অ-জাঠ ভোট, দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব, আঞ্চলিক নেতৃত্বে ভরসা রেখেই ডুবল কংগ্রেস https://ift.tt/msqwZxE - MAS News bengali

অ-জাঠ ভোট, দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব, আঞ্চলিক নেতৃত্বে ভরসা রেখেই ডুবল কংগ্রেস https://ift.tt/msqwZxE

এই সময়: তবে কি হুডা এবং শৈলজার অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণেই হরিয়ানায় কংগ্রেসের ভরাডুবি? মঙ্গলবার সকালে কংগ্রেসের এগিয়ে থাকার ট্রেন্ড যে ভাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঘুরে গেল এবং ৪৮টি আসন জিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গেল বিজেপি, তাতে কংগ্রেসের হারের কারণ হিসেবে উঠে আসছে অন্তর্দ্বন্দ্বের মতোই একাধিক তত্ত্ব। ২০১৯-এর বিধানসভা ভোটে হরিয়ানায় ৩১টি আসন জিতেছিল কংগ্রেস। এ বার তাদের প্রাপ্তি ৩৭। বুথফেরত সমীক্ষা হরিয়ানায় কংগ্রেসের কামব্যাকের ইঙ্গিত দিলেও বাস্তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ধারেকাছেও নেই ‘হাত’ শিবির। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর প্রধান কারণ কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং ক্ষমতার জন্য মারামারি। ভোটগ্রহণের অনেক আগে থেকেই কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা ভূপিন্দর সিং হুডা এবং কুমারী শৈলজা নিজেদের মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে তুলে ধরতে ব্যস্ত। দু’জনের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই— ভোটের আগে এটা তুলে ধরার সব রকম চেষ্টা করেছে , কিন্তু তাদের ঘরের বিরোধ চাপা থাকেনি। হুডাকে প্রার্থী বাছাইয়ের ভার দেওয়া হয়েছিল, সেটা যে খুব একটা কার্যকর হয়নি, ভোটের রেজাল্টেই স্পষ্ট।অন্য দিকে, আঞ্চলিক দল এবং নির্দলরা কংগ্রেসের ভোট কেটেছে। হরিয়ানায় প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া বেশ জোরালো ছিল, কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ব্যাখ্যা— প্রতিষ্ঠান বিরোধী এই ভোট গিয়েছে আঞ্চলিক দল এবং নির্দলদের ঝুলিতে। আইএনএলডি জোট পেয়েছে ২টি আসন, আর নির্দল তিনটি। এতে বিজেপির ফায়দা হয়েছে। কোনও জাঠ নেতা মুখ্যমন্ত্রী পদে আসতে চলেছেন বলে হুডা যেখানে প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন, সেখানে বিজেপি সন্তর্পণে গ্রাউন্ড লেভেলে কাজ করেছে। এ বারের প্রচারে কংগ্রেসের মুখে বারবার শোনা গিয়েছে একটি শব্দ ‘জাঠশাহি’ অর্থাৎ জাঠদের আধিপাত্য ও গুরুত্ব। সেটাও হাতিয়ার করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবির প্রচারে ত্রুটি রাখেনি যে, কংগ্রেস এলে অন্য জাতের মানুষরা আর কোনও গুরুত্ব পাবেন না। সেটা অ-জাঠ অঞ্চলে বিরাট প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের বড় অংশ। এ ছাড়া, গত ১০ বছরে হরিয়ানার শহরাঞ্চলে বিজেপি পায়ের মাটি বেশ মজবুত হয়েছে। অন্যদিকে, গ্রামাঞ্চলে প্রভাব ছিল কংগ্রেসের। কিন্তু এ বার গ্রামাঞ্চলের ভোটও বিশেষ টানতে পারেনি কংগ্রেস। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, বিজেপি যে ভাবে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপোষণের অভিযোগ এনেছে ও নিজেদের ‘উন্নয়ন যজ্ঞ’ তুলে ধরেছে সেটা বেশ বিশ্বাসযোগ্যই মনে করেছেন হরিয়ানার মানুষ, আর তারই প্রতিফলন ঘটেছে ভোটব্যাঙ্কে। উঠে এসেছে আরেকটা মতও। তা হলো, এ বার হরিয়ানার নির্বাচনী প্রচারে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড খুবই কম প্রচারে গিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী ও অমিত শাহ যেখানে বারবার সে রাজ্যে গিয়েছেন, সেখানে রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা, সনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে সেখানে গিয়ে খুবই সামান্য প্রচার করেছিলেন। প্রায় পুরোটাই ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল আঞ্চলিক নেতৃত্বের উপরে। হুডা-শৈলজার অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলে কংগ্রেস তাতে সাফল্য পায়নি। ফলে এ বারও অধরা রইল জাঠ-ভূম। আত্মবিশ্বাসে ধাক্কা না কি ঘুরে দাঁড়ানোর নয়া চ্যালেঞ্জ — কোন পথ ধরবে শতাব্দী প্রাচীন এই দল, জবাব মিলতে খুব বেশি দেরি নেই।


from Bengali News, বাংলা নিউজ, বাংলায় সর্বশেষ খবর, Live Bengali News, Bangla News, Ajker Bengali Khabar - Eisamay https://ift.tt/8zuK6mv
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads