'কোনও রকম সমঝোতা নয়, লড়াই হবে' https://ift.tt/NVsez0b - MAS News bengali

'কোনও রকম সমঝোতা নয়, লড়াই হবে' https://ift.tt/NVsez0b

অর্ঘ্য বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ পর্যন্ত ক্রিকেট প্রশাসনের জীবনেই থেকে যাচ্ছেন । বোর্ড প্রেসিডেন্ট থেকে সরে যাওয়ার পরে কী করবেন, তা নিয়ে হাজার জল্পনা গত কয়েকদিন ধরেই ভাসছিল। আপাতত সে সবের অবসান। শনিবার সন্ধেয় নিজেই জানিয়ে দিলেন তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। সিএবিতে এসে তিনি সাফ বলে দিলেন, 'আমি নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছি। কোনও রকম সমঝোতা নয়। যা লড়াই হবে, নির্বাচনে হবে।' সিএবি বা বোর্ড প্রেসিডেন্ট, বারেবারেই অভিযোগ ওঠে, নির্বাচনে অতীতে কখনও জেতেননি। কখনও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কখনও বা দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর সাহায্য নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। সম্প্রতি সিএবির প্রাক্তন সচিব বিশ্বরূপ দে বিবৃতি দিয়েছিলেন, নির্বাচনে না জিতে এ ভাবে ক্ষমতায় আসা সৌরভের মতো ব্যক্তিত্বের জন্য সম্মানজনক নয়। এ দিন সৌরভ স্পষ্ট করে বলছেন, 'ভেবেছিলাম সিএবি প্রেসিডেন্ট হব না। কিন্তু বাইরে থেকে দেখলাম যা-যা চলছে, তাতে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললাম। এ বার সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। দেখা যাবে কী হয়।' ২২ অক্টোবর তিনি জমা দিতে পারেন মনোনয়ন। তবে এই সবই মূল্যহীন হয়ে যাবে, যদি ১৮ অক্টোবর মুম্বইয়ে বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায় সৌরভকে আইসিসিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ হলেও সরকারি ভাবে আইসিসি চেয়ারম্যান নিয়ে কোনও ঘোষণা কিন্তু এখনও হয়নি। সিএবির বিরোধী গোষ্ঠীও সে দিকেই তাকিয়ে। যা খবর, ১৮ অক্টোবর বোর্ডের সভার পরেই নির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত পরিকল্পনা নেবেন বিরোধীরা। সেই সভাতেই থেকে আইসিসি চেয়ারম্যান হিসেবে কাকে পাঠানো হবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে কিনা, তা অবশ্য বলা কঠিন। কী হলে কী হবে, পরের কথা। আপাতত মেজাজে সৌরভ। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে কিছুটা ক্ষুব্ধও দেখাচ্ছিল তাঁকে। সিএবিতে এবং বাইরে, বেশ কয়েকটি মিটিংও সারেন। কিন্তু সৌরভ দাঁড়ালে কি তাঁর বিরুদ্ধে কেউ প্রার্থী দেবেন? চ্যালেঞ্জের সুরে বলছেন, 'হোক না নির্বাচন। আমি তো দাঁড়াচ্ছি।' ঘটনা হল, সিএবি প্রেসিডেন্ট হলে আগামী সাড়ে তিন বছর এই পদে থাকতে পারবেন সৌরভ। কারণ, নতুন নিয়মে বোর্ডে নয় বছর এবং রাজ্য সংস্থায় নয় বছর আলাদা আলাদা ভাবে থাকতে পারেন একজন ব্যক্তি। সিএবিতে সচিব এবং প্রেসিডেন্ট মিলিয়ে ইতিমধ্যেই সাড়ে পাঁচ বছর কাটিয়েছেন সৌরভ। সেই অনুযায়ী এখনও সাড়ে তিন বছর সময় হাতে থাকছে। সৌরভ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দাঁড়িয়ে গেলে সিএবির অন্দরের রাজনৈতিক অঙ্ক অনেকটাই বদলে যাবে, তাতে সন্দেহ নেই। তা হলে কি সচিব পদে থাকছেন? সৌরভের জবাব, 'প্যানেল এখনও ঠিক করিনি। সময় আছে। আলোচনা করে জানিয়ে দেব।' এ দিকে, স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নিতে আপত্তি ছিল না বিরোধীদের। কিন্তু তিনি যদি সচিব হন, আপত্তি জানাতে পারেন বিরোধীরা। দুটো গুরুত্বপূর্ণ পদে দাদা-ভাই কী ভাবে থাকতে পারেন, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে। বিরোধীরা চান, বিশ্ব মজুমদার সচিব হিসেবে আসুন। সেক্ষেত্রে স্নেহাশিসকে কোষাধ্যক্ষ পদে দেখা যেতে পারে। সূত্রের খবর, বিশ্ব মজুমদারকে অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে আসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সৌরভ গোষ্ঠীর থেকেই। তবে বিশ্ব যে রাজি হয়েছেন, সেই খবর এখনও পর্যন্ত নেই। তাঁকে সচিব হিসেবেই চাইছেন বিরোধীরা। যা খবর, সৌরভ শিবির শেষ পর্যন্ত এই অঙ্ক মেনেও নিতে পারেন। তা হলে নির্বাচনের প্রয়োজন হবে না। কারণ সিএবি প্রেসিডেন্ট পদে সৌরভের বিরুদ্ধে প্রার্থী বিরোধীরা দেবেন না। এটা এক রকম নিশ্চিত। আবার ঘনিষ্ঠ মহলের খবর, কোনও রকম নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিতে রাজি নন বিশ্ব মজুমদার। সর্বসম্মতিক্রমে যদি তাঁকে সচিব হিসেবে মেনে নেওয়া হয়, তা হলেই তিনি রাজি হবেন। বোর্ড প্রেসিডেন্ট হাতছাড়া হওয়ার পরে সৌরভ যে সিএবিতে ফিরতে পারেন, সেই খবর আগেই জানিয়েছিল 'এই সময়'। শনিবার সন্ধেয় সৌরভের ঘোষণায় সেই খবরেই শিলমোহর পড়ল। মনে করা হচ্ছে, তিন-চারদিনের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে পুরো ছবিটা। এর আগে জগমোহন ডালমিয়াও বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেও সিএবি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরেছিলেন। সৌরভও সেই পথেই হাঁটছেন।


from Bengali News, Bangla News Live, আজকের বাংলা খবর, Current News in Bengali, বাংলা নিউজ, কলকাতা বাংলা খবর - এই সময় https://ift.tt/4qQuj1g

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads