হামাগুড়ি দিয়ে পাইপে ঢোকা, প্রতি মুহূর্তে ঝলসে যাওয়ার ভয় https://ift.tt/IEiB93W - MAS News bengali

হামাগুড়ি দিয়ে পাইপে ঢোকা, প্রতি মুহূর্তে ঝলসে যাওয়ার ভয় https://ift.tt/IEiB93W

উত্তরকাশী: উত্তরাখণ্ডের সিল্কইয়ারায় সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে রবিবারই পৌঁছে গিয়েছিল সেনার বিশেষ ইঞ্জিনিয়ারিং টিম। সেই সঙ্গে (এনডিআরএফ) তো ছিলই। ৮০০ মিলিমিটারের পাইপ দিয়ে ঢুকে ধসে আটকা সুড়ঙ্গের শেষ ১০-১২ মিটারে ড্রিলিং করার কথা ছিল তাঁদেরই। তার পরও 'র‍্যাট মাইনার্স' বা ডাকার প্রয়োজন পড়ল কেন? টিমের অন্যতম সদস্য প্রবীণ যাদব ফাঁস করলেন সেই রহস্য।বেশ কয়েক বার করে বাইরে বেরিয়ে সুড়ঙ্গের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। বললেন, 'এনডিআরএফ কর্মীরাই আগে চেষ্টা করেছিলেন। জওয়ানদের চওড়া, সুঠাম দেহ- তাতে ৮০০ মিলিমিটারের পাইপে হামাগুড়ি দিয়ে ঢুকতে পারেননি তাঁরা। সেই সঙ্গে যথাযথ অক্সিজেন সাপ্লাইও নেই। অবশেষে ডাক পড়ল আমাদের। সহকারী বলিন্দর যাদবকে সঙ্গে নিয়ে গ্যাস কাটার আর দু'টো জলের বোতল নিয়ে ঢুকে পড়লাম পাইপে। হাঁটু আর কনুইয়ে ব্যালেন্স রেখে হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে যাওয়া...'হ্যান্ড-মাইনিংয়ের কাজটা মোটেই সহজ নয়। শুধু মাটি কেটে এগোনো নয়, তাতে গেঁথে থাকা ধাতব খণ্ডাংশ গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে এগিয়ে যাওয়া। প্রবীণের কথায়, 'এই গ্যাস কাটার আর ড্রিলিংয়ে প্রচুর তাপ তৈরি হয়। প্রতি মুহূর্তে পুড়ে যাওয়ার ভয়, তার উপর পাইপের সরু জায়গায় আটকে ড্রিলিং করা! পুরোটাই মনের জোর আর অভিজ্ঞতার খেলা। গায়ে সেফটি জ্যাকেট, গ্লাভস, গগলস, হেলমেট- সব ছিল, তার পরও মনে হচ্ছিল গ্যাস কাটারের আগুন ছিটকে এই বুঝি ঝলসে গেলাম! এতদিনের কাজের অভিজ্ঞতা অবশ্য এটুকু শিখিয়ে দিয়েছে, কোন অ্যাঙ্গেলে গ্যাস কাটার চালালে বিপদের ঝুঁকি কম। সেই মতোই কাজ করেছি। একটানা কয়েক ঘণ্টা কাজ করা অসম্ভব। দিনে ৩-৪ বার বেরিয়ে এসেছি, আবার ড্রিল করতে গিয়েছি।' প্রবীণ জানালেন, ধাতব খণ্ডাংশ কাটলেও সেটা গরম থাকে, ফলে সঙ্গে সঙ্গে সরানো সম্ভব নয়। ঠান্ডা হলে তবে সেগুলো বাইরে আনা যাচ্ছে। প্রবীণের কথায়, 'যতবার ভিতরে গিয়েছি, ঘামে ভিজে একসা। এমনকী জুতোর মধ্যেও ঘামভর্তি! বাইরে তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রিতে নেমে গিয়েছে। অথচ যখন টানেল থেকে বেরিয়ে আসছি, ঘামেভেজা শরীরে ওই ঠান্ডা কনকনে হাওয়া লাগলে কি যে আরাম! লোকজন হাততালি দিয়ে উৎসাহিত করছেন, আর আমার মনে হচ্ছে, কতক্ষণে উদ্ধার সেরে স্নান করে টেনে ঘুম দেব...' এর আগে গর্তে ঢুকে অ্যামোনিয়ার গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়া বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করেছেন প্রবীণ, কিন্তু এবারের চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি ছিল, মানছেন তিনি। তার পরও কেন এতটা ঝুঁকি নিলেন? প্রবীণের কথায়, 'যাঁরা টানেলে আটকে পড়েছেন, তাঁরাও তো আমার মতোই কর্মী। কাল আমার সঙ্গেও একই জিনিস হতে পারে। তখন অন্য কেউ এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে আমাকে উদ্ধার করবেন, এটাই আমার বিশ্বাস।'সুড়ঙ্গের উদ্ধারকাজ শেষে কী করবেন?ক্লান্ত প্রবীণ মুচকি হেসে বললেন, 'ইচ্ছে তো করছে কোথাও ঘুরতে চলে যাই, কিন্তু এখান থেকে সোজা অসমে ছুটতে হবে। সেখানে ৪০০ মিটার রিভার ক্রসিং প্রজেক্ট চলছে যে...'


from Bangla News, বাংলা খবর, Bengali News, বাংলা সংবাদ, Bengali Breaking News, Latest Bengali News, বাংলা নিউজ https://ift.tt/5iCJ43s
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads