আপনি না পারলে আমাদের মণিপুরের দায়িত্ব দিন: মমতা https://ift.tt/kB5c9D1 - MAS News bengali

আপনি না পারলে আমাদের মণিপুরের দায়িত্ব দিন: মমতা https://ift.tt/kB5c9D1

এই সময়: অশান্ত মণিপুরে প্রধানমন্ত্রী কেন যাচ্ছেন না--এই প্রশ্ন তুলে সরাসরি রাজ্য বিধানসভায় দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদি মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার মণিপুরের শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে না পারে, তা হলে বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের হাতেই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে শান্তি ফেরানোর দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন মমতা। সোমবার অগ্নিগর্ভ মণিপুর নিয়ে বিধানসভায় বিতর্কে অংশ নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী একদিকে মোদী সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে যেমন সরব হয়েছেন, তেমনই বিজেপি শাসিত পাহাড়ি রাজ্যে শান্তি ফেরানোর পথও দেখাতে চেয়েছেন। মণিপুর নিয়ে তৃণমূলের নিন্দা প্রস্তাবের পাল্টা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে গেরুয়া ব্রিগেড বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে হিংসা, নারী নির্যাতন নিয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যের বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব নিয়ে আসার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। যদিও সে সব উড়িয়ে দিয়ে মমতা এ দিন সরাসরি মোদীকে নিশানা করে বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর মণিপুর নিয়ে বিবৃতি দেওয়া উচিত। তিনি আমাদের মতামত চাইলে আমরা তাও দিতে পারি। প্রধানমন্ত্রী বিদেশে যেতে পারেন। কিন্তু একবারও মণিপুরে যেতে পারেন না! এটা লজ্জার। বিজেপিকে ধিক্কার জানাই।' কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ--সহ একাধিক মন্ত্রী গত কয়েক মাসে মণিপুরে গিয়েছেন, কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সংসদের বাইরে মণিপুর নিয়ে মাত্র কয়েক মিনিট ব্যয় করলেও অশান্তির পর্বে সে রাজ্যে পা দেননি। উল্টোদিকে রাহুল গান্ধী মণিপুরে গিয়েছেন, ডেরেক ও'ব্রায়েনের নেতৃত্বে তৃণমূলের সংসদীয় দলও গিয়েছে। অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে বিরোধী 'ইন্ডিয়া' জোটের প্রতিনিধিরাও সে রাজ্যে গিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেছেন। এদিন বিধানসভায় পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় মণিপুর নিয়ে যে প্রস্তাব পেশ করেছেন, তাতে তৃণমূলের পাঁচ প্রতিনিধির সে রাজ্যে সফরের উল্লেখ রয়েছে।মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, 'মণিপুরে মন্ত্রী, বিধায়করাও সুরক্ষিত নন। বাংলায় আমরা মাওবাদীদের হাত থেকে জঙ্গলমহল শান্ত করেছি। পাহাড় শান্ত করেছি। প্রধানমন্ত্রী যদি মণিপুরে শান্তি ফেরাতে না পারেন, তা হলে আমাদের দায়িত্ব দিতে পারেন। আমরা ওখানে গিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করব।' মণিপুরে যেতে চেয়ে মমতা চিঠি দিয়েছিলেন শাহকে। যদিও মোদী সরকার তাঁকে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। এই প্রেক্ষাপটে অশান্ত মণিপুর থেকে যে ভাবে মানুষ অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছেন, সেখানে এই আর্ত মানুষকে বাংলায় জায়গায় দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'মণিপুরের মা-বোনেরা আসতে চাইলে তাঁরা এই রাজ্যে আসতে পারেন। আমরা যদি আধখানা রুটি খাই, তাঁরাও খাবেন। তাঁদের ছেলে-মেয়েদের এই রাজ্যের স্কুলে পড়ার সুযোগ করে দেবো। আমরা শরণার্থীদের সাহায্য করতে জানি।' যদিও হিরণ চট্টোপাধ্যায়, শ্রীরূপা মিত্র, অগ্নিমিত্রা পলের মতো বিজেপি বিধায়করা প্রশ্ন তুলেছেন, অতীতে নরসিমহা রাওয়ের জমানায় যখন মণিপুর অশান্ত হয়েছিল, তখন মমতা সেই মন্ত্রিসভায় ছিলেন। সেই সময়ে কি তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি চেয়েছিলেন? অন্য রাজ্যের অভ্যন্তরীণ ঘটনা নিয়ে কি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় আলোচনা করা যায়? তৃণমূলের মণিপুর-প্রস্তাবের বয়ানের প্রথম লাইনে সংবিধানের 'ইন্ডিয়া দ্যাট ইজ ভারত' বাক্যটি থাকায় শুভেন্দু বলেন, 'কৌশলে ইন্ডিয়া শব্দ রাখা হয়েছে। ই স্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, ইন্ডিয়ান মুজহিদিনের সঙ্গেও ইন্ডিয়া শব্দটি রয়েছে। ইন্ডিয়া শব্দটি থাকলেই রাষ্ট্রবাদী হওয়া যায় না।' মমতা পাল্টা বলেন, 'সমস্ত বিরোধী দলের কাছে আবেদন, আপনারা এগিয়ে এসে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলুন। মণিপুরকে ডাবল ইঞ্জিন সরকারের এই বিপদ থেকে রক্ষা করুন। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় মণিপুর নিয়ে প্রথম প্রস্তাব হয়েছে। অন্য বিরোধী রাজ্যেকেও বলব এমন প্রস্তাব আনতে।' জোট 'ইন্ডিয়া'কে আরও দৃঢ় করার বার্তা দিয়ে ভাষণের শেষে মমতা স্লোগান তোলেন, 'জয় বাংলা, জয় মণিপুর, জয় ইন্ডিয়া।'


from Bengali News, বাংলা সংবাদ, আজকের বাংলা খবর, Live Bangla News, News in Bangla, Bengali News Today - Ei Samay https://ift.tt/8Hp7KPT
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads