লেনদেনে জোট পার্থ-কাউন্সিলরের, দাবি ইডি-র https://ift.tt/ad8GUCD - MAS News bengali

লেনদেনে জোট পার্থ-কাউন্সিলরের, দাবি ইডি-র https://ift.tt/ad8GUCD

এই সময়: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও প্রোমোটার অয়ন শীলের মধ্যে যোগসূত্র ছিলেন কুন্তল ঘোষ - আদালতে এমনই দাবি করেছে তদন্তকারী সংস্থা ইডি। আর গোপাল দলপতি কি কুন্তলের সঙ্গে পার্থর যোগসূত্র ছিলেন? এই মামলায় সম্প্রতি কুন্তলের বিরুদ্ধে ইডি যে প্রসিকিউশন কমপ্লেন্ট বা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিয়েছে, তা অনুযায়ী এমনটাই জানা যাচ্ছে। ইডি-র জেরায় এই মামলায় আর এক অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল দাবি করেছেন, তিনি কুন্তলকে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। আবার কুন্তল ইডি-র কাছে দাবি করেছেন, এর মধ্যে গোপাল নিজের কমিশন বাবদ ২৫ লক্ষ টাকা রেখে বাকি ৩ কোটি টাকা পৌঁছে দিয়েছিলেন পার্থর কাছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে তাঁর ব্যক্তিগত সচিব, কলকাতা পুরসভার এক কাউন্সিলার, জনৈক দীপক সরকার এবং প্রবীরকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাধ্যমে ওই টাকা পৌঁছনো হয়েছিল বলে দাবি গোপালের। ইডি সূত্রের খবর, এই লেনদেনের বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে ওরফে আরমান গাঙ্গুলিকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তদন্তকারীরা।ইডি যে চার্জশিট দিয়েছে, সেখানে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনের নামের উল্লেখ রয়েছে। চার্জশিটে বলা হয়েছে, চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের ইন্টারভিউয়ের পদ্ধতি এমন ভাবে হতো যাতে টাকার বিনিময়ে তাঁদের চাকরি নিশ্চিত করা যায়। এই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া পার্থর পাশাপাশি মণীশ-সহ আরও তিনজনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হতো। যদিও চার্জশিটে শিক্ষা সচিবকে অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। মঙ্গলবার এই চার্জশিটের ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মণীশ বলেন, 'আমাকে কেউ এ নিয়ে কিছু জানায়নি। মিডিয়ার কাছ থেকেই সব শুনছি। বিষয়টি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। কে বা কারা আমার নাম জড়ানোর চেষ্টা করছেন, সেটা ঈশ্বরই জানেন। আমাকে তৎকালীন মন্ত্রী নিয়োগ ইন্টারভিউ আয়োজনে কখনও কোনও নির্দেশ দেননি। আর আমিও এ ব্যাপারে কোনওদিনই কোনও ব্যবস্থা করিনি। একমাত্র ঈশ্বরই জানেন, এ সব বিষয় থেকে আমি বহু বহু দূরে থাকতাম।' তাঁর সংযোজন, 'ঠিক তথ্য খুঁজে বের করার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতি বিশ্বাস আছে। ওরা কারও কথায় ভরসা রাখবে না। সত্যিটা ঠিক খুঁজে বের করবে।' পার্থও সংশোধনাগার থেকে আদালতে যাওয়া-আসার পথে একাধিকবার দাবি করেছেন, নিয়োগের বিষয়ে তিনি কোনও ভাবেই হস্তক্ষেপ করতেন না। সবটাই এসএসসি-র মতো স্বশাসিত সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করত। কুন্তলকেও তিনি চিনতেন না বলে দাবি করেছেন পার্থ।ইডি আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে দাবি করেছে, গোপাল দলপতি যে টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি মারফত পার্থর কাছে পৌঁছে দিতেন, তার বেশ কিছু লেনদেন নগদে হয়েছিল। এর মধ্যে আছে নিউ টাউনের একটি হোটেল। ২০১৭-১৮ সাল নাগাদ ওই হোটেলেই ও গোপাল নগদ প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা জনৈক প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। এ ছাড়া জনৈক দীপক সরকারকে ২০১৮ সালে নগদে দেড় কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল বলেও ইডি-র কাছে দাবি করেছেন কুন্তল। বেহালায় পার্থর অফিসে বসতেন এই দীপক সরকার। এ নিয়ে আগামী দিনে দীপক ও প্রবীরের সঙ্গেও ইডির অফিসাররা ফের কথা বলবেন। গোপালকে এর আগে একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হতে পারে বলে ইডি সূত্রের খবর।


from Bengali News, বাংলা খবর, Bangla News, Ajker Khobor, Latest Bengali News - Ei Samay https://ift.tt/GNO1pg0
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads