ভেঙে পড়বে পিসার হেলানো মিনার? বর্ষশেষের মুখে বাড়ছে উদ্বেগ https://ift.tt/qmQ78tS - MAS News bengali

ভেঙে পড়বে পিসার হেলানো মিনার? বর্ষশেষের মুখে বাড়ছে উদ্বেগ https://ift.tt/qmQ78tS

আরও হেলেছে ()। যার জেরে ইটালি (Italy) সরকারের কর্তা-ব্যক্তিদের কপালে পড়ল চিন্তার ভাঁজ। তবে কি এবার হেলতে হেলতে মাটি ছোঁবে বিরাট এই মিনার? পৃথিবীর বুক থেকে হারিয়ে যাবে সাড়ে ৮০০ বছরের প্রাচীন এই স্থাপত্য-কীর্তি? প্রত্নতত্ত্ববিদদের (Archaeologist) দাবি, গত দু’দশক ধরে বন্ধ ছিল এর হেলে যাওয়া। বরং বহু চেষ্টা করে সামান্য সোজা করা গিয়েছিল এই মিনার। কিন্তু চলতি বছরের বড়দিনের (Christmas) মুখে ফের তা হেলতে শুরু করায় চিন্তা বেড়েছে প্রত্নতত্ত্ববিদদের। প্রসঙ্গত, এই মিনারটিকে সংরক্ষণের জন্য গত দু’দশকে বিপুল অর্থ খরচ করেছে ইটালি সরকার। গবেষকদের দাবি, ২০০১-এ মিনারটির হেলে যাওয়া ১৫ ইঞ্চি কমানো গিয়েছিল। তার পরবর্তী ২১ বছরে হেলে যাওয়া কমেছিল আরও ১.৬ ইঞ্চি। কিন্তু আবার তা নতুন করে হেলতে শুরু করায় চিন্তা বেড়েছে গবেষকদের। পিসার হেলানো মিনার সংরক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে Opera Primaziale della Pisana বা OPA নামে একটি ইটালীয় সংস্থা। তাঁদের দাবি, এই মিনারের কাত হওয়া পুরোপুরি ঠেকানো যায়নি। এটি ফের বছরে গড়ে ০.০২ ইঞ্চি করে হেলতে শুরু করেছে। পিসা বিশ্ববিদ্যালেয়র (University of Pisa) অধ্যাপক নুনজিয়ান্তে স্কুইগ্লিয়ারের দাবি, “২০২০-তে মনে হয়েছিল, এই মিনার আর কাত হবে না। কিন্তু দু’বছরের মাথায় সেই ভুল ভেঙে গিয়েছে আমাদের। তবে আমরা যতটা ভেবেছিলাম, ততটা এটি কাত হয়নি।” অন্যদিকে OPA-র মুখপাত্র জানিয়েছেন, “সাড়ে ৮০০ বছরের পুরনো এই মিনার এখনও অবিকৃতই আছে। শুধু এর নতুন করে হেলে যাওয়াটাই আমাদের চিন্তা বাড়াচ্ছে।” ঐতিহ্যবাহী পিসার হেলানো মিনারকে বাঁচাতে সব রকমের যে চেষ্টা করা হবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে রক্ষণা-বেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সংস্থা। ১১৭৩-এ পিসার এই মিনার নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। পিসা, জেনোয়া, লুকা ও ফ্লোরেন্সের মধ্যে যুদ্ধের কারণে এর নির্মাণ কাজ ১৩১৯-র আগে শেষ করা যায়নি। ১৮৬ ফুট উঁচু এই মিনার নির্মাণের কিছুদিনের মধ্যেই হেলতে শুরু করে। এর পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। তাঁদের যুক্তি, ভুল নকশার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল এই মিনার। তাছাড়া ওই এলাকার মাটিও দুর্বল হওয়ায় মিনারটি হেলতে শুরু করেছিল। ষোড়শ শতাব্দীর শেষে এই মিনারে উঠেই একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা সারেন বিখ্যাত গণিতজ্ঞ ও পদার্থবিজ্ঞানী গ্যালিলিও। পরবর্তীকালে গণিতের মাধ্যমে গোটা বিষয়টি ফের একবার বিশ্ববাসীর সামনে আনেন অ্যাইজাক নিউটন। উল্লেখ্য, ১৯৯০-তে মিনারের প্রায় ৫.৫ ডিগ্রি হেলে যাওয়ায় তা মাটিতে পড়ে যাবে বলে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। ওই সময় মিনারের কাছে পর্যটকদের যাওয়া বন্ধ করেছিল ইটালি সরকার। আগামী বছরের শুরুতে ফের সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।


from Bengali News Eisamay: (বাংলা সংবাদ) Latest News, Vieos, Breaking News in Bangla | Ajker Khobor - Eisamay Bangla https://ift.tt/Fl5HmCJ
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads