বর্ষার ডুয়ার্সেই বিখ্যাত হলং বাংলো পুড়ে ছাই https://ift.tt/uYAZJvW - MAS News bengali

বর্ষার ডুয়ার্সেই বিখ্যাত হলং বাংলো পুড়ে ছাই https://ift.tt/uYAZJvW

এই সময়, আলিপুরদুয়ার: বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল ডুয়ার্সের ঐতিহ্যবাহী হলং বনবাংলো। মঙ্গলবার রাত ন'টা নাগাদ হঠাৎই বাংলোটিতে আগুন ধরে যায়। দমকলের দু'টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই পুরো ভস্মীভূত হয়ে যায় বাংলোর বেশিরভাগ অংশ। এমনিতে ১৫ জুন থেকে নিয়ম মেনে জলদাপাড়া জাতীয় সংরক্ষিত বনাঞ্চল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাংলোয় সেই সময়ে কোনও পর্যটক ছিলেন না। তাই হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে যেভাবে পুরো বাংলোটিই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে, তাতে বেশ কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। বন দপ্তরের সচিব বিবেক কুমার রাতে বলেন, 'সম্ভবত বাংলোর গ্রাউন্ড ফ্লোরে ইলেক্ট্রিক বক্স থেকে শর্ট সার্কিটের ফলে আগুন ছড়ায়। কর্মীরাই প্রথমে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের সাহায্যে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তার মধ্যে আবার এসিতে আগুন লেগে যায়। এসি-তে যে গ্যাস থাকে, তা থেকে সম্ভবত বিস্ফোরণ ঘটেছে। তার জেরে হলং বাংলোটির বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গিয়েছে।'১৯৬৭ সালে মাদারিহাটে জলদাপাড়া জঙ্গলের ভিতর এই বনবাংলোটি তৈরি হয়। খুব কাছ থেকে গন্ডার, হরিণ, হাতি-সহ বিভিন্ন বন্যজন্তু ও পাখিদের সান্নিধ্য ভোগ করার জন্য দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ছিল এই বনবাংলো। বনবাংলো থেকে ৩০ মিটার দূরত্বেই রয়েছে আধিকারিক ও বনকর্মীদের কোয়ার্টার। কিছুটা দূরেই রয়েছে হাতি পিলখানা। জঙ্গলের নিস্তব্ধতায় কিছুটা সময় কাটাতে কলকাতা তো বটেই, এমনকী বিভিন্ন রাজ্য ও বিদেশের পর্যটকদের কাছেও জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন ছিল এটি। প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুরও খুব পছন্দের জায়গা ছিল হলং বনবাংলো। অনেক সময়েই ছুটি কাটাতে এখানে সপরিবারে এসে থেকেছেন তিনি। ওই বাংলোয় যেখানে আগুন লেগেছে, সেখানে পাঁচটি রুম রয়েছে পর্যটন দপ্তরের অধীনে। উপরের তলায় তিনটি রুম আবার বন দপ্তরের অধীনে রয়েছে। এই ঐতিহ্যশালী বনবাংলোটি এভাবে পুরোপুরি পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় মন খারাপ বহু পর্যটকেরও।কীভাবে আগুন লাগল এদিন?বন দপ্তর সূত্রের খবর, পর্যটকদের জন্য বাংলো বন্ধ থাকলেও তার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কয়েকজন কর্মী সেখানে থাকেন। এদিন রাত ন'টা নাগাদ সেখানকার কর্মীরাই প্রথম আগুন দেখতে পান। সেখানকার এক কর্মীর কাছ থেকে বন দপ্তরের কর্তারা জানতে পেরেছেন, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন প্রথমে লেগে থাকতে পারে। একটি ঘরের এয়ারকন্ডিশনার মেশিনে বিস্ফোরণের মতোও শব্দ পাওয়া যায়।যেহেতু বাংলোটির বেশিরভাগ অংশ কাঠ দিয়ে তৈরি, তাই দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাংলোয়। প্রথমে কর্মীরাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে হাসিমারা ও ফালাকাটা থেকে দমকলের ইঞ্জিন রাত সওয়া ১০টা নাগাদ পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। পৌঁছে যান বন দপ্তরের আধিকারিকরাও। যদিও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয় দমকলকর্মীদের। রাতে পাশের পুকুর থেকে জল নিয়েও আগুন নেভানোর চেষ্টা হয়। দমকল ও বন দপ্তরের আধিকারিকরা বোঝার চেষ্টা করছেন, পর্যটকরা না-থাকায় বাংলোয় এসি বা গিজ়ার চলার কথা নয়, তাহলে শর্ট সার্কিট হলো কীভাবে? এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখবেন আধিকারিকরা। রাজ্যের বন্যপ্রাণ বিভাগের প্রধান মুখ্য বনপাল দেবল রায় বলেন, 'আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি।'


from Bengali News, বাংলা নিউজ, Read Latest Bengali News, টি-২০ বিশ্বকাপ, Bangla News, Ajker Bangla Khabar - Eisamay https://ift.tt/0G9zgko
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads