ন’মাস ‘অন্তঃসত্ত্বা’র চিকিৎসার পর জানা গেল তিনি ‘প্রেগন্যান্ট’ই নন https://ift.tt/zLaURb1 - MAS News bengali

ন’মাস ‘অন্তঃসত্ত্বা’র চিকিৎসার পর জানা গেল তিনি ‘প্রেগন্যান্ট’ই নন https://ift.tt/zLaURb1

এই সময়: পাড়ার ক্লাবের করিয়ে এক তরুণী জানতে পেরেছিলেন তিনি ‘অন্তঃসত্ত্বা’। তারপর থেকে প্রায় ন’মাস বারাসত হাসপাতালে নিয়মিত চেক-আপও করান। প্রত্যেকবারই ভ্রূণের স্বাস্থ্য বাড়ছে জানিয়ে ওজনও ডাক্তার লিখে দেন তাঁর প্রেসক্রিপশনে। গত বছরের শেষে সেখানে অপারেশনের পরই চমক। সন্তান প্রসব করেননি ওই তরুণী। চিকিৎসকরা জানান, তিনি নাকি ‘অন্তঃসত্ত্বা’ই নন। প্রশ্ন ওঠে, এত দিন তবে ভ্রূণের ওজন বৃদ্ধির তথ্য কী ভাবে প্রেসক্রিপশনে লিখলেন ডাক্তাররা? এর জবাব তো মেলেইনি, উল্টে আরও গুরুতর অভিযোগ ওঠে। ওই তরুণীর বাঁ-দিকের ওভারি-ও উধাও। এই মর্মে রিপোর্ট আসে ওই হাসপাতালেই করা ইউএসজি রিপোর্ট থেকে। এ নিয়ে প্রথমে বারাসত হাসপাতালে অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। তাতে কাজ না হওয়ায় গত বছর থানায় অভিযোগ জানাতে যায় ওই তরুণীর পরিবার। থানা ও পুলিশ সুপার বিষয়টিতে গুরুত্ব দেননি—এমনটাই অভিযোগ। গত নভেম্বরে নিম্ন আদালতে যায় তরুণীর পরিবার। ওই আদালত বারাসত থানার পুলিশকে ঘটনার অনুসন্ধান করে রিপোর্ট তলব করে। এ বছর জানুয়ারিতে পুলিশ হাসপাতালের তৈরি বোর্ডের রিপোর্ট আদালতে দিয়ে জানায়, অভিযোগের কোনও সারবত্তাই নেই। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে ওই তরুণীর পরিবার। হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির পাশাপাশি অঙ্গ খোওয়া যাওয়ার অভিযোগে গুরুত্ব না দেওয়ায় কাঠগড়ায় তোলা হয় পুলিশকে। হাইকোর্টে দায়ের মামলায় সোমবার ওই তরুণীর দুই আইনজীবী কৌশিক গুপ্ত ও ড্যানিয়েল সরকার জানান, বারাসতের স্থানীয় ক্লাবে ‘প্রেগন্যান্সির’ কথা প্রথম জানা যায়। ধরে নেওয়া যেতে পারে, প্রাথমিক সেই পর্যবেক্ষণ ভুল। তবে পরের ন’মাস হাসপাতালের চিকিৎসকরা কী ভাবে নিয়মিত ওই মহিলার গর্ভে থাকা ভ্রূণের ভালোমন্দ জানিয়ে রিপোর্ট দিলেন? অথচ এখন চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সন্তান নয়, ওই তরুণীর ‘সিউডোসাইসিস’ হয়েছে। চিকিৎসার পরিভাষায় ‘সিউডোসাইসিস’-এর অর্থ হলো কোনও মহিলার মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার যাবতীয় লক্ষণ থাকলেও তাঁর জরায়ুতে ভ্রূণের অস্তিত্ব থাকে না। আইনজীবীরা আরও জানান, এই ঘটনা সামনে আসার পরে হাসপাতালে ইউএসজি করা হয়। তাতে দেখা যায়, ওই তরুণীর বাঁ-দিকের ওভারিও উধাও।হাসপাতালে যখন চিকিৎসা শুরু হয়, তখন কোনও রিপোর্টেই অঙ্গহানির উল্লেখ ছিল না। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বক্তব্য জানতে চান। রাজ্যের আইনজীবী অমৃতা পাঁজা মৌলিক জানান, এর আগে পুলিশ নিম্ন আদালতে একটি রিপোর্ট দিয়েছিল। যদিও আদালত জানিয়ে দেয়, ১৫ মে পুলিশকে গোটা ঘটনা জানিয়ে নতুন করে রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে।


from Bengali News, বাংলা নিউজ, Bangla News, Bengali Khabar, Ajker Bangla Khabar, Latest Bengali News - Eisamay https://ift.tt/w0LG9a3
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads