ভালোনাম ভুলে যাচ্ছে, ডাকনামে অভ্যস্ত ছাত্র https://ift.tt/fJuxIp4 - MAS News bengali

ভালোনাম ভুলে যাচ্ছে, ডাকনামে অভ্যস্ত ছাত্র https://ift.tt/fJuxIp4

এই সময়: টানা দু'বছর স্কুল ব্যাগ কাঁধে ক্লাসরুমে যাওয়ার অভ্যাসটাই ছিল না। ফলে নতুন করে স্কুল শুরু () হওয়ার পর নানাবিধ সমস্যায় জেরবার খুদেরা। গত শুক্রবার সল্টলেক শিক্ষা নিকেতনের 'বাস উধাও'-এর ঘটনার পিছনেও খুদে পড়ুয়াদের সেই অনভ্যাস একটা বড় কারণ বলে মনে করছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। কারণ, কে কোন বাসে এসেছে, তা অনেকেই প্রথম দিন মনে রাখতে পারেনি। এ ছাড়াও বাড়িতে থাকতে থাকতে ডাকনামে সাড়া দিয়ে এখন ভালো নামে সাড়া দিতে দেরি করছে। বহু স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিজ্ঞতা, কেউ বাবা-মায়ের হাত ছেড়ে স্কুলের গণ্ডির মধ্যেই ঢুকতে চাইছে না। বুঝিয়ে স্কুলে ঢোকালেও সারাক্ষণ চোখ ছলছল করছে। কেউ আবার ভুলেই গিয়েছে মন খুলে কথা বলতে, বন্ধুদের সঙ্গে স্বাভাবিক ভাবে মিশতে। এমনকী অন্যমনস্কতার জন্য নানারকম ভুলও করে ফেলছে। শেখার ঘাটতি তো আছেই। এই পরিস্থিতিতে আগে স্কুলে আসার অভ্যাস ফেরাতে লেখাপড়ায় রাশ টেনে কেউ বেলুন-ফুল দিয়ে ক্যাম্পাস সাজাচ্ছে। কেউ একমাস লেখাপড়ায় জোর না-দিয়ে মেলামেশা, গল্পগুজব ও খেলাধুলোয় প্রাধান্য দিচ্ছে। ঠিক কী কী সমস্যার মুখে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিকের পড়ুয়ারা? সল্টলেকের ভারতীয় বিদ্যাভবনের প্রিন্সিপ্যাল সুজাতা ঘোষ বলেন, ''কয়েকজন বাচ্চার ক্লাসে খুবই মন খারাপ। বাবা-মায়েরা স্কুলে ছেড়ে যেতে চাইলে প্রথমে তারা গররাজি ছিল। জোর করে ছেড়ে যাওয়ার পর হয়তো বাবা-মায়ের কথা ভেবে মন খারাপ হয়েছে।'' দুর্গাপুরের পূর্ব ইন্টারন্যাশনালের ডিরেক্টর ফাউন্ডার প্রিন্সিপ্যাল সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ''অনেকেরই হাতে লেখার স্পিড কমেছে। কথা বলাতেও বেশ জড়তা। এমনকী শেখার ক্ষেত্রেও ফাঁক তৈরি হয়েছে।'' পেরেন্টিং কনসালট্যান্ট পায়েল ঘোষের ব্যাখ্যা, ''খুদে পড়ুয়াদের অনেকেই এখন পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা ও সামাজিক দুশ্চিন্তায় ভুগছে। অর্থাৎ, বাবা-মা, দাদু-দিদা ছাড়া স্কুলে থাকতে হলে কান্নাকাটি করছে। অপরিচিত মুখ দেখলেই ভয়ে কুঁকড়ে যাচ্ছে।'' তা হলে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার উপায় কী? ক্যালকাটা গার্লস স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল বাসন্তী বিশ্বাস বলেন, ''আমরা ক্লাসরুমগুলো আরও আকষর্ণীয় ও মনোগ্রাহী করে তুলছি। শিশুরা খুব তাড়াতাড়ি যে কোনও জিনিস অ্যাডপ্ট করে। এটাই ভরসা।'' ডিপিএস নিউটাউনের প্রিন্সিপ্যাল সোনালি সেন বলেন, ''আমরা এখনই নতুন সিলেবাসের পড়াশোনা ঢুকছি না। পুরানো বিষয়গুলো একটু ঝালিয়ে নিতে চাইছি।'' সুজাতার কথায়, ''আমরা স্কুল বেলুন দিয়ে সাজানোর পাশাপাশি নানা ধরনের ডেকরেশন করেছি। আপাতত ক্লাসে মজার নানা অ্যাক্টিভিটিজের উপরও জোর দিচ্ছি।'' রামমোহন মিশনের প্রিন্সিপ্যাল সুজয় বিশ্বাস বলেন, ''আমরা একটা কাউন্সেলিংয়ের চেষ্টা করেছিলাম। যারা রেজাল্ট বেরনোর সময়ে বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে এসেছিল, সেই সব পড়ুয়ারা এখন স্কুলে স্বচ্ছন্দ। যারা আসতে পারেনি, তাদের মেলামেশায় জড়তা আছে।'' পায়েলের অবশ্য দাবি, কয়েকদিন ক্লাসের পরেই গ্রীষ্মের ছুটি পড়ে যাবে। তখন আবার এই স্বাভাবিক হওয়ার ছন্দে কিছুটা ভাটা আসবে।


from এই সময়: Bengali News, Bangla News, বাংলা সংবাদ, বাংলা নিউজ, News in Bengali, কলকাতা খবর - Ei Samay https://ift.tt/pSLyEVR

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads