ত্রিপুরা-রাজস্থানের কিছু বুথে ১০০% বেশি ভোট পড়েছে? রইল আসল ঘটনা https://ift.tt/hFCfDbZ - MAS News bengali

ত্রিপুরা-রাজস্থানের কিছু বুথে ১০০% বেশি ভোট পড়েছে? রইল আসল ঘটনা https://ift.tt/hFCfDbZ

লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে রাজস্থান এবং ত্রিপুরার নির্দিষ্ট কিছু ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের দাবি করা হয়েছে৷ দাবি করা হয়েছে নির্দিষ্ট বুথে ১০০%-র বেশি ভোটার নিবন্ধন করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ত্রিপুরার মজলিশপুর, খয়েরপুর, মোহনপুরের বুথ এবং রাজস্থানের বারমের অংশের কিছু বুথের উল্লেখ করা হয়েছে। সেই করে সংবাদমাধ্যম ফ্যাক্টলি।দাবি : ত্রিপুরা এবং রাজস্থানে কিছু বুথে ভোটার সংখ্যা ১০০%-র বেশি নিবন্ধিত হয়েছে।ঘটনা : আধিকারিকরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ওই ভোটকেন্দ্রগুলির অসঙ্গতি মূলত ইডিসি ভোটের কারণে। EDC ভোট মোট গণনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় না, তবে প্রদত্ত মোট ভোটের সঙ্গে যোগ করা হয়। ফলস্বরূপ, কিছু ভোটকেন্দ্রে, প্রদত্ত ভোটের শতাংশ ১০০% ছাড়িয়ে গেছে। সুতরাং, পোস্টে করা দাবিটি বিভ্রান্তিকর। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ সমাপ্তির পরে, ১৮৯টি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর, ত্রিপুরায় বিরোধীরা কিছু এলাকায় অস্বাভাবিকভাবে বেশি ভোটার উপস্থিতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা দাবি করেন যে পশ্চিম ত্রিপুরা সংসদীয় কেন্দ্র এবং রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে নির্দিষ্ট বুথে ভোটার ১০০% ছাড়িয়ে গিয়েছে। বিশেষত, ত্রিপুরায়, মজলিশপুরের ৪৪ অংশে ১০৫.৩০% ভোট পড়েছে, খয়েরপুর অংশের ২৫ এবং ৪৪ অংশে যথাক্রমে ১০০.১৫% এবং ৯৮.৮০% ভোট পড়েছে এবং মোহনপুরের ৩৮ অংশে ১০৯% ভোট পড়েছে৷এই বুথগুলিতে বেশি ভোটার উপস্থিতির রিপোর্ট সঠিক। তবে কর্মকর্তারা অনিয়মের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তদন্তের পর, কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে এই ভোটকেন্দ্রে ইডিসি-র (Election Duty Certificate) কারণে এমনটা হয়েছে। আধিকারিকদের মতে, বেশ কিছু সংরক্ষিত পোলিং কর্মীকে কাছাকাছি এলাকায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে তাঁরা ভোটদানের দিনে তাঁদের নির্বাচনী দায়িত্বের শংসাপত্র ব্যবহার করে ওই স্টেশনগুলিতে ভোট দিতে পারেন। এদিকে রাজস্থানের বাড়মের অংশের নির্দিষ্ট ভোট কেন্দ্রে বেশি ভোটের বিষয়ে, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট চিঠিতে নিশ্চিত করেছেন যে ভোটদানের এই পার্থক্য ইডিসি ভোটের কারণে হয়েছে। অর্থাৎ ভাইরাল পোস্টে যে দাবি করা হয়েছে তা মূলত ইডিসি ভোটের কারণে হয়েছে, কোনও অনিয়মের কারণে নয়।ইডিসি (ইলেকশন ডিউটি সার্টিফিকেট) ভোটসাধারণত, পোলিং ডিউটি অফিসারদের কাছে ভোট দেওয়ার দুটি পদ্ধতি উপলব্ধ থাকে, ইলেকশন ডিউটি সার্টিফিকেট (EDC) ও পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে। যদি একজন কর্মচারীর ভোটের ডিউটি একই নির্বাচনী এলাকার মধ্যে থাকে, যেখানে তিনি ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধিত, তাহলে তাদের একটি ইলেকশন ডিউটি সার্টিফিকেট (EDC) ব্যবহার করে ভোট দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়। এটি তাঁদেরকে একই ভোট কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেয়।।আর যদি একজন কর্মকে এমন একটি নির্বাচনী এলাকায় ভোটের দায়িত্বে নিযুক্ত করা হয় যেখানে তিনি নিবন্ধিত ভোটার নন, সেখানে তাঁকে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তার জন্য কর্মচারীদের অবশ্যই একটি মনোনীত ফর্ম পূরণ করতে হবে, যা নির্বাচনী এলাকা অনুসারে সংগ্রহ এবং সংগঠিত হয়। উপরে উল্লিখিত ক্ষেত্রে, কর্মকর্তারা সম্ভবত EDC ব্যবহার করে তাদের ভোট দিয়েছেন। সেই ভোটগুলি মোট ভোটের সংখ্যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, কিন্তু সেই নির্দিষ্ট বুথের মোট ভোটের মধ্যে নয়। কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে ইডিসি ভোটের কারণে ত্রিপুরা এবং রাজস্থানের কিছু ভোটকেন্দ্রে ১০০% এর বেশি ভোট হয়েছে।(This article was originally published by and later edited and translated by Ei Samay Digital)


from Bengali News, বাংলা খবর, News in Bengali, bengali news today, বাংলা সংবাদ - Ei Samay https://ift.tt/jHZftQl
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads