ভুল তথ্যে বাড়ছে সংশয়, ফের মাথাচাড়া কোভিডের https://ift.tt/4K19H8D - MAS News bengali

ভুল তথ্যে বাড়ছে সংশয়, ফের মাথাচাড়া কোভিডের https://ift.tt/4K19H8D

এই সময়: Corona Virus Pandemic-এর গোড়ার দিকেই প্রমাদ গুনেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। দুনিয়াজোড়া করোনা সংক্রমণের আবহে 'প্যান্ডেমিক'কে হু-র মহাসচিব তেদ্রস আধানম ঘেব্রেইয়েসুস 'ইনফোডেমিক' আখ্যা দিয়েছিলেন। কেননা, করোনা নিয়ে ভুল তথ্যে ভরে যাচ্ছিল স্মার্টফোন! ইতিমধ্যে কেটে গিয়েছে দুটো বছর। কিন্তু জনমানসে ভুল ধারণার এখনও অন্ত নেই। করোনা চলে যাচ্ছে, ওমিক্রন (Omicron) অতি দুর্বল ভ্যারিয়েন্ট, এটাই করোনার শেষ রূপভেদ- এহেন গুচ্ছ ভুল ধারণা আমজনতার মনে ক্রমশ গেঁথে যাচ্ছে। আর তাতেই প্রমাদ গুনছেন হু-র কর্তারা। যদিও আইসিএমআর (ICMR)-সহ এ দেশের বিভিন্ন সংস্থার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আতঙ্ক নয়, সতর্কতা জরুরি। তাই অহেতুক করোনাকে নিয়ে ভয় পেয়ে নিজেকে গুটিয়ে না-রেখে সাবধানতার সঙ্গেই যাপন করা ভালো স্বাভাবিক জীবন। শুক্রবারই হু (WHO) জানিয়েছিল, এখনই বিদায় নিচ্ছে না করোনা অতিমারী ()। আর শনিবার হু-র কোভিড বিষয়ক প্রধান মারিয়া ফন কেরখোভে বলেন, ''প্রচুর ভুল তথ্য ভেসে বেড়াচ্ছে। কেউ বলছে, অতিমারী প্রায় শেষ। কেউ বলছে, ওমিক্রন অতি দুর্বল, কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। কেউ আবার বলছে, এটাই নাকি করোনার শেষ ভ্যারিয়েন্ট যা চিন্তার কারণ। এর সবক'টাই ভুল তথ্য। এর জন্য জনমানসে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আর সেই অসাবধানতার ফাঁক গলে মাথাচাড়া দিচ্ছে সংক্রমণ।'' তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ওমিক্রনের বিএ.২ সাব-ভ্যারিয়েন্ট এখন তাণ্ডব চালাচ্ছে দুনিয়াজুড়ে। যদিও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় ঢেউয়ের (Covid 19 Third Wave) সময়েই যেহেতু বিএ.২ সাব-ভ্যারিয়েন্টের রমরমা ছিল, তাই ওমিক্রনের এই উপ-প্রজাতিটি থেকে আর ভয়ের কিছু নেই। আইডি হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ তথা মাইক্রোবায়োলজির শিক্ষক-চিকিৎসক আশিস মান্নাও মনে করেন, এই প্রজাতিটির বিরুদ্ধে বঙ্গবাসী অনেকটাই সুরক্ষিত। তাও তিনি বলছেন, ''করোনা কেন, ওমিক্রনও চলে যায়নি এখনও পুরোপুরি। খুব অল্প সময়ে বারবার মিউটেশন দেখেছি করোনার। কেউ জানে না, আরও সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট আসবে কি না। তবে টিকা জরুরি। মনে রাখা দরকার, ইউরোপের বেশির ভাগ দেশের লোকই টিকা নিচ্ছে না। তাই আমরা একটু ভালো জায়গায় আছি। তৃতীয় ঢেউয়েও তার প্রমাণ মিলেছে।'' বর্তমানে চিন (China), দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপিন্স, ভিয়েতনাম, ইজরায়েল, আমেরিকা (America) এবং ব্রিটেন (Britain)-সহ ইউরোপের (Europe) একটা বড় অংশেই ফের দাপাদাপি শুরু করেছে ওমিক্রনের বিএ.২ উপ-প্রজাতি। তাই মোটের উপর কেরখোভের সঙ্গে একমত বাংলার বিশেষজ্ঞরাও। ফুসফুস রোগ বিশেষজ্ঞ সুস্মিতা রায়চৌধুরী বলেন, ''করোনা যে চলে যায়নি, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে সারা দুনিয়ায় ফের একপ্রস্থ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায়। বিএ.২ কিন্তু মারাত্মক সংক্রামক। যথাযথ মাস্কের ব্যবহার ও টিকা হল সবচেয়ে বড় অস্ত্র।'' আর সেই অস্ত্রেই শান দেওয়ার কথা বলছেন আইসিএমআরের সংক্রমণ ও মহামারী বিদ্যা বিভাগের প্রধান চিকিৎসক সমীরণ পণ্ডা। তিনি বলেন, ''করোনার দু' বছর পেরিয়ে গিয়েছে। এখন আর ভয় পেয়ে লাভ নেই। স্বাভাবিক জীবনে ফেরা দরকার। তবে মাস্ক ও টিকা সঙ্গে নিয়ে।'' ভাইরোলজি বিশেষজ্ঞ সিদ্ধার্থ জোয়ারদারও বলছেন, আতঙ্কিত হয়ে লাভ নেই, হতে হবে সতর্ক। তবে তিনি মনে করেন, ''করোনা সংক্রান্ত বিজ্ঞান-নির্ভর সঠিক তথ্য আমজনতার কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে গোড়া থেকেই খামতি ছিল। তাই জনমনে নানা সংশয় আগেও ছিল, এখনও রয়েছে। সেই দুর্বলতা কাটাতে সরকার-প্রশাসনের নির্ভুল তথ্য পরিবেশনায় জোর দেওয়া উচিত।'' যদিও সিদ্ধার্থ মনে করিয়ে দিচ্ছেন, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে করোনার উপস্থিতি ও বর্ধিত সংক্রমণের খবর আমাদের জন্য মোটেই স্বস্তির নয়। বরং তা আরও সাবধানী ও সজাগ হওয়ার বার্তাবাহক। তাঁর পরামর্শ, একদিকে টেস্টিং ও জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে নজরদারির বাড়াতে হবে, অন্যদিকে জনসচেতনতার কাজে আরও জোর দিতে হবে। কেননা, অতিমারীর শেষ না-হওয়া পর্যন্ত কেউ-ই আমরা পুরোপুরি বিপন্মুক্ত নই। তাই সন্ত্রস্ত না হয়ে আরও ধৈর্যশীল ও সজাগ থাকতে হবে।


from Bengali News, Bangla News, বাংলা সংবাদ, বাংলা নিউজ, News in Bengali, কলকাতা বাংলা খবর - Ei Samay https://ift.tt/y9W0ae4
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads