সঙ্গে কেন ছিল না তাঁর লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক! https://ift.tt/xB5h6aR - MAS News bengali

সঙ্গে কেন ছিল না তাঁর লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক! https://ift.tt/xB5h6aR

এই সময়, বর্ধমান: নীল ব্যালেনো গাড়ির সঙ্গে পুলিশের মাথায় ঘুরছে রাজেশ ঝা ওরফে রাজুর লাইসেন্সপ্রাপ্ত দু'টি রিভলভারের বিষয়টিও। সর্বক্ষণের সঙ্গী ওই আগ্নেয়াস্ত্র কখনও হাতছাড়া করতেন না রাজেশ। কিন্তু ১ এপ্রিল খুন হওয়ার দিন সেই আগ্নেয়াস্ত্রই ছিল না তাঁর কাছে। কেন? তদন্তে নেমে পুলিশ জেরা করে রাজেশের সঙ্গী, সেদিনের গাড়ির সওয়ারি ব্রতীন মুখোপাধ্যায়কে। জেরায় তদন্তকারীরা জানতে পারেন, রাজেশের দু'টি রিভলভারের কথা। ব্রতীন পুলিশকে জানিয়েছেন, রাজেশ যখনই কোথাও যেতেন, তাঁর সঙ্গে থাকত লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিভলভার। বিকেল বা সন্ধের দিকে গাড়ি নিয়ে কলকাতা গেলে রাজেশ দাঁড়াতেন ল্যাংচা কুঠিতে। গাড়ি থেকে বিশেষ নামতেন না। চা, ঝালমুড়ি ড্রাইভার বা গাড়ির সঙ্গীরাই এনে দিতেন। সকালের দিকে কলকাতা গেলে তিনি দাঁড়াতেন কিছুটা আগে ধোসা হাট নামে একটি দোকানে। ফেরার সময়ে সাধারণত গাড়ি দাঁড় করাতেন না তিনি। কিংবা দাঁড়ালেও তাঁর পছন্দ ছিল আপনা ধাবা। সব জায়গাতেই তাঁর সঙ্গে থাকত লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র। এ নিয়ে কোনও তথ্য পুলিশকে দিতে পারেননি ব্রতীনও।আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি রাজেশ পেতেন কী ভাবে, তা নিয়েও নানা মহলে উঠেছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, রিভলভার সঙ্গে রাখার অভ্যাস তাঁর বাম জমানা থেকেই। প্রশ্ন ওঠার কারণ, রাজেশের বিরুদ্ধে পশ্চিম বর্ধমানের বহু থানায় বিভিন্ন সময়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে জেলও খাটতে হয়েছে তাঁকে। লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, ভারতের কোনও নাগরিক নিজের বা পরিবারের নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে আবেদন করলে প্রশাসন আগ্নেয়াস্ত্র কেনার অনুমতি দিতে পারে। প্রথমে সেই আবেদন জানাতে হয় জেলাশাসকের কাছে। সেই আবেদন খতিয়ে দেখে জেলাশাসক সন্তুষ্ট হলে তিনি তা পাঠান জেলার পুলিশ সুপারের কাছে। আবেদনকারী অপরাধমূলক কোনও কাজে জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশ সুপার সেই আবেদন পাঠান সংশ্লিষ্ট থানায়। থানা থেকে রিপোর্ট এলে তথ্য সংগ্রহ করা হয় জেলা গোয়েন্দা দপ্তরে। সমস্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার ও জেলাশাসক আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নেন। তার পরেই আগ্নেয়াস্ত্র রাখার ছাড়পত্র দেওয়া যাবে কি না, তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আইনে বলা আছে, আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনুমতি পাওয়ার পরেও যদি ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধমূলক বা ষড়যন্ত্রমূলক অপরাধে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটে, তবে সেই মামলার রায় বার না হওয়া পর্যন্ত লাইসেন্স বাতিল করার ক্ষমতা পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকের রয়েছে। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে আইনজীবী সুখবিন্দর সিং বলেন, 'রাজু ঝায়ের নামে কোথায় কত কেস ঝুলে রয়েছে, তা এক মুহূর্তেই পুলিশের পক্ষে জেনে যাওয়া সম্ভব। তাহলে তাঁর কাছে কী ভাবে থাকল লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিভলভার? রাজু প্রভাবশালী ছিল বলেই কি জেলা প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা এ বিষয়ে নজর দেননি? আইন সবার ক্ষেত্রেই সমান। আদালতে কেউ এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা করলে জেলাশাসক বা পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকরা জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবেন।'


from Bengali News, বাংলা খবর, Bangla News, Ajker Khobor, Latest Bengali News - Ei Samay https://ift.tt/ziAYKa5
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads