কলকাতা থেকে ট্রেনে তিব্বত! স্বপ্ন দেখাচ্ছে সিকিমের রেলপথ https://ift.tt/qEQj3TC - MAS News bengali

কলকাতা থেকে ট্রেনে তিব্বত! স্বপ্ন দেখাচ্ছে সিকিমের রেলপথ https://ift.tt/qEQj3TC

এই সময়: কলকাতা থেকে ভোরে চেপে দুপুরে নিউ জলপাইগুড়ি। তার পর ওখান থেকে ট্রেন ধরে সিকিমের নাথু লা। সেখান থেকে চিন সীমান্ত পার করে ও পারে গিয়ে আবার একটা ট্রেনে সোজা তিব্বতের কোনও জায়গায়!কষ্টকল্পনা মনে হচ্ছে? কিংবা দিবাস্বপ্ন? না, তেমনটা নয়। গত সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি সিকিমের রংপো স্টেশনের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করার পরে সত্যি সত্যিই এই আশায় পর্যটন-ব্যবসায়ীদের একাংশ। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে টানা ট্রেনে চেপেই ঢুকে পড়া যাবে সিকিমে। সেবক থেকে ট্রেনে ৪৫ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে রংপো পৌঁছতে হয়তো আর খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। ২০২৫-এর ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতীয় রেলের অন্যতম সাহসী এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সিকিম অনেকটাই ঘরের কাছে চলে আসবে বলে জানাচ্ছেন রেলকর্তারা। দেশের সব ক’টা রাজ্যেই ট্রেন চলছে। বাকি ছিল শুধুই সিকিম। এই অবস্থায় ২৬ ফেব্রুয়ারি ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে সিকিমের রংপো স্টেশনের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। রেলের কর্তারা জানাচ্ছেন, চিন সীমান্তের সঙ্গে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকা এবং রাজনৈতিক ও কৌশলগত ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য সিকিমে রেলপথ চালু করার কাজটি তিন দফায় হবে। প্রথম দফায় বাংলার সেবক থেকে সিকিমের রংপো পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ চালু হবে। দ্বিতীয় দফায় রেলপথ বসবে রংপো থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত অংশে। সব শেষে গ্যাংটক থেকে নাথু লা পর্যন্ত অংশে, চিন সীমান্তের খুব কাছের জায়গা পর্যন্ত ট্রেন চালানো হবে। গোটা প্রকল্পটি ২০২৯ সালের মধ্যে শেষ করে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে ভারতীয় রেলকে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এই প্রকল্প প্রসঙ্গে সংস্থার এক আধিকারিক বলছেন, ‘সেবক-রংপো রুটের প্রায় ৬৫ শতাংশের কাছাকাছি কাজ শেষ। মার্চ থেকে ওই অংশে রেললাইন পাতার কাজ শুরু হবে।’ রেলের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ওই অংশে রেলপথে মোট ১৪টি টানেল, ৯টি বড় ব্রিজ এবং ১৩টি ছোট ব্রিজ রয়েছে। প্রথম দফার রুটের ৪৫ কিলোমিটারের মধ্যে ৪১.৫ কিলোমিটার অংশই পড়ছে বাংলায়। বাকি মাত্র সাড়ে তিন কিলোমিটার পথ সিকিমে। এই পথে মোট পাঁচটি স্টেশন রয়েছে। এর মধ্যে সেবক, রিয়াং ও তিস্তা বাজার স্টেশন তিনটি বাংলায় এবং মেলি ও রংপো স্টেশন দু’টি সিকিমে থাকছে। আপাত ভাবে শুনতে সামান্য লাগলেও এই সাড়ে তিন কেলোমিটার পথই আগামী দিনে সিকিমের যান-মানচিত্রের আমূল পরিবর্তন ঘটাতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কতটা আশাবাদী পর্যটন-ব্যবসায়ীরা?বহু বছর ধরে সিকিমের পর্যটনের সঙ্গে নিবিড় ভাবে যুক্ত এবং পশ্চিমবঙ্গ ইকো ট্যুরিজ়ম বোর্ডের চেয়ারম্যান রাজ বসু বলছেন, ‘প্রাথমিক ভাবে হয়তো এই রুট খুব জনপ্রিয় হবে না। কারণ, অধিকাংশ যাত্রীই চাইবেন গাড়িতে বসে তিস্তার পাশের ওই রাস্তা ধরে সিকিম যাওয়ার অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে।’ তবে রাজের সংযোজন, ‘সিকিমে এই রেলপথ সম্প্রসারণের ফল সুদূরপ্রসারী হওয়ার সম্ভাবনা। চিন ইতিমধ্যেই নাথু লা-র ওপারে নিজের অংশে যাত্রিবাহী ট্রেন এনে ফেলেছে। আমরাও এ দিকে নাথু লা পর্যন্ত ট্রেন নিয়ে গেলে দার্জিলিং থেকে তিব্বত বেড়াতে যাওয়া অত্যন্ত সহজ হয়ে যাবে।’


from Bengali News, Latest Bangla Sangbad, News in Bengali, বাংলা খবর - Ei Samay https://ift.tt/JyCmK3N
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads