চলে যান রেললাইনে। পিঠে ব্যাগ নিয়েই ট্র্যাকের উপরে শুয়ে পড়েন। কিন্তু মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকতে থাকতে কখন যে দু’চোখে ঘুম নেমে এসেছিল, বুঝতেই পারেননি। ঘুম যখন ভাঙল, তখন শুনলেন কেউ চেঁচাচ্ছেন, ‘এ! উঠো উঠো! উঠাইয়ে... উঠাইয়ে তো উসকো!’ চোখ কচলে তরুণী দেখলেন, তাঁকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছেন দু’জন। ইতিউতি আরও কয়েকজনের গলা পাওয়া যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, ‘এ লড়কি, এ! উঠো... উঠাইয়ে তো, উঠাইয়ে তো...’ আর তাঁর খুব কাছে দাঁড়িয়ে আস্ত একটা ট্রেন!আত্মহত্যা করতে এসে এ ভাবে ট্র্যাকের উপরে অঘোরে ঘুমিয়ে পড়ার ঘটনা বড় একটা শোনা যায় না। তবে তাতে ওই তরুণী ছাত্রীর বিপদ যে আরও বেড়ে গিয়েছিল, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। পরে ওই তরুণীও দাবি করেন, যে মাথার কাছে চলে এসেছে, ঘুমের ঘোরে তা তিনি টেরই পাননি। এমনকী ট্রেনের হুইস্‌ল পর্যন্ত ঘুম ভেদ করে তাঁর কানে পৌঁছয়নি। ট্রেনের চালক শেষ পর্যন্ত ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে ওই তরুণীকে প্রাণে বাঁচান। মঙ্গলবার ছিল আন্তর্জাতিক আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস আর ঘটনাচক্রে এ দিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় এই ভিডিয়ো (যার সত্যতা যাচাই করেনি ‘এই সময়’)।তবে ট্র্যাকের উপরে ঘুমিয়ে পড়া এবং ট্রেন-চালকের তৎপরতায় প্রাণে বেঁচে যাওয়াতেই থেকে কিছুটা দূরের এই নাটকীয় ঘটনায় যবনিকা পড়েনি। ট্রেন থামিয়ে নেমে এসে চালক হাত ধরে ওই ছাত্রীকে টেনে তোলেন। জিজ্ঞেস করেন, ‘ক্যায়া হুয়া?’ সে সময়ে সহকারী চালক তরুণীকে অনুরোধ করেন, ‘উঠো। লাইন সে হট যাও।’ কিন্তু কে শোনে কার কথা! তরুণী নাছোড়। আত্মহত্যা তিনি করবেনই। ফাঁপরে পড়েন চালকরা। ততক্ষণে কয়েকজন যাত্রীও নেমে এসেছেন ট্রেন থেকে। কিন্তু তাঁরা সকলেই পুরুষ। ফলে কে তরুণীকে ট্র্যাক থেকে টেনে তুলবেন, তা নিয়ে শুরু হয় দোলাচল। চলতে থাকে ‘আপ উঠাইয়ে না’, ‘আপ যাইয়ে না’। কিন্তু যাবেন কে! যেহেতু স্টেশন থেকে খুব দূরের ঘটনা নয়, তাই ওই এলাকায় রেললাইনের আশপাশে বেশ কিছু বাড়ি-ঘর রয়েছে। তাতেই শেষ পর্যন্ত মিলল সমাধান। তবে তা-ও বেশ কাঠখড় পুড়িয়ে।ততক্ষণে আশপাশের বাসিন্দারাও চলে এসেছেন। পৌঁছে গিয়েছেন কয়েকজন মহিলাও। ভিড়ের মধ্যেই একজন তাঁদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘থোড়া সা আপলোগ, লেডিজ় লোগ হাত লাগাইয়ে না।’ সে কথা শুনে এক মহিলা এগিয়ে এসে তরুণীকে তুলতে যান। তরুণী প্রথমে উঠে পড়েন। ট্র্যাক থেকে সরেও যাচ্ছিলেন। এমন সময়ে হঠাৎ একজন জিজ্ঞেস করে ফেলেন, ‘ক্যায়া হুয়া? কিঁউ অ্যায়সি কর রহি হো?’ ব্যস! ফের অভিমানী মেয়ে চলে আসতে চান লাইনের উপরে। শুরু হয় মহিলাদের সঙ্গে তাঁর টানাহেঁচড়া। তরুণীর একটাই কথা, ‘কিঁউ আপলোগ মেরে সাথ ইয়ে কর হরে হ্যায়?’ এক জেদ— মরতে তাঁকে হবেই। এ সবের মধ্যেই কোনওক্রমে ওই তরুণীকে ঠেলেঠুলে পাশের ট্র্যাকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।ঠিক এই মুহূর্তটার জন্য যেন অপেক্ষা করছিলেন ট্রেনের চালক ও সহকারী চালক। দ্রুত ট্রেনে উঠে হুইস্‌ল বাজিয়ে দেন তাঁরা। তা শুনে নেমে আসা যাত্রীরা যেমন দৌড়ে কামরার দিকে যান, তেমনই পাশের ট্র্যাকে শুরু হয় নতুন করে টানাহেঁচড়া। তরুণী ফের ট্রেনের সামনে আসতে উদ্যত হন। কিন্তু স্থানীয় মহিলারা তাঁকে ছাড়েননি। ফলে শেষমেশ রক্ষা করা যায় তরুণীকে।এরপর ওই তরুণীকে নিয়ে তাঁর বাড়িতে যান স্থানীয়রাই। কথা বলেন তাঁর পরিবারের সঙ্গে। বাড়ির মেয়ের সঙ্গে তাঁর প্রেমিকের বিয়ে তো দূর স্থান, বিন্দুমাত্র যোগাযোগ রাখতে দেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন না তাঁরা। কিন্তু মেয়ের কাণ্ড শুনে শেষ পর্যন্ত তাঁরা মেনে নিয়েছেন সম্পর্ক।অতএব, হ্যাপি এন্ডিং। মজার কথা, তরুণীর পিঠে আগাগোড়া যে ব্যাগটি ছিল, তাতেও লেখা ছিল— ‘অলওয়েজ় স্মাইল!’


from Bengali News, বাংলা নিউজ, বাংলায় সর্বশেষ খবর, Live Bengali News, Bangla News, Ajker Bengali Khabar - Eisamay https://ift.tt/MOAfz7T
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads