বিমান দুর্ঘটনায় ব্যথিত কিম, জিনপিংকে সমবেদনা জানিয়ে পাঠালেন চিঠি https://ift.tt/f1DqM9d - MAS News bengali

বিমান দুর্ঘটনায় ব্যথিত কিম, জিনপিংকে সমবেদনা জানিয়ে পাঠালেন চিঠি https://ift.tt/f1DqM9d

প্রসঙ্গে দুঃখপ্রকাশ করলেন উত্তর কোরিয়ার শাসক ()। একইসঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে চিনের প্রেসিডেন্ট () উদ্দেশে সমবেদনাও জ্ঞাপন করলেন তিনি। উল্লেখ্য, গত সোমবার চিনা এয়ারলাইনের একটি যাত্রীবাহী বিমান ভেঙে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় বিমানে সওয়ার অধিকাংশেরই প্রাণ গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। চিনের ইতিহাসে এই দুর্ঘটনা অন্যতম বড় ও ভয়াবহ দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার সময় ওই বিমানে মোট ১৩২ জন সওয়ার ছিলেন। অসমর্থিত সূত্রের দাবি, এঁদের কেউই আর বেঁচে নেই। কিন্তু, সরকারিভাবে তা এখনও স্বীকার করা হয়নি। মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিমান দুর্ঘটনার খবর শুনে ব্যথিত কিম জং-উন। তাই তিনি চিনের রাষ্ট্রপ্রধানকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে কিম লিখেছেন, "শি জিনপিংয়ে নেতৃত্বে চিনের মানুষ খুব দ্রুত এই দুর্ঘটনা শোক কাটিয়ে উঠবেন এবং যাঁরা নিকট আত্মীয় এবং আপনজনদের হারিয়েছেন, তাঁরাও তাঁদের দুঃখ ভুলে এগিয়ে যেতে পারবেন!" প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই চিনের এই বিমান দুর্ঘটনায় হতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে মৃতদের পরিচয় ও সংখ্যা ঘোষণা করেছে বেজিং। কিন্তু, তারপরও কিম তাঁর চিঠিতে মৃতের সংখ্যা উল্লেখ করেননি। বদলে তিনি লিখেছেন, এই দুর্ঘটনায় প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলে এখনও উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে দাবি সূত্রের। যদিও কেউ বেঁচে থাকেন, এই আশায় পুরো দমে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সেইসঙ্গে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটিরও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যেই বিমানের একটি ব্ল্যাক বক্স পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি সূত্রের। কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তারই মধ্যে কিমের এই চিঠি উঠে এসেছে সংবাদের শিরোনামে। তবে, চিন ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে এমন চিঠির আদানপ্রদান খুব একটা নতুন কিছু নয় বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। সাম্প্রতিক ইতিহাস তার সাক্ষী। যেকোনও দুর্যোগ বা প্রাণহানিকর ঘটনা ঘটলেই দুই দেশের রাষ্ট্রনায়করা পরস্পরকে এমন চিঠি পাঠান। এর আগে ২০১৮ সালে উত্তর কোরিয়ায় একটি বাস দুর্ঘটনা ঘটে। সেই বাসে চিনা পর্যটকরা সওয়ার ছিলেন। তাঁদের অনেকেরই সেদিন প্রাণ গিয়েছিল। সেই দুর্ঘটনার পর পিয়ংইয়ংয়ে অবস্থিত চিনা দূতাবাসে গিয়েছিলেন কিম নিজে। এছাড়া, গত বছরের জুলাই মাসে চিনের হেইবেই প্রদেশে ভয়াবহ বন্যা হয়। তখনও শি জিনপিংকে মৌখিকভাবে নিজের সমবেদনা জানিয়ে ছিলেন কিম জং-উন। বস্তুত, এশিয়ার এই দুই দেশের সঙ্গে বাকি বিশ্বের সম্পর্ক খুব একটা ভালো না হলেও এদের নিজেদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যথেষ্ট বন্ধুত্বপূর্ণ।


from Bengali News, Bangla News, বাংলা সংবাদ, বাংলা নিউজ, News in Bengali, কলকাতা বাংলা খবর - Ei Samay https://ift.tt/HgL5sjh
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads