সবথেকে সেফ মাঝখানে ৩ কম্পার্টমেন্টই, বলছে ইউএস-এর সংস্থার গবেষণা https://ift.tt/2Rv9ufy - MAS News bengali

সবথেকে সেফ মাঝখানে ৩ কম্পার্টমেন্টই, বলছে ইউএস-এর সংস্থার গবেষণা https://ift.tt/2Rv9ufy

এই সময়: প্রতিবার রেল দুর্ঘটনার পরেই ফিরে আসে প্রশ্নটা- ট্রেনে কি এমন কোনও কামরা আছে দুর্ঘটনা ঘটলে যেখানে অভিঘাত সবচেয়ে কম হবে? আসলে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের দুমড়ে যাওয়া এক একটা কামরার ছবি দেখতে দেখতে চোখ খুঁজে বেড়ায় তুলনামূলক ভাবে কোন কামরাটা কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।রেলের ট্র্যাকে দুর্ঘটনা কোনও দেশেই নতুন ঘটনা নয়। তবে ইউরোপের নানা দেশ বা ইউএসএ, জাপান অথবা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশে ট্রেন নিরাপত্তার বিষয়টিকে এতটাই গুরুত্ব দেওয়া হয় যে, সে সব দেশ থেকে বড় রকমের দুর্ঘটনার খবর আসে না বললেই চলে। তবু চলন্ত ট্রেনের কোন কামরাটি সবচেয়ে নিরাপদ, এটা জানার আগ্রহ উন্নত দেশগুলোতেও কিছু কম নয়। এ বিষয়ে বিদেশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংস্থা নানা ধরনের গবেষণাও চালিয়েছে। ইউএসএ-র 'ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ রেল-রোড প্যাসেঞ্জার'-এর (এনএআরপি) পক্ষ থেকে যে গবেষণাটি চালানো হয়, সেটি সারা পৃথিবীতেই সমাদৃত। ওই সংস্থা রিপোর্টে জানিয়েছিল, দুর্ঘটনার দৃষ্টিকোণ থেকে চলন্ত ট্রেনের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ একেবারে মাঝখানের তিনটি কামরা।ভারতে সচরাচর একটি দূরপাল্লার ট্রেনে ২২টি কামরা থাকে। এনএআরপি-র হিসেব অনুযায়ী এ দেশে মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের ১০, ১১ ও ১২ নম্বর কামরাই সবচেয়ে নিরাপদ। ভারতীয় রেলের 'রোলিং স্টক' বিভাগের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এক একটি দূরপাল্লার ট্রেনে কামরার বিন্যাস এক এক রকম। তাই ১০ থেকে ১২ নম্বর কামরা কোনও ট্রেনে এসি-থ্রি টিয়ার আবার কোনও ট্রেনে জেনারেল সিটিং হতে পারে। কামরা যে শ্রেণিরই হোক, সামনে এবং পিছনে প্রায় ৯-১০টা কামরা 'কুশন'-এর ভূমিকা নেওয়ায় এই তিনটি কামরা অনেকটাই নিরাপদ। তবে এক বছর আগে করমণ্ডল এক্সপ্রেস যে দুর্ঘটনায় পড়েছিল, তাতে ট্রেনের ২০টি কামরাই লাইনচ্যুত হয়েছিল। দুর্ঘটনার অভিঘাত এত বেশি হলে 'নিরাপদ কামরার' এই তত্ত্ব খাটবে না। ভারতীয় রেলের আধিকারিকরা বলছেন, 'যাত্রীদের কাছে যদিও বেছে বেছে ১০ থেকে ১২ নম্বর কামরার টিকিট কাটার কোনও সুযোগ থাকে না। রেল যেমন টিকিট ইস্যু করে, সেটাই নিতে হয় যাত্রীদের। ওঁরা শুধু ঠিক করেন কোন ক্লাসের টিকিট আর বার্থ প্রেফারেন্স।' ভারতীয় রেলের সব স্বপ্ন আপাতত আবর্তিত সেমি হাইস্পিড বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে ঘিরে। এই ট্রেন কতটা নিরাপদ? সে বিষয়ে 'রোলিং স্টক' বিভাগের কর্মীরা বলছেন, 'শতাব্দী এক্সপ্রেসের মানের একটা ট্রেন তৈরি করতে খরচ হয় প্রায় ৪৭ কোটি টাকা। সেই জায়গায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের একটি রেক তৈরিতে খরচ হয় অন্তত ১০৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ দুটো শতাব্দী তৈরি করার খরচের থেকেও বেশি।' বন্দে ভারতের রেকের ইস্পাত থেকে শুরু করে ট্রেনের অভ্যন্তরীণ ও বহিরঙ্গের নিরাপত্তার আয়োজন- সবটাই একেবারে 'অন্য মাত্রার' বলে দাবি করছেন রেলের আধিকারিকরা। প্রতিটা ট্রেনে 'অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস' বসানো রয়েছে। এ ছাড়া ট্রেন যাতে লাইনচ্যুত না হয়, তার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। রেলের এক উচ্চপদস্থ সূত্রের দাবি, 'বন্দে ভারতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।'


from Bengali News, বাংলা নিউজ, Read Latest Bengali News, টি-২০ বিশ্বকাপ, Bangla News, Ajker Bangla Khabar - Eisamay https://ift.tt/FPXtZxb
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads