অন্ধ্রে বার্ড ফ্লু, চিন্তা বঙ্গেও? অভয় বিশেষজ্ঞদের https://ift.tt/7bRhIf4 - MAS News bengali

অন্ধ্রে বার্ড ফ্লু, চিন্তা বঙ্গেও? অভয় বিশেষজ্ঞদের https://ift.tt/7bRhIf4

অনির্বাণ ঘোষ ফের দিয়েছে দেশে। নেল্লোর-সহ অন্ধ্রপ্রদেশের বেশ কিছু জেলায় পোলট্রিতে তাণ্ডব চালাচ্ছে H5N1 ভাইরাস। ওই রাজ্যের পশুপালন দপ্তর রেড অ্যালার্ট জারি করেছে মুরগি পালনে। ফলে বাংলাতেও পোলট্রি মালিকরাও নড়েচড়ে বসেছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে। প্রশ্ন উঠেছে, এ রাজ্যেও ফের দেড় দশক আগের ত্রাস হানা দেবে না তো? অন্ধ্র থেকে আসা মুরগির ডিম খেলে সমস্যা দেখা দেবে না তো? বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, আতঙ্কের কিছু নেই। এ রাজ্যে অন্ধ্র থেকে বার্ড ফ্লু সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা কমই। * অন্ধ্রের অবস্থা # নেল্লোডর জেলার দু’টি গ্রামে সংক্রমণ ব্যাপক আকার নিয়েছে। # নেল্লোর জেলার পুধালাকুরু, কোভুরু এবং সাইদাপুরম এলাকায় গত ৩ মাসে বার্ড ফ্লুয়ের সংক্রমণে অন্তত ১০ হাজার মুরগির মৃত্যু হয়েছে। # জনবসতির ১ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে আগামী তিন মাস মুরগির মাংস বিক্রির দোকান বন্ধ থাকার নির্দেশিকা জারি করেছে পুলিশ-প্রশাসন।# পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে দু’টি গ্রামের বাইরেরও ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা। শনিবার পর্যন্ত এই এলাকায় মুরগির মাংস বিক্রি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ জারি করেছেন জেলা পশুপালন দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা বি মহেশ্বরুদু। # হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে নেল্লোরে। সংলগ্ন জেলাগুলিতেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। # যেহেতু পোলট্রিগুলিতেই সংক্রমণ বেড়েছে, তাই আগামী ১৫ দিন পোলট্রি থেকে অন্য কোথাও মুরগির চালানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। * চিন্তা কোথায় # ঋতু বদলের এই মরসুমে বাংলাতেও H5N1 ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। # যদি মুরগি থেকে মানুষে সংক্রমণ ছড়ায় এবং সংক্রমিত ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ার আগেই বাংলায় আসেন, সে ক্ষেত্রে এ রাজ্যেও ছড়াতে পারে সংক্রমণ। # অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে প্রচুর মুরগির ডিম আসে বাংলায়। সেগুলি সংক্রমিত মুরগির হলে এখানেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে ‘থিয়োরিটিক্যালি’ মনে করেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। * যে ভাবে ছড়ায় সংক্রমণ # বন্য পক্ষীকুলের চেয়েও বেশি ছড়ায় পোলট্রি ফার্মের মাধ্যমে। তবে হাঁস-মুরগি খাওয়া থেকে এই সংক্রমণ ছড়ানোর বিপদ নেই বলে জানাচ্ছেন রাজ্য প্রাণি ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিশেষজ্ঞ সিদ্ধার্থনারায়ণ জোয়ারদার। কেননা, যে তাপমাত্রায় রান্না করা হয়, তাতে ভাইরাস মরে যায়। একই কথা প্রযোজ্য ডিম সিদ্ধ কিংবা অমলেটের ক্ষেত্রে। তবে ডিমের হাফ বয়েল কিংবা পোচ এ সময়ে না খাওয়াই ভালো বলে জানাচ্ছেন তিনি। # বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যান্য ফ্লুয়ের মতো বার্ড ফ্লুও ড্রপলেট ইনফেকশন। অর্থাৎ, ছড়ায় নাক-মুখ থেকে নিঃসৃত সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম জলকণা বা ড্রপলেট অন্য পাখির শ্বাসনালীতে ঢুকে গেলে। যে ক’টি নজির রয়েছে মানুষে ছড়ানোর, সেগুলিও একই ভাবে ছড়িয়েছে। ওই ব্যক্তিরা সকলেই পোলট্রিতে হাঁস-মুরগি ‘হ্যান্ডল’ করতেন। * বিশেষজ্ঞদের আশ্বাস # হাঁস-মুরগি-ডিম রান্না কিংবা সেদ্ধ করে খান নিশ্চিন্তে। প্রথমত, উচ্চ তাপমাত্রায় ভাইরাস মরে যায় এবং দ্বিতীয়ত, খাদ্যনালীর মাধ্যমে এই ভাইরাসের সংক্রমণ হয় না, হয় শ্বাসনালীর মাধ্যমে। # ভাইরোলজি বিশেষজ্ঞ সৌরীশ ঘোষ জানাচ্ছেন, পাখি থেকে মানুষে (মূলত যারা পোলট্রি হ্যান্ডল করে) সংক্রমণের নজির খুবই কম, গত আড়াই দশকে মাত্র আটটি। তা-ও এ দেশে নয়। # মানুষ থেকে মানুষে ছড়ানোর নজির এখনও সারা দুনিয়ায় একটিও নেই। # মদনমোহনের কথায়, ‘বার্ড ফ্লু এখানেও ছড়ালে লোকসান হবে পোলট্রি মালিকদের। কেননা, মরবে মুরগি। মানুষের ভয় নেই।’ ( ‘অন্ধ্রের মুরগি থেকে বাংলার পোলট্রিতে বার্ড ফ্লু ছড়ানোর আশঙ্কা নেই। কেননা, বাংলায় চাহিদার ১৪০% উৎপাদন হয়। আমাদের এখানে অন্য রাজ্য থেকে মুরগি আসে না। তবে অন্ধ্র থেকে ডিম এলে তা খানিকটা চিন্তার।’)---- মদনমোহন মাইতি, সাধারণ সম্পাদক, ওয়েস্টবেঙ্গল পোলট্রি ফেডারেশন।


from Bengali News, Latest Bangla Sangbad, News in Bengali, বাংলা খবর - Ei Samay https://ift.tt/5clrUJW
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads