ভিখারির কুঁড়েঘরে ৩ ট্রাঙ্কভর্তি লক্ষাধিক টাকা! গুনতে গিয়ে হিমশিম স্থানীয়রা https://ift.tt/P7nswHm - MAS News bengali

ভিখারির কুঁড়েঘরে ৩ ট্রাঙ্কভর্তি লক্ষাধিক টাকা! গুনতে গিয়ে হিমশিম স্থানীয়রা https://ift.tt/P7nswHm

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ভিখারির কুঁড়েঘরে কিনা তিন ট্রাঙ্ক ভর্তি টাকা! মোট টাকার অঙ্কটা জানলে চোখ কপালে উঠবে বৈকি! প্রায় লক্ষাধিক টাকার হদিশ মিলেছে। তবে সব যে নগদ টাকা তা কিন্তু নয়। অধিকাংশই খুচরো পয়সা। আর তা গুনতে গেলে দিন শেষ হয়ে যাবে। সেই কাজটিই করছেন প্রতিবেশীরা।এমন ছবিরই সাক্ষী হয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলা। এ যেন রাশি রাশি খুচরো পয়সা। সার দিয়ে বসে পাড়া-পড়শিরা টাকা গুনছেন। ভিক্ষা করে যে কেউ এত টাকা জমাতে পারেন, তা বোধহয় কেউই ভাবতে পারেননি। ১০-২০ টাকার নোটের সঙ্গে রয়েছে অজস্র খুচরো পয়সা। আধপেটা খেয়ে ভিক্ষে করে যে এত টাকা জমিয়েছেন, তা বুঝে উঠতে পারেননি দুঃস্থ পরিবারটি। গত কয়েকদিন আগে ওই পরিবারের এক মেয়ের মৃত্যু হয়। সেই মৃত্যুর পাঁচদিন পর প্রতিবেশীরা তাঁদের ঘরে ঢুকে ওই ৩টি ট্রাঙ্ক পড়ে থাকতে দেখেন। ট্রাঙ্ক খুলতেই চোখ কপালে ওঠে প্রতিবেশীদের। ত্রিপল ও বাঁশ দিয়ে তৈরি কুঁড়েঘর থেকে উদ্ধার হয় লাখখানেকের বেশি টাকা। সেই টাকা গুনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে। সেখানকার ১৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কণিকা মহন্ত ও তাঁর মা শৈলবালা মহন্ত । উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের শান্তিনগর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জনিয়েছেন, এলাকায় কণিকারা ভিক্ষা করে দিন গুজরান করতেন। তাঁদের সঞ্চয়ের সেই টাকা উদ্ধার করে দিনভর গুনতে বসলেন এলাকার বাসিন্দারা। যাতে ওই পরিবারের সারা জীবনের সঞ্চয় বেহাত না হয়ে যায় কিংবা অন্য কেউ আত্মসাৎ করতে না পারেন তার জন্য সেই টাকা উদ্ধার করে তা গচ্ছিত রাখা হবে ব্যাঙ্কে। যাতে মৃতা ভিক্ষুকের পরিবার আগামীদিনে স্বাচ্ছন্দ্য দিনযাপন পারেন, সেজন্য প্রতিবেশীরা উদ্যোগ নিয়ে টাকাগুলো সুরক্ষিত জায়গায় জমা করবেন। এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, কণিকা মহন্তের সঙ্গে তাঁর মা শৈলবালা মহন্ত ও বোন মণিকা মহন্ত থাকতেন। মণিকা মানসিকভাবে অসুস্থ। তাঁদের মায়ের বয়স আশির কোঠায়। শৈলবালা আগে ভিক্ষা করে দিন গুজরান করেছেন। পরে তাঁর এক মেয়ে কণিকা ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করেন। এই অবস্থায় এতগুলো টাকা তাঁদের ভরণপোষণের কাজে ব্যবহার করা হবে। যাতে ওই পরিবারের অসহায় দুটি মানুষ ওই গচ্ছিত টাকা থেকে নিজেদের জীবন ভালোভাবে কাটাতে পারেন। সেকারণেই এবিষয়ে এগিয়ে এসেছেন এলাকার বাসিন্দারা। তবে গচ্ছিত টাকার পরিমাণ লক্ষাধিক টাকা হতে পারে বলে অনুমান করেছেন এলাকাবাসী। দিনভর ভিক্ষা করে সামান্য খরচ করে বেশিরভাগটাই জমিয়ে রাখতেন কণিকারা । ভবিষ্যতের জন্য বেশিরভাগ সঞ্চয় জমিয়ে রাখলেও এভাবেই কেটে গেছে জীবনের বহু বসন্ত। স্থানীয় এক বাসিন্দা জনিয়েছেন, গচ্ছিত অর্থ বৃদ্ধা মায়ের নামে ব্যাঙ্কে রাখা থাকবে। বাকি অর্থে কণিকা মহন্তর পারলৌকিক কাজে লাগানো হবে।


from Bengali News, Bangla News, বাংলা সংবাদ, বাংলা নিউজ, News in Bengali, কলকাতা বাংলা খবর - Ei Samay https://ift.tt/WiQpYfw
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads