লাল-হলুদে 'শনির দশা', হারের হ্যাটট্রিকে বেসামাল ইস্টবেঙ্গল https://ift.tt/vpM6x1r - MAS News bengali

লাল-হলুদে 'শনির দশা', হারের হ্যাটট্রিকে বেসামাল ইস্টবেঙ্গল https://ift.tt/vpM6x1r

কোচ বদলেও কোনও লাভ হল কি? ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মনের মধ্যে এই একটাই প্রশ্ন আপাতত ঘুরপাক খাচ্ছে। ডুরান্ড কাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর ইন্ডিয়ান সুপার লিগে লাল-হলুদ ব্রিগেড যে এভাবে মুখ থুবড়ে পড়বে, সেটা বোধহয় কোনও সমর্থকই কল্পনা করতে পারেননি। শনিবার কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব। কিন্তু, এই ম্য়াচে তারা ২-১ গোলে হেরে গেল। এই নিয়ে ইস্টবেঙ্গল টানা তিনটে ম্যাচে হেরে গেল। আর এই হারের হ্যাটট্রিকের পরই লাল-হলুদ সমর্থকেরা বেজায় চটে গিয়েছেন।এই ম্যাচে হারের পর ইস্টবেঙ্গল পয়েন্ট টেবিলে ১০ নম্বরে নেমে এসেছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। গত ৫ ম্যাচের মধ্যে ইস্টবেঙ্গল একটাই মাত্র ম্যাচে জয়লাভ করেছে। একটা ড্র হয়েছে। আর বাকি তিনটে ম্যাচ তারা হেরে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত লাল-হলুদের ঝুলিতে ৪ পয়েন্টই মাত্র এসেছে। যদিও টুর্নামেন্ট এখনও অনেকটাই বাকি। তারা যে কামব্যাক করতে পারবে, আবারও জ্বলে উঠবে লাল-হলুদ মশাল; তা আশা করা যেতেই পারে।এবার ম্যাচের কথায় আসা যাক। খেলা শুরু হওয়ার পর দুই দলের মধ্যেই সেয়ানে সেয়ানে লড়াই দেখতে পাওয়া যায়। ৫ মিনিটের মধ্যেই সুযোগ তৈরি করেছিল কেরালা। কিন্তু, অল্পের জন্য সেই শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। সুযোগ তৈরি করেছিলেন নাওরেম মহেশও। কিন্তু, বিপক্ষের ডিফেন্সের সামনে আটকে যান তিনি। খেলা দেখে মনে হচ্ছিল, কেউ কাউকে যেন এক সূচাগ্রও জমি ছাড়তে চায় না। অবশেষে ৩২ মিনিটে অঘটন ঘটে যায় ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। দাইসুকে সাকাই অনবদ্য একটি শটে ইস্টবেঙ্গলের জালে বল জড়িয়ে দেন। এক্ষেত্রে লাল-হলুদ ডিফেন্ডারদের দোষেই যে ইস্টবেঙ্গলকে গোল হজম করতে হয়েছে, সেটা আর আলাদা করে বলার দরকার নেই। প্রথমার্ধে আর কোনও দল গোলের ব্যবধান বাড়াতে কিংবা কমাতে পারেনি। শুরু হয় ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ। আর এখানেই শুরু হয় আসল খেলা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ক্রেসপোকে তুলে নেন কুয়াদ্রাত। তাঁর বদলে মাঠে নামেন হিজাজি মাহের। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এই প্রথম কোনও ম্যাচ খেললেন হিজাজি। ইস্টবেঙ্গল গোল পরিশোধের বেশ কয়েকটা সুযোগ পেলেও, শেষপর্যন্ত তা ফিনিশ করতে পারছিলনা। এরপর অবস্থা আরও বেগতিক হয়। ম্যাচ শেষ হওয়ার খানিকক্ষণ আগে একটা পেনাল্টি আদায় করতে পারে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু, ক্লেটন গোল করার সেই সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন। তিনি সোজা কেরালার গোলকিপার সচিন সুরেশের হাতে বলটা জমা দিয়ে আসেন। ম্যাচের একেবারে শেষ লগ্নে চলতি বলে শট নিয়ে গোল করেন কেরালার ফুটবলার দিমিত্রিয়োস দিয়ামান্তাকোস। এবারও সেই ডিফেন্ডারের ভুলেই লাল-হলুদকে গোল হজম করতে হয়। রেগুলেশন টাইমের পর আরও ৭ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেন রেফারি। সেইসময় একটা শট ক্লিয়ার করতে গিয়ে কেরালার ফুটবলার সন্দীপের হাতে বল গেলে যায়। ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে আসে পেনাল্টি। এবার আর কোনও ভুল করেননি ক্লেটন। শেষ মুহূর্তে গোল করলেও দলকে আর জেতাতে পারলেন না তিনি।


from Bangla News, বাংলা খবর, Bengali News, বাংলা সংবাদ, Bengali Breaking News, Latest Bengali News, বাংলা নিউজ https://ift.tt/zP1Ll8o
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads