হরিয়ানার নীল গাড়িই শক্তিগড়ের অপারেশনে https://ift.tt/A1RujmZ - MAS News bengali

হরিয়ানার নীল গাড়িই শক্তিগড়ের অপারেশনে https://ift.tt/A1RujmZ

রূপক মজুমদার, বর্ধমানএক নীল ব্যালেনো গাড়িতে আটকে ছিল কয়লা মাফিয়া রাজেশ ঝা ওরফে রাজু খুনের রহস্য। চারদিনের মাথায় সেই রহস্যে নতুন মোড়। কারণ, একটি নয়, রাজেশ খুন ঘিরে একাধিক নীল রংয়ের ব্যালেনো গাড়ির তত্ত্ব উঠে এসেছে পুলিশি তদন্তে। আর আততায়ীরা যে নীল ব্যালেনো গাড়িতে এসে গত শনিবার খুন করে রাজেশকে, তার সঙ্গে মিলল হরিয়ানা যোগ। এর আগে ওই নীল গাড়িটির নম্বর প্লেট পরীক্ষা করে জানা গিয়েছিল, সেটির মালিক কলকাতার পাটুলির বাসিন্দা জনৈক শাশ্বতী চক্রবর্তী। যদিও তিনি এই গাড়িটি গত বছরই একটি এজেন্সি মারফত বিক্রি করে দিয়েছিলেন। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গাড়িটির স্যাশি (সাধারণের উচ্চারণে চেসিস) নম্বর পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখে, সেই নম্বর বিকৃত করা হয়েছিল। তার সূত্র ধরে জানা যায়, এই গাড়িটির আসল মালিক হরিয়ানার বাসিন্দা জনৈক মান্নান বাত্রা। তাঁর ঠিকানা হরিয়ানার গুরুগ্রামের সেক্টর-২-য়ে। ওই গাড়িটি এ বছরের ১৫ জানুয়ারি চুরি গিয়েছে বলে দিল্লির জনকপুরী ক্রাইম ব্রাঞ্চে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তাহলে মান্নান বাত্রার নীল ব্যালেনোয় কি সাঁটা হয়েছিল শাশ্বতী চক্রবর্তীর ব্যালেনোর নম্বর প্লেট? সেটা কি শুধু পুলিশকে বিভ্রান্ত করতেই--এই প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকে আরও কয়েকটি গাড়ির নম্বর প্লেট পাওয়া যায়। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এই সবক'টি নম্বর প্লেটই আলাদা আলাদা ব্যালেনো গাড়ির। এবং এই গাড়িগুলোর রংও নীল! এতেই তাজ্জব তদন্তকারীরা। তাঁদের কাছে প্রশ্ন, এই নীল ব্যালেনো গাড়িগুলোও কি চুরির? সেই গাড়িগুলি তাহলে কোথায়? শক্তিগড়ে মেলা গাড়িটির মালিক যদি বাত্রা হন, তাহলে শাশ্বতীর গাড়িটিই বা কোথায়? রাজেশকে খুনের জন্য এই ব্যালেনো রহস্যের অবতারণাই বা কেন? ইতিমধ্যে সিটের তদন্তকারীরা দু'টি দলে ভাগ হয়ে একটি দল রওনা দিয়েছে দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ উদ্দেশে, অন্য দলটি গিয়েছে ধানবাদ হয়ে পাটনা। পুলিশ খুনের তদন্তে নেমে বিভিন্ন প্রান্তের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানতে পেরেছে, আততায়ীদের নীল ব্যালেনো গাড়িটি গত শনিবারই ঝাড়কণ্ড থেকে ডুবুরডিহি চেকপোস্ট হয়ে রাজ্যে প্রবেশ করেছে। এরপর গাড়িটিকে দুর্গাপুরে রাজেশের হোটেলের আশপাশের রাস্তায় ঘুরে রেকি করতেও দেখা গিয়েছে। রাজেশের হোটেল থেকে বেরিয়ে দু'শো মিটার দূরে সিপিএমের একটি দলীয় কার্যালয়, সেখান থেকে আসানসোল-দুর্গাপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি ভবন, পুরসভা ভবন হয়ে জাতীয় সড়ক পর্যন্ত ঘুরতে দেখা গিয়েছে ব্যালেনো গাড়িটিকে। ঝাড়খণ্ড থেকে নীল গাড়িটিতে কলকাতার নম্বর প্লেটই লাগানো ছিল। শনিবার বেলা দেড়টা নাগাদ গাড়িটি ঢোকে এ রাজ্যে। সময়ের ফারাক হিসাব করে পুলিশের অনুমান, ঝাড়খণ্ডে কোনও দুষ্কৃতীকে আনার জন্য গাড়িটি যায়নি। যাওয়া-আসার আসার সময় মিলিয়ে গাড়ির নির্দিষ্ট গতিবেগ ধরে তদন্তকারীদের অনুমান, বিহারের কোনও এলাকা থেকেই শার্প শ্যুটারদের তুলে আনা হয়েছিল।তদন্তে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর সিটি সেন্টারে রাজুর হোটেল থেকে শনিবার সন্ধে ৬টা ১০ মিনিটে আব্দুল লতিফের সাদা ফরচুনার গাড়িটি কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল, যে গাড়িতে ছিলেন রাজেশও। ৬টা ২২ মিনিটে বাঁশকোপা টোলপ্লাজা দিয়ে বেরতে দেখা গিয়েছে নীল ব্যালেনো গাড়িটিকে। দুটি গাড়ির ছবিই টোলপ্লাজার সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। ইতিমধ্যে লতিফের গাড়ির চালক নুর হোসেন ও গাড়ির অন্য সওয়ারি, রাজেশের বন্ধু ব্রতীন মুখোপাধ্যায়ের বয়ান অনুযায়ী সম্ভাব্য আততায়ীদের স্কেচ তৈরি করেছে। সেই স্কেচ দেখিয়ে আর একপ্রস্ত জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য বুধবার দুপুরে বর্ধমানে এসপি অফিসে তলব করা হয় ব্রতীনকে।(তথ্য সহায়তা- সঞ্জয় দে ও বিশ্বদেব ভট্টাচার্য)


from Bengali News, বাংলা খবর, Bangla News, Ajker Khobor, Latest Bengali News - Ei Samay https://ift.tt/6syCvgm
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads