মুখস্থ হচ্ছিল না ইতিহাসের নোটস! মাধ্যমিকের আগের দিন 'আত্মঘাতী' মেধাবী ছাত্র https://ift.tt/iCatuxW - MAS News bengali

মুখস্থ হচ্ছিল না ইতিহাসের নোটস! মাধ্যমিকের আগের দিন 'আত্মঘাতী' মেধাবী ছাত্র https://ift.tt/iCatuxW

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ইতিহাসের নোটস মুখস্থ হয়নি। শুধুমাত্র সেই কারণেই নাকি পরীক্ষা শুরু হওয়ার ঠিক আগের দিন আত্মঘাতী হয়েছে এক কিশোর (১৬)। এবছরই মাধ্যমিকে বসার কথা ছিল তার! মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার আউড়িয়া গ্রামে। মৃত ওই পরীক্ষার্থীর নাম বিশাল চৌধুরী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশাল খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল। কিন্তু, গত কয়েকদিন ধরে ইতিহাস পরীক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিল সে। ইতিহাসের পড়া ঠিকঠাক মনে রাখতে পারছিল না বিশাল। তাই তার মনে হয়েছিল, পরীক্ষার ফল হয়তো খুব খারাপ হবে। আর এই আশঙ্কা থেকেই নাকি পরীক্ষা শুরুর আগের দিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় সে! এমন ঘটনায় স্তম্ভিত এলাকার সকলেই। পুলিশ সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে তার নিজের ঘরেই বিশালকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের বাকি সদস্যরা। তাঁদের দাবি, সেই সময় ঘরের বিছানায় খোলা ছিল ইতিহাস বইটি। আর ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছিল বিশালের দেহ! এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ এলাকাবাসী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আউড়িয়া গ্রামে আসলে বিশালের মামার বাড়ি। তার মা চন্দ্রিকাদেবী অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক না থাকায় চন্দ্রিকা তাঁর ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়িতেই থাকতেন। আউড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল বিশাল। সে তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। বিশালের মামা রাহুলদেব দাঁ জানিয়েছেন, আগে বিশাল পড়াশোনা নিয়ে খুব একটা মনোযোগী ছিল না। কিন্তু, নবম শ্রেণিতে ওঠার পরই তার মধ্যে একটা পরিবর্তন দেখা যায়। সারাক্ষণ পড়াশোনা নিয়েই থাকত সে। টেস্ট পরীক্ষায় ৬৮৫ নম্বর পেয়েছিল সে। টেস্টে ইতিহাসে ৮৫ নম্বর পায় বিশাল। কিন্তু, গত কয়েক দিন ধরেই সে খুব চিন্তিত ছিল। তার ভয় ছিল ইতিহাসের নোটস নিয়ে। বিশাল নোটস মনে রাখতে পারছিল না। রবিবার সকালে চা, বিস্কুট খেয়ে দোতলায় নিজের ঘরে পড়তে চলে যায় বিশাল। কিছুক্ষণ পর তার কোনও সাড়া-শব্দ না পেয়ে চন্দ্রিকা ছেলেকে দেখতে দোতলার ঘরে যান। সেখানেই ছেলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তিনি। তাঁর চিৎকারে পরিবারের বাকি সদস্যরা ছুটে আসেন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎকরা বিশালকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বিশালের মামা রাহুলদেব জানিয়েছেন, করোনাকালে দীর্ঘদিন বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ হয়ে যায় বিশালের। কারও সঙ্গে মিশতে না পেরে একটু চুপচাপ হয়ে গিয়েছিল সে। তবে, তাকে দেখে কখনই মনে হত না, সে অবসাদে ভুগছে। তাই বিশাল যে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলবে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি রাহুলদেব বা অন্যরা। এদিকে, করোনার প্রকোপ কমায় সোমবার থেকেই শুরু হচ্ছে এবারের পরীক্ষা। তার আগে মেধাবী ছাত্র বিশালের এই ধরনের মৃত্যুতে মন খারাপ তার বন্ধু, আত্মীয়, প্রতিবেশীদের। ঘটনায় হতবাক হয়ে গিয়েছেন তার স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও।


from Bengali News, Bangla News, বাংলা সংবাদ, বাংলা নিউজ, News in Bengali, কলকাতা বাংলা খবর - Ei Samay https://ift.tt/IN4g0Wn
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads