বাংলার প্রাপ্য আদায়ে দিল্লি-দুয়ারে অভিষেক https://ift.tt/eo3mHkK - MAS News bengali

বাংলার প্রাপ্য আদায়ে দিল্লি-দুয়ারে অভিষেক https://ift.tt/eo3mHkK

এই সময়, নয়াদিল্লি ও ক লকাতা: আর অন্য কেউ নন, ১০০ দিনের কাজ বাবদ বাংলার প্রাপ্য টাকার দাবিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে এ বার সরাসরি কথা বলবেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। কাল, বুধবার গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের দেখা করে রাজ্যের প্রাপ্য ৭,৫০০ কোটি টাকার দাবি জানাবেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তাঁর সঙ্গে থাকবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরাও৷ এর আগে গত বছরের ২২ জুলাই গিরিরাজের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও আরও ন'জন দলীয় সাংসদ৷ তখন বাংলার বকেয়া টাকার দাবি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনার আশ্বাস দিলেও বছর ঘুরতে চললেও কানাকড়ি দেয়নি কেন্দ্র৷ এই আবহে সোমবার অভিষেক বলেন, 'আমি নিজেই যাব কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে৷ ১০০ দিনের কাজ বাবদ বাংলার প্রাপ্য টাকা আটকে রেখে কেন বাংলাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, তা জানতে চাওয়া হবে৷' তৃণমূল সূত্রের দাবি, গিরিরাজ-অভিষেক বৈঠক ফলপ্রসূ না হলে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের বাইরেই রাস্তায় ধর্নায় বসতে পারেন তৃণমূল সাংসদরা। নেতৃত্ব দিতে পারেন খোদ অভিষেক। রাজ্যে বকেয়া নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ দিন খেজুরির প্রশাসনিক সভা থেকে ফের কেন্দ্রকে তুলোধনা করেছেন- 'একশো দিনের কাজে ১৭ লক্ষ লোকের টাকা দেয়নি এরা। পাপিষ্ঠ! এদের অভীষ্ট কোনও দিন সফল হবে না। এরা বেইমান, লুটেরা, চোর-ডাকাত। কেন্দ্র টাকা না দিলেও ৪০ লক্ষ জব কার্ড হোল্ডারকে আমরা কাজ দিয়েছি।' একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্র বরাদ্দ বন্ধ করলেও খরচের হিসেব নিতে দিল্লি থেকে প্রতিনিধিদল আসছে। এ নিয়েও সরব মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'শুধু বলবে, অডিট করেনি, টাকা চুরি করেছে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, রাজ্যের কোনও হিসেব বকেয়া নেই। বাংলায় ১৬০টি কেন্দ্রীয় টিম এসেছে, ফাইভ স্টার হোটেলে থেকেছে, দাঙ্গা বাধিয়েছে, বিজেপির ঘরে গিয়ে মিটিং করেছে। এ বার এলে জিজ্ঞেস করবেন, একশো দিনের টাকা কোথায়? আবাসের টাকা বন্ধ কেন, কৈফিয়ত দাও? কেন রাস্তা করে দাওনি?' রাজ্যের এই দাবি নিয়ে দিল্লিতেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে তৈরি অভিষেক। বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে এই প্রথমবার সংসদে পা দিলেন তিনি৷ যেন অলিখিত ভাবেই সংসদে দলের অধিনায়কত্বের ব্যাটন এ দিন তুলে নিলেন এই তরুণ সাংসদ। দলীয় সূত্রের দাবি, বেলা বারোটার সামান্য আগে সোমবার সংসদ ভবনে দলের অফিসে ঢোকেন অভিষেক। সর্বাগ্রে কথা বলতে চান সাংসদদের সঙ্গে। লোকসভা এবং রাজ্যসভার সব তৃণমূল সাংসদ তখন পার্টি অফিসে ছিলেন না। অনেকে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে থাকায় দিল্লি আসেননি। সূত্রের দাবি, এটা জেনে ক্ষুব্ধ অভিষেক নির্দেশ দেন, বুধবার সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে সকলকেই দিল্লিতে হাজির হতে হবে। এর পরেই বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথা সকলকে জানান তিনি। সূত্রের খবর, গিরিরাজ সিং রাজ্যের সমস্যার দ্রুত সমাধানের প্রতিশ্রুতি না দিলে ধর্নায় বসার পরিকল্পনা যে তাঁর রয়েছে, সে কথা অভিষেক জানিয়েছেন দলের বাকি সাংসদদের। দিনকয়েক আগেই কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে কলকাতায় ধর্নায় বসেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যায় ভাবে বাংলাকে বঞ্চিত করার অভিযোগে সরব হয়েছিলেন তিনি। সোমবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ সংসদ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার আগে দফায় দফায় দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অভিষেক৷ পার্টি অফিস, সংসদের সেন্ট্রাল হল, এমনকী দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও'ব্রায়েনের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজনের ফাঁকেও বৈঠক করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এই বৈঠকগুলিতে অভিষেক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ৬ এপ্রিল সংসদের অধিবেশন শেষ হওয়ামাত্র প্রত্যেক সাংসদকে ঝাঁপাতেই হবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে৷ মে মাসেই পঞ্চায়েত ভোট ধরে এগোতে হবে। এই প্রসঙ্গেই স্পষ্ট করা হয়েছে দলের অবস্থান- পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের সর্বত্র সার্বিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে সাংসদদের।


from Bengali News, বাংলা খবর, Bangla News, Ajker Khobor, Latest Bengali News - Ei Samay https://ift.tt/kZqv9T3
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads