চন্দ্রপৃষ্ঠের গভীরে রয়েছে গুহা! নাসার অরবিটারের ছবিতে মিলল প্রমাণ https://ift.tt/G6ayo95 - MAS News bengali

চন্দ্রপৃষ্ঠের গভীরে রয়েছে গুহা! নাসার অরবিটারের ছবিতে মিলল প্রমাণ https://ift.tt/G6ayo95

চাঁদে গুহার উপস্থিতি নিয়ে নিশ্চিত হলেন বিজ্ঞানীরা। নাসার লুনার রিকনেসেন্স অরবিটার বা এলআরও থেকে পাওয়া করে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই গুহাটি রীতিমতো অ্যাক্সেসযোগ্য। চন্দ্রপৃষ্ঠের নীচে টানেলের মতো একটি নেটওয়ার্ক রয়েছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই বিজ্ঞানীরা অনুমান করছিলেন। এলআরও থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে চন্দ্রপৃষ্ঠে থাকা গুহার উপরেও বেশ কয়েকটি গর্ত লক্ষ্য করা গিয়েছে। এগুলিকে বলা হয়। বিজ্ঞানীদের অনুমান, ফুটন্ত লাভার কারণে এই গর্তগুলি সৃষ্টি হয়েছে। এলআরওর রাডার ডেটা থেকে পাওয়া এই তথ্য ভবিষ্যতে গবেষণার কাজে খুব উপকার করবে। সেইসঙ্গে চাঁদে বাসস্থান নিয়ে যে পরিকল্পণা করা হচ্ছে তাতেও খুব কাজে লাগবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা ২০১০ সালে এলআরও-র মিনি আরএফ যন্ত্রের মাধ্যমে রাডার ডেটা বিশ্লেষণ করেন। সেই সময় Mare Tranquillitatis-এ একটি গর্তের গোড়া থেকে ২০০ ফুটেরও বেশি বিস্তৃত একটি গুহা আবিষ্কার করেন। এই গুহাটি অ্যাপোলো ১১ ল্যান্ডিং সাইটের ৪০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। এই গুহাটি চন্দ্রপৃষ্ঠের নীচে কয়েক মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে বলে অনুমান বিজ্ঞানীদের। চন্দ্রপৃষ্ঠে থাকা গভীরতম এই গর্তগুলি নিয়ে এলআরও- রাডার ডেটা পুনঃবিশ্লেষণ করার সময় Mare Tranquillitatis pit, Trento এবং তাঁর দল দেখতে পান যে গর্তগুলি একটি বিশাল গুহাকে মাটির নীচে ১৩০ মিটার পর্যন্ত চাপা দিয়েছে। রাডার ডেটা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গুহাটি প্রায় ৪৫ মিটার চওড়া এবং কমপক্ষে ৮০ মিটার দীর্ঘ। এটি যে জায়গায় রয়েছে সেখানেই অ্যাপোলো ১১-এর দুই নভোশ্চর নীল আর্মস্ট্রং এবং বাজ অলড্রিন প্রথম পা রেখেছিলেন। বিজ্ঞানীরা কয়েক দশক ধরেই সন্দেহ করছিলেন যে পৃথিবীর মতোই চাঁদের পৃষ্ঠেও গুহা রয়েছে। নাসার চন্দ্র কক্ষের ছবিতে গর্তগুলি দেখা দিয়েছিল। আর তা থেকেই বিজ্ঞানীদের মনে এই সন্দেহ হয়। এর আগে ২০০৯ সালে JAXA অর্থাৎ জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির কাগুয়া অরবিটারের তোলা ছবি থেকে একটি গর্ত নিশ্চিত করা হয়েছিল। এরপর থেকে অনেকগুলি এলআরও দ্বারা তোলা ছবি এবং চন্দ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রার মাধ্যমে বিষয়টি আস্তে আস্তে সামনে আসছিল। মেরিল্যান্ডে নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারে অবস্থিত এলআরও প্রকল্প বিজ্ঞানী নোয়া পেট্রো বলেন, ‘এখন মিনি আরএফ রাডার ডেটার বিশ্লেষণ থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে এই গুহাগুলি কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে।’


from Bengali News, বাংলা নিউজ, বাংলায় সর্বশেষ খবর, Live Bengali News, Bangla News, Ajker Bengali Khabar - Eisamay https://ift.tt/NacZlVd
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads