স্বামী ধর্ষণ করলেও সেটা ধর্ষণই থাকে, পর্যবেক্ষণ কর্ণাটক হাইকোর্টের https://ift.tt/vfYbSEh - MAS News bengali

স্বামী ধর্ষণ করলেও সেটা ধর্ষণই থাকে, পর্যবেক্ষণ কর্ণাটক হাইকোর্টের https://ift.tt/vfYbSEh

Karnataka High Court-এর যুগান্তকারী পর্যবেক্ষণ! একটি মামলা প্রসঙ্গে আদালত বলে, 'ধর্ষণ মানে ধর্ষণ।' আদালতের বার্তা, কে করল, সেটা বড় কথা নয়। এটি একটি অপরাধ, এবং তাকে আইন অনুসারে ধর্ষণ হিসেবেই গণ্য করা হবে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এক মহিলা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। সেই মামলাতেই আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলে, "একজন পুরুষ একজন পুরুষই, একটি আইন হল একটি আইন, ধর্ষণের অর্থও ধর্ষণই, যেটা একজন পুরুষ এক্ষেত্রে একজন স্বামী এক মহিলা এক্ষেত্রে তাঁর স্বামীর সঙ্গে করেছেন।" এই মামলায় প্রাথমিকভাবে অভিযোগকারিণীর পাশে দাঁড়িয়েছে আদালত। তাঁর করা অভিযোগ এবং সেই সংক্রান্ত মামলা আদালতে গৃহীত হয়েছে। বুধবার এই মামলা প্রসঙ্গে আদালত মন্তব্য করে, "বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানটি কখনই পুরুষের আধিপত্য বা নৃশংস পাশবিকতাকে ছাড়পত্র দেয় না, দিতে পারে না এবং কখনও সেটা দেওয়া উচিতও নয়।" প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতীয় দণ্ডবিধির (Indian Penal Code) ৩৭ নম্বর ধারা অনুসারে বিবাহিত দম্পতির মধ্যে ব্যতিক্রমী যৌন সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এর আওতায় ধর্ষণে অভিযুক্ত স্বামী আইন কার্যকলাপের হাত থেকে অব্যাহতি পেতে পারেন। কিন্তু, এদিন তার পর্যবেক্ষণে একদম অন্য কথা বলেছে। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, "যদি এই অপরাধ কোনও পুরুষের ক্ষেত্রে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হয়, তাহলে সেই পুরুষ একজন স্বামী হলেও তাঁরও শাস্তি পাওয়া উচিত।" তবে, এক্ষেত্রেও আদালত কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছে। আদালতের বক্তব্য হল, ধর্ষণ ইস্যুতে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হওয়া উচিত কিনা, অথবা বৈবাহিক ধর্ষণকে আদৌ অপরাধ হিসেবে গণ্য করা উচিত কিনা, তা নিয়ে এখানে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এই পুরো বিষয়টি স্থির করার দায়িত্ব আইনসভার উপরেই ন্যাস্ত রেখেছে আদালত। সংশ্লিষ্ট বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "বিষয়টি নিয়ে আইনসভাকে ভাবতে হবে। এক্ষেত্রে অভিযুক্তকে আইনি প্রক্রিয়া থেকে অব্যাহতি দেওয়া সম্ভব কিনা, তা নিয়ে তাদের ভাবা দরকার। বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে, নাকি অভিযুক্তকে অব্যাহতি দেওয়া হবে, সেই বিষয়ে আইনসভাকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ নিয়ে আদালত কোনও বক্তব্য পেশ করছে না।" সংশ্লিষ্ট মামলা থেকে 'ধর্ষণ' শব্দটি সরানোর আবেদন করা হয়েছিল অভিযুক্ত স্বামীর তরফে। কিন্তু, হাইকোর্টের বক্তব্য হল, এই আবেদন মেনে নিলে অভিযোগকারিণীর সঙ্গে অবিচার করা হবে।


from Bengali News, Bangla News, বাংলা সংবাদ, বাংলা নিউজ, News in Bengali, কলকাতা বাংলা খবর - Ei Samay https://ift.tt/x64Cko0
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads