জয়ী প্রার্থীদের TMC-র কাছে 'বিক্রির চেষ্টা' BJP নেতাদের, তমলুকে গুরুতর অভিযোগ https://ift.tt/ZTJmLeq - MAS News bengali

জয়ী প্রার্থীদের TMC-র কাছে 'বিক্রির চেষ্টা' BJP নেতাদের, তমলুকে গুরুতর অভিযোগ https://ift.tt/ZTJmLeq

বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের তৃণমূলের কাছে বিক্রির চেষ্টা করছে দলেরই নেতৃত্বের একাংশ। আর সেই অভিযোগ করছেন জয়ী প্রার্থীরাই। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ব্লকের কেশাপাট এবং মাইসোরা অঞ্চলে। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা রাজনীতিতে। জানা গিয়েছে ওই অঞ্চলে মোট ২৮টি বুথ। তারমধ্যে পেয়েছে ১৬টি। তৃণমূলের দখলে গিয়েছে ১১টি এবং নির্দলের ঝুলিতে ১টি। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন জয়ী নির্দল প্রার্থী। অভিযোগ, এবার বোর্ড গঠন করার জন্য তৃণমূল বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের কিনতে হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে মোটা টাকা ও পদের প্রলোভনও। আর সেই কাজে তৃণমূলের সঙ্গে দলেরই নেতৃত্বের একাংশ হাত মিলিয়েছি বলে অভিযোগ জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের। এই প্রসঙ্গে জয়ী বিজেপি প্রার্থীর স্বামী তথা বিজেপির বুথ সভাপতি প্রদীপ দাসের অভিযোগ, 'আমাদের মণ্ডল নেতৃত্বের কাছে খবর আসার পর তারা আমাদের সুরক্ষিত জায়গায় রাখে। এখন শুনছি দলেরই লোক গদ্দারি করছে। আমাদের ওপরের নেতৃত্বের কিছু লোক তৃণমূলের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। তিনজনকে বিক্রি করে অঞ্চল দখল করে নিতে চায়। লালু মালাকার, জগদীশ প্রামাণিক, এই দু'টো নাম পেয়েছি। এরা আমাদেরই দলের নেতৃত্ব। এরাই তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। আমার হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে জিতেছি। যদি আমাদের দলেরই কয়েকজনের গদ্দারির জন্য বোর্ড গঠন করতে না পারি তাহলে গ্রামে গিয়ে কী মুখ দেখাব!' এই পরিস্থিতিতে ভিনরাজ্যে রয়েছেন জয়ী প্রার্থীরা। পাশাপাশি পাঁশকুড়া পশ্চিম ৪ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি গোপাল সাহু বলেন, 'গণনার দিন খবর পেয়েছি, জগদীশ প্রামাণিক ওনার লোকজনদের বলছেন ৫০ হাজার টাকা দিচ্ছি, সমস্ত জয়ী প্রার্থীদের এখান থেকে গায়েব করে দাও। প্রত্যেকের সার্টিফিকেট নিয়ে নাও। আমার কাছেন যখন খবর যায়, লালু মালাকার সবার থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে নিচ্ছে, তখন আমি তাঁর কাছে যাই। তিনি বলেন, তাঁকে জগদীশ প্রামাণিক নির্দেশ দিয়েছেন সার্টিফিকেট নিয়ে নিতে। তখন লালু মালাকার বলে, এখন কার্ড নিয়েছি। একটু পরে সবাইকে গায়েব করে দেব। তখন আমারা সন্দেহ হয়। আমি জয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলি। ওরা বলে মণ্ডল সভাপতি যা বলবে, তাই করব। এরপর আমি তাঁদের ভিনরাজ্যে রাখি, আমির খরচেই রাখি। এরপর যখন দেখি তৃণমূলের লোকজন ও জগদীশ প্রামাণিক তাঁদের বাড়িতে হুমকি দিচ্ছেন তখন আমি সংবাদমাধ্যমের দ্বারস্থ হই।' যদিও এই ঘটনায় ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেই মনে করছেন তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়।


from Bengali News, বাংলা সংবাদ, আজকের বাংলা খবর, Live Bangla News, News in Bangla, Bengali News Today https://ift.tt/J4vWU51
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads