জামতাড়ার কায়দায় ছক কষে প্রশ্ন ফাঁসের প্ল্যান! https://ift.tt/Qqt5KxA - MAS News bengali

জামতাড়ার কায়দায় ছক কষে প্রশ্ন ফাঁসের প্ল্যান! https://ift.tt/Qqt5KxA

মানস রায় ও রণবীর দেব অধিকারী সাইবার ক্রাইমের সঙ্গে যুক্ত কুখ্যাত জামতাড়া গ্যাংয়ের রেশ টেনে এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্ন পাচারের রেফারেন্স দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর সে কথা যে উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়, তার প্রমাণ মিলল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়। ‘টাকা দিলেই বাড়ি বসে মিলবে উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র। পেমেন্ট করতে হবে কিউআর কোড স্ক্যান করে।’ এই ফাঁদে পা দিয়ে টাকা পাঠিয়েও সঠিক প্রশ্নপত্র মেলেনি বহু পরীক্ষার্থীর। খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা গিয়েছে পাখি উড়ে গিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, উচ্চ মাধ্যমিকে ভুয়ো প্রশ্নের প্রলোভন দেখিয়ে আদায় করা টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টেও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আর এর পিছনে কাজ করেছে একটি সুসংগঠিত চক্র বা গ্যাং। এই পুরো মোডাস অপারেন্ডির সঙ্গে সাইবার প্রতারকদের বিস্তর মিল খুঁজে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার নদিয়া থেকে এই চক্রের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড রূপম সাধুখাঁকে গ্রেপ্তার করে বিধাননগর পুলিশ। অভিযুক্তকে জেরা করে এই তথ্য সামনে এসেছে। প্রশ্ন ফাঁসের পরে কিছু স্ক্রিনশট আগেই পুলিশকে দিয়েছিল সংসদ। যা থেকে প্রাথমিক ভাবে অনেক কিছু জানা যায়। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পাচার রোধে বোর্ডগুলো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন গ্যাং প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়ায় চিন্তায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও সংসদ। বোর্ড কর্তাদের উদ্বেগের কারণ, তাঁরা যখন প্রশ্নপত্রে কিউআর কোড ব্যবহার করে পরীক্ষার হলে সহজে পাচারকারীকে চিহ্নিত করতে চাইছিলেন, সে সময়ে দুষ্কৃতীরা সেই প্রযুক্তিকে পাল্টা ব্যবহার করে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে টাকা লেনদেনের পথ আরও সহজ করে নেয়।প্রশ্ন আদানপ্রদানের জন্য খোলা হয় একাধিক টেলিগ্রাম গ্রুপ। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, প্রতারকরা টেলিগ্রাম গ্রুপে বিভিন্ন পরীক্ষার্থীর সঙ্গে প্রথমে যোগাযোগ করে। সেখানে একটি কিউআর কোড দিয়ে পেমেন্ট করতে বলা হয়। বহু পরীক্ষার্থী টাকা পাঠালেও প্রশ্নপত্র আর পায়নি। কারণ, এই প্রতারকদের কাছে প্রকৃত প্রশ্নপত্র ছিল না। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হয় মোটা অঙ্কের টাকা। তদন্তে উঠে এসেছে, সাইবার অপরাধীদের মতোই ওই টাকা লেনদেনে অন্যের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়। বিধাননগর কমিশনারেটের হাতে ধৃত রূপম সাঁধুখা টাকা জমা করতে ব্যবহার করে তাঁর বান্ধবীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও। সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সুরক্ষিত থাকলেও হাজার হাজার টাকার লেনদেনে প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পড়ুয়া-অভিভাবকরা।’ মাধ্যমিকেও মোবাইল ফোনের সাহায্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন পাচারের গ্যাং সক্রিয় ছিল মালদায়। পাশাপাশি মাধ্যমিকের প্রশ্ন পাচারে পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি গ্যাংয়ের যোগ পায় জেলা পুলিশ। ইংরেজি পরীক্ষার দিন মানিকচকের এনায়েতপুর হাইস্কুলের ইনভিজিলেটররা পরীক্ষা কেন্দ্রে একাধিক মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেন।যেখানে পাওয়া যায়, ‘এমপি ২০২৪ কোশ্চেন আউট’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। যেখানকার বেশিরভাগই সদস্যই ছিল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তদন্তে নেমে পুলিশ মানিকচকের গোপালপুর থেকে জীবন দাস নামে গৃহশিক্ষককে গ্রেপ্তার করে। জীবন একটি কোচিং সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত। মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘জীবনকে হেফাজতে নিয়ে জেরার সময়ে একটি ফোন নম্বর পাওয়া গিয়েছে। যেটা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আরও একটি কোচিং সেন্টারের সঙ্গে সম্পর্কিত। মাধ্যমিকে প্রশ্ন ফাঁস চক্রে এই কেন্দ্রটিও যুক্ত। কিন্তু তার ভূমিকা ঠিক কী ছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।’ মালদার মাধ্যমিক পরীক্ষা অ্যাডভাইসারি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক বিপ্লব গুপ্ত বলেন, ‘এ বারের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী বছর নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সুনির্দিষ্ট কিছু সুপারিশ পর্ষদের কাছে পাঠানো হবে। তবে সেগুলো এখনই প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না।’


from Bengali News, Latest Bangla Sangbad, News in Bengali, বাংলা খবর - Ei Samay https://ift.tt/Q3iL26F
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads