কুৎসা হলে পুজোর নৈবেদ্য দেবো: মমতা https://ift.tt/Fkt5fs4 - MAS News bengali

কুৎসা হলে পুজোর নৈবেদ্য দেবো: মমতা https://ift.tt/Fkt5fs4

এই সময়, কলকাতা ও নয়াদিল্লি: ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার লক্ষ্যে ১৮ জুলাই বেঙ্গালুরুতে বৈঠকে বসতে চলেছে বিরোধী দলগুলি। তার আগের দিন বিরোধী নেতাদের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করছেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী। সেই বৈঠকে আমন্ত্রিত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি যেখানে কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধীদের সঙ্গে জাতীয় স্তরে একজোট হওয়ার চেষ্টা করছেন, বাংলায় সেই কংগ্রেসই ঘোঁট পাকাচ্ছে বলে আবারও আক্রমণ শানালেন তৃণমূল নেত্রী। পঞ্চায়েত ভোটের গণনা শেষের পরে বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, 'জাতীয় স্তরে জোট গঠন নিয়ে একটা কথাবার্তা চলছে। কিন্তু এখানে তাদেরই কেউ কেউ ঘোঁট পাকাচ্ছে। এটা তো চলতে পারে না।' তাঁর কথায়, 'আমাকে আক্রমণ করে যাবেন, কুৎসা করবেন, আর আমি পুজোর নৈবেদ্য সাজিয়ে দেবো, এটা হয় না।' মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলের নাম না করলেও তাঁর আক্রমণের মূল লক্ষ্য যে বাম ও কংগ্রেস, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, এটা বলে মুখ্যমন্ত্রী আসলে রাহুল গান্ধী-সীতারাম ইয়েচুরিদের উদ্দেশে বার্তা দিতে চেয়েছেন। তিনি প্রকারান্তরে বুঝিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যে কুস্তি, দিল্লিতে দোস্তি মোটেও পছন্দ করছে না তৃণমূল। '২৪-র লোকসভা বিজেপি'কে পরাস্ত করতে সব বিরোধী দলকে এক ছাতার তলায় আনার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই সচেষ্ট মমতা। অখিলেশ যাদব, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, নীতীশ কুমার, তেজস্বী যাদবদের মতো নেতাদের সঙ্গে তিনি দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। বস্তুত তাঁরই পরামর্শে নীতীশ পাটনায় বিজেপি বিরোধী দলগুলির বৈঠক ডেকেছিলেন। সেই আলোচনাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতেই বেঙ্গালুরুতে ফের বৈঠক হচ্ছে, যার আয়োজনে রয়েছে কংগ্রেস। তাতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মোট ২৪টি দলের প্রতিনিধিদের। এরমধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার চলাকালীনও একাধিকবার বাম-কংগ্রেসকে নিশানা করে বিরোধীরা এ রাজ্যে বিজেপির সঙ্গে মিলে ঘোঁট পাকানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বেঙ্গালুরু বৈঠকের আগে ফের মমতা সরব হওয়ায় জাতীয় স্তরে বাম-কংগ্রেসের জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকের মনে সংশয় তৈরি হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা নিয়ে অধীর চৌধুরীরা সরাসরি মমতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও সনিয়া, রাহুলরা এ নিয়ে তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করেননি। গত রবিবার খাড়গে বাংলার ভোট হিংসার নিন্দা করলেও সরাসরি তৃণমূলকে আক্রমণ করেননি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, এবারের পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের বহু জায়গায় তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল বাম-কংগ্রেস ও আইএসএফ জোট। উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে অনেক জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। তৃণমূলকে চড়া সুরে বিঁধতে এতটুকু কার্পণ্য করেননি প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা। একই ভাবে এ রাজ্যের সিপিএম নেতারাও তৃণমূলের বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছেন। তাতে যারপরনাই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী জাতীয় জোটের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েও নাম না করে বেশ চড়া সুরেই আক্রমণ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এবং সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে। তাঁর মন্তব্য, 'আমি অপরাধ করলে শাস্তি দিন, মেনে নেব। কিন্তু এত মিথ্যে!' তাঁর অবশ্য পর্যবেক্ষণ, সমালোচনা-কুৎসা করে বরং তৃণমূলের শক্তিই বাড়িয়েছে বিরোধীরা। এজন্য বিরোধীদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।


from Bengali News, আজকের বাংলা খবর, পঞ্চায়েত ভোট রেজাল্ট, News in Bangla, Bengali News Live Today, বাংলা সংবাদ https://ift.tt/XjsOl1r
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads