সিল্কইয়ারা টানেলে কেন চলছিল খোঁড়াখুঁড়ি? রইল সুড়ঙ্গ বিপর্যয়ের নেপথ্য কাহিনি https://ift.tt/o7IwRvE - MAS News bengali

সিল্কইয়ারা টানেলে কেন চলছিল খোঁড়াখুঁড়ি? রইল সুড়ঙ্গ বিপর্যয়ের নেপথ্য কাহিনি https://ift.tt/o7IwRvE

১৭ দিনের লড়াই শেষে ঘরে ফেরা। ১৭ দিন ধরে উত্তরকাশীর সিল্কইয়ারা টানেলে আটকে পড়েছিলেন ৪১ জন শ্রমিক। অবশেষে তাঁদের উদ্ধার করে আনা সম্ভব হল। কিন্তু, ঠিক কী করতে এই সিল্কইয়ারা টানেলে প্রবেশ করেছিলেন শ্রমিকরা? কী খোঁড়াখুঁড়ি চলছিল সেখানে?

সিল্কইয়ারা টানেলে কী খোঁড়াখুঁড়ি?

চারধাম অল ওয়েদার প্রজেক্ট তৈরির কাজ চলছে উত্তরকাশীতে। এই প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হলে বছরের যে কোনও সময়, যে কোনও মরশুমে চারধাম যাত্রার জন্য সড়কপথে যেতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। জাতীয় সড়ক ১৩৪-এর শেষ প্রান্তে যমুনত্রী নদীর পাড়ে অবস্থিত এই সিল্কইয়ারা। উত্তরে যমুনত্রী থেকে দক্ষিণে ধরাশু পর্যন্ত এই সড়কপথে যুক্ত করা হচ্ছে। এই রুটকে আরও ছোট করে দেবে সিল্কইয়ারা টানেল। প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ সাড়ে ৪ কিলোমিটারে নিয়ে আসতে পারবে এই সিল্কইয়ারা টানেল। সে কারণেই চলছিল খননকাজ। নবযুগ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন লিমিটেড এই সিল্কইয়ারা বেন্ড-বারকোট টানেল তৈরির বরাদ্দ পেয়েছিল।

?

দীপাবলির দিন অর্থাৎ গত ১২ নভেম্বর, বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ সিল্কইয়ারার দিকে ২০৫-২৬০ মিটারের কাছাকাছি এলাকায় সুরঙ্গ ধসে যায়। মনে করা হচ্ছে হিমালয়ে ধস নামার জেরেই এমনটা ঘটেছিল। তার জেরেই এই কাণ্ড। আবার অনেকের মতে, তাড়াহুড়ো করে কাজ করতে গিয়ে এলাকার ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলা হচ্ছে। ফলে বিপর্যয় নেমে এসেছে। জানা গিয়েছে, এই সিল্কইয়ারা টানেল মোট ৪.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। বদ্রীনাথ, কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রীর সঙ্গে এই টানেলপথেই যোগাযোগ স্থাপন হবে দান্দলগাঁওয়ের। উল্লেখ্য, এদিন রাত ৮টা থেকে উদ্ধার করা শুরু হয় আটকে পড়া শ্রমিকদের। দেড় ঘণ্টার মধ্যেই সমস্ত শ্রমিককে নিরাপদে এবং সুস্থ অবস্থায় বের করে আনা সম্ভব হয়। তাঁদের মালা পরিয়ে বরণ করে বুকে জড়িয়ে ধরেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি। আবেগঘন হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি পরবর্তীতে সকলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'উত্তরকাশীতে আমাদের শ্রমিক ভাইদের উদ্ধারের খবর আমার চোখে আনন্দাশ্রু এনে দিয়েছে। টানেলে যারা ফেঁসেছিলেন, তাঁদের বলব, আপনাদের সাহস এবং ধৈর্য আমাদের সকলের কাছে অনুপ্রেরণা। আমি আপনাদের সকলের সুস্থ এবং কুশল জীবনের প্রার্থনা করছি। এটা অত্যন্ত খুশির খবর, দীর্ঘ অপেক্ষার পর এবার তাঁরা প্রিয়জনদের কাছে ফিরে যাবেন। শ্রমিক পরিবারের সদস্যরাও এই কঠিন মুহূর্তে যেভাবে সাহস ও ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন, তা তারিফযোগ্য।'


from Bangla News, বাংলা খবর, Bengali News, বাংলা সংবাদ, Bengali Breaking News, Latest Bengali News, বাংলা নিউজ https://ift.tt/usCzMWB
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads