হাঁস-মুরগি-ডিম খান নির্ভয়ে, বার্তা দিলেন রাজ্যের ২ সচিব https://ift.tt/rYRgzWx - MAS News bengali

হাঁস-মুরগি-ডিম খান নির্ভয়ে, বার্তা দিলেন রাজ্যের ২ সচিব https://ift.tt/rYRgzWx

এই সময়, কলকাতা ও মালদা: রাজ্যে দুই শিশুর বার্ড ফ্লু-তে আক্রান্ত হওয়ার খবর সদ্য প্রকাশ্যে এসেছে। তাদের এক জন, চার বছরের একটি ছেলে। যার বাড়ি মালদার কালিয়াচকে। অন্য জন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। সে বছর আড়াইয়ের এক কন্যা। যে কলকাতার পৈতৃক বাড়িতে এসে সংক্রমণের কবলে পড়েছিল। ২০১৯-এ মহারাষ্ট্রের পর দেশে এই নজির দ্বিতীয় ও তৃতীয় বার দেখা গেলেও বাংলায় তা যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় নজির। পাখিদের মধ্যে হওয়া ইনফ্লুয়েঞ্জায় (H9N2) মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে দু’জন সংক্রমিত হওয়ার ফলে স্বাভাবিক ভাবেই অনেকের মনে ভয় ঢুকেছে, হাঁস-মুরগির মাংস কিংবা তাদের ডিমে লুকিয়ে নেই তো ভাইরাস! সেই ভয় দূর করতে স্বাস্থ্য এবং প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর একযোগে বৃহস্পতিবার রাজ্যবাসীকে বার্তা দিলো— নির্ভয়ে ডিম-মুরগি-হাঁস খান। কারণ, বঙ্গে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা পাখিদের মধ্যে আদৌ ছড়ায়নি। জনমানসে উদ্বেগের তীব্রতা মালদায় কিছুটা বেশি। মাংস-ডিম বিক্রিতে তেমন প্রভাব না-পড়লেও অনেকের মধ্যেই এই নিয়ে ‘কিন্তু কিন্তু’ রয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য দপ্তর ও প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর স্পষ্ট জানিয়েছে, জেলায় বার্ড ফ্লু-র হদিশ নেই কোনও পোলট্রিতে। মালদার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ী বলছেন, ‘একেবারেই উদ্বেগের কিছু নেই।’ এ দিন বিকেলে স্বাস্থ্য ভবনে রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের সচিব বিবেক কুমারকে নিয়ে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। সেখানেই তাঁরা জানিয়ে দেন, হাঁস-মুরগি বা তাদের ডিম নিয়ে বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন নেই। সরকারি বার্তায় স্পষ্ট— নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ারও কিছু নেই। কারণ, দুই শিশুর শরীরে বার্ড ফ্লুয়ের যে স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে, তা H9N2 প্রজাতির— দুর্বল প্রকৃতির। পোলট্রি উজাড় করে দেয় H5N1 প্রজাতির স্ট্রেন। এবং তার অস্তিত্ব বঙ্গে মেলেনি। এ দিন স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষজ্ঞ দল মালদা পৌঁছয়। আজ, শুক্রবার তাঁরা সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কালিয়াচকে যাবেন। আগেই সেখানকার বার্ড ফ্লু আক্রান্ত শিশুর বাড়ি লাগোয়া পোলট্রির মুরগির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছিল। কোনও নমুনায় ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি। আবার মালদা ও কলকাতায়, ওই দুই শিশুর সংস্পর্শে আসা কারও শরীরেও বার্ড ফ্লু-র ভাইরাসের হদিশ পাওয়া যায়নি।এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে দুই দপ্তরের সচিব জানান, রাজ্যের বিভিন্ন পোলট্রি থেকে বছরে প্রায় ৩০ হাজার ৮০০ নমুনা (শুধু এপ্রিল-মে মাসেই ১৭২৮টি) পরীক্ষা করে সরকার নিশ্চিত হয়েছে, রাজ্যের কোনও পোলট্রিতে বার্ড ফ্লু হানা দেয়নি। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ নমুনা পরীক্ষা করে বেলগাছিয়ার রাজ্য প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাকি ৩০ শতাংশ নমুনা পাঠানো হয় ভোপালের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হাই সিকিউরিটি অ্যানিম্যাল ডিজ়িজ়েসের ল্যাবে। নমুনাগুলির মধ্যে ছিল মালদারও ৩৯০টি নমুনা। কিন্তু কোথাও আপত্তিকর কিছু পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞরা আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, H9N2 স্ট্রেনের মতো বিরল প্রজাতির সম্ভবত এ রাজ্যে এসে পৌঁছেছে পরিযায়ী পাখিদের মাধ্যমে। দুই সচিবও এ দিন জানান, সম্ভবত সাইবেরিয়া থেকে এসেছে এই স্ট্রেন, তবে তা এখনও কোনও পোলট্রিতে হামলা চালায়নি। তার পরেও সাধারণ স্বাস্থ্যবিধির স্বার্থেই চিকিৎসকরা অবশ্য মাংস ও ডিম ভালো করে ধুয়ে চড়া আঁচে রান্না করার পরামর্শ দিচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে ভাইরাস আর বেঁচে থাকে না।


from Bengali News, বাংলা নিউজ, Read Latest Bengali News, টি-২০ বিশ্বকাপ, Bangla News, Ajker Bangla Khabar - Eisamay https://ift.tt/2Edklu3
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads