Bangla News
Bengali Breaking News
Bengali News
Latest Bengali News
বাংলা খবর
বাংলা নিউজ
বাংলা সংবাদ
from Bangla News, বাংলা খবর, Bengali News, বাংলা সংবাদ, Bengali Breaking News, Latest Bengali News, বাংলা নিউজ https://ift.tt/QjZcaAs
বিশ্বাসেই মিলাবে মিষ্টি, টাটকা-ট্যাগ দূর https://ift.tt/vz3Q7yu
জয় সাহামুখমিষ্টি শুরু হয়েছে সেই বিজয়া থেকে। তার পর দীপাবলি পেরিয়ে আজ ভাইফোঁটা। দোকানে লম্বা লাইন। কিন্তু ভাইয়ের প্লেটে যে মিষ্টি তুলে দিচ্ছেন, আপনি কি নিশ্চিত সেটা টাটকা? বাসি মিষ্টিতে সাজানো প্লেট যদি যমের দুয়ারে কাঁটা না-ফেলে বদহজম বা পেটখারাপের পরিস্থিতি ডেকে আনে?প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়ার জন্যই হয়তো গত কয়েক বছর ধরে একটি নির্দেশিকাও ছিল। যেখানে বলা হয়েছিল খোলা বাজারে খোলা মিষ্টি কতদিন খাওয়া যাবে, তা জানাতে হবে ব্যবসায়ীদের। অথচ 'বেস্ট বিফোর ইউজ়'-এর সেই নির্দেশিকা ঠিক দীপাবলির মরশুমেই শিথিল করে দিল ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা এফএসএসএআই। অবশ্য অনেকেই ঠাট্টা করে বলছেন, এমন নির্দেশিকা যে ছিল, সেটা প্রত্যাহারের পরেই জানা গেল। যেন 'কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই'!২০২০ সালে এফএসএসআই-এর তরফে সারা দেশের মিষ্টি বিক্রেতাদের জন্য একটি অর্ডার ইস্যু করে বলা হয়, খোলা মিষ্টির ক্ষেত্রে এক্সপায়ারি ডেট উল্লেখ করতে হবে। সবার প্রথমে বাংলার মিষ্টি ব্যবসায়ীরা এর প্রতিবাদ করেন। পরে আরও প্রতিবাদের চাপে নিয়ামক সংস্থা নিজেদের অর্ডার পরিবর্তন করে বলে, একেবারে ডেট না লিখলেও জানাতে হবে কতদিনের মধ্যে সেই মিষ্টি খাওয়া যাবে। অর্থাৎ 'বেস্ট বিফোর' তকমা মিষ্টির দোকানে প্রতি প্রোডাক্টেই থাকতে হবে।কিন্তু তার পরেও কি পাড়ার মিষ্টির দোকানে সন্দেশ, রসগোল্লা, ক্ষীরকদম্ব বা অন্যান্য মিষ্টিতে এমন ট্যাগ দেখেছেন কখনও? অনেকেই বলছেন আদৌ দেখা যায়নি। এফএসএসএআই অবশ্য সম্প্রতি জানিয়েছে, এই 'বেস্ট বিফোর' ডেট দেওয়াটাও আর বাধ্যতামূলক রইল না। এতে মিষ্টির দোকানিরা খুশি। কিন্তু গ্রাহকদের অনেকেরই প্রশ্ন, মিষ্টি যে টাটকা, তার গ্যারান্টি কোথায়?পশ্চিমবঙ্গের মিষ্টি ব্যবসায়ীদের সংগঠন 'মিষ্টি উদ্যোগ'-এর প্রেসিডেন্ট তথা কেসি দাশ মিষ্টির দোকানের কর্ণধার ধীমান দাশ বলছেন, 'যারা ব্র্যান্ডেড দোকান, তারা নিজেদের ব্র্যান্ড ভ্যালু ধরে রাখার জন্য হয়তো এরপরও 'বেস্ট বিফোর' ট্যাগ রাখবে। কিন্তু সারা বাংলায় অসংখ্য যে সব ছোট-মাঝারি দোকান আছে, তাঁদের পক্ষে সত্যিই এই ব্যবস্থা রাখা বাস্তবসম্মত ছিল না।' ধীমানের যুক্তি, প্রতিটি মিষ্টির জন্য আলাদা ট্যাগ তৈরি, তার 'শেল্ফ লাইফ' টেস্টিংয়ের জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো, সেখান থেকে সার্টিফিকেট এনে সেইমতো ডেট লিখে মিষ্টির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া- এই প্রক্রিয়ায় সবাই সড়গড় নন, অনেকে ততটা পড়াশোনাও জানেন না। এর পিছনে বিপুল অর্থ খরচ করাও সম্ভব নয় সবার পক্ষে।ফেলু মোদকের কর্ণধার অমিতাভ দে-ও বলছেন, 'এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে আমরা ২০২০ সালেই প্রতিবাদ করেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তৎকালীন ক্ষুদ্রশিল্প মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের সঙ্গেও দীর্ঘ আলোচনা হয়। আমাদের প্রতিবাদেই নিয়মটি শিথিল হলো। তবে টাটকা মিষ্টির বিষয়ে গ্যারান্টি বিশ্বাসই। আমাদের বহু দোকান শতবর্ষ পেরিয়েছে। এতদিনের বিশ্বাস তো কোনও রকম নির্দেশিকা ছাড়াই তৈরি হয়েছে। ভবিষ্যতেও ক্রেতাদের সঙ্গে সেই বিশ্বাসের জায়গা অটুট থাকবে।'সূত্রের খবর, এই টেস্টিংয়ের জন্য কোনও সরকারি ল্যাবরেটরি এ রাজ্যে নেই। কতদিন মিষ্টি খাওয়া যাবে, বেসরকারি ল্যাবরেটরি থেকে তার সার্টিফিকেট বের করতে হলে প্রতি ধরনের মিষ্টির জন্য ৫-৬ হাজার টাকা খরচ করাও কঠিন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাসের কথায়, 'এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য ভালো হলেও তা কার্যকর করা যায়নি মূলত সরকারি পরিকাঠামোর অভাব এবং বিপুল খরচের জন্য। সেই কারণেই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করা হলো বলে মনে হয়।'তা হলে কি টাটকা মিষ্টির গ্যারান্টি কেবল চোখে দেখা এবং চেখে দেখার মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ল? ভীমচন্দ্র নাগের কর্ণধার প্রদীপ নাগের কথায়, 'আমাদের কোনও মিষ্টি যদি তিন দিন রেখেও খাওয়া যায়, আমরা ক্রেতাদের বলে দিই ওই মিষ্টি এক বা দু'দিনের মধ্যে শেষ করে ফেলুন। এমনকী আমাদের মিষ্টি ফ্রিজে না রাখারও পরামর্শ দিই।'যাদবপুরের হিন্দুস্তান সুইটসে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৫ বছর ধরে যে সব মিষ্টি একদিনের বেশি রেখে দেওয়া যায় না, রাত ন'টার পর তা হাফ দামে বিক্রি করে দেওয়া হতো। তা কিনতে দোকানে লম্বা লাইন পড়ত, মারামারিও হতো। ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং পার্টনার রাজদীপ কুমার পাল বলেন, 'করোনার পরে আর এই পরিষেবা আমরা চালু করিনি। আশা করি আগামী দিনে করব। তবে এফএসএসএআই-এর কাগুজে নিয়মের অনেক আগেই আমার বাবা রবীন্দ্রকুমার পাল মিষ্টির কোয়ালিটি কন্ট্রোলের জন্য যাদবপুরে একটি ল্যাবরেটরি খুলেছিলেন। সেখানে এখনও চাইলে যে কেউ এসে মিষ্টির মান পরীক্ষা করে যেতে পারেন।'
from Bangla News, বাংলা খবর, Bengali News, বাংলা সংবাদ, Bengali Breaking News, Latest Bengali News, বাংলা নিউজ https://ift.tt/QjZcaAs
Previous article
Next article
Leave Comments
Post a Comment