মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাড়বে তাপমাত্রার পারদ https://ift.tt/zeDwTM2

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: আর শীতসুখ নয়, এবার ভ্যাপসা গরমে ভোগান্তি পোহাতে হতে পারে সাধারণ মানুষকে। এখনও ভোর এবং রাতের দিকে হালকা শীত শীত ভাব অনুভূত হচ্ছে। কিন্তু, এবার ধীরে ধীরে হাওয়া বদলের পালা। বাড়বে তাপমাত্রা। চলতি বছর কলকাতাতে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত চড়তে পারে তাপমাত্রার পারদ, জানাচ্ছেন ভূতত্ত্ববিদ সুজীব কর। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহে উত্তর এবং দক্ষিণ দুই বঙ্গেই বৃ্ষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং বাড়বে তাপমাত্রার পারদ। আজ কেমন থাকবে ? আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বুধবার আরও বাড়তে পারে তাপমাত্রার পারদ। শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, গতকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এদিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯৪ শতাংশ থাকতে পারে এবং সর্বনিম্ন জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৪৩ শতাংশ। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় বাড়বে অস্বস্তি। ভূতত্ত্ববিদ সুজীব কর বলেছেন, “ ১৫ মার্চ থেকে ১৫ মে এই সময়ে এর মধ্যে তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে। পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমপ্রান্তের জেলাগুলোর তাপমাত্রা ৪৫-৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে।” অর্থাৎ অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভাঙতে পারে তাপমাত্রার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি থেকে ধীরে ধীরে গায়েব হয়ে যাবে শীত। সমস্ত জেলাগুলিতেই বাড়বে তাপমাত্রার পারদ, জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। তাঁদের কথায়, এখন সকাল এবং সন্ধ্যার দিকে শীত শীতভাব অনুভূত হয়। কিন্তু, এবার তাপমাত্রা বৃদ্ধির দরুন এক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসতে চলেছে। অর্থাৎ চলতি বছরের মতো পাকাপাকি বিদায় নিতে চলেছে শীত, জানা গিয়েছে এমনটাই। এদিকে চলতি সপ্তাহে উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রাও বাড়তে পারে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। তবে আগামী কয়েকদিনে সেখানে আবহাওয়ার বড় কোনও বদলের সম্ভাবনা নেই বলেই জানা গিয়েছে। এদিকে ড. সুজীব করের কথায়, "বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব জলভাগ এবং স্থলভাগের উপর সমানভাবে পড়েছে। বঙ্গোপসাগরে জলের তাপমাত্রা যা থাকার কথা তার থেকে প্রায় চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এর ফলে প্রচুর পরিমাণ জলীয়বাষ্প তৈরি হচ্ছে। ফলে প্রতি মুহূর্তে বায়ুমণ্ডলের যে পরিমাণ জলীয়বাষ্প নেওয়ার ক্ষমতা তার থেকে অনেক বেশি পরিমাণ জলীয় বাষ্প তৈরি হচ্ছে , যা বঙ্গোপসাগরের উপর বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের যে চাপ তা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। কোনও সাগর বা মহাসাগরে যদি এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। এখন বঙ্গোপসাগরে একাধিক শক্তিশালী সাইক্লোন তৈরি হতে পারে।"

from Bengali News, Bangla News, বাংলা সংবাদ, বাংলা নিউজ, News in Bengali, কলকাতা বাংলা খবর - Ei Samay https://ift.tt/FG0Nu5z

Previous article

Next Post

Next article

Previous Post