বুনো ফলের গাছ সংরক্ষণে বি গার্ডেনে বিশেষ বিভাগ https://ift.tt/fMet2IL - MAS News bengali

বুনো ফলের গাছ সংরক্ষণে বি গার্ডেনে বিশেষ বিভাগ https://ift.tt/fMet2IL

এই সময়, শিবপুর: আতা গাছে তোতা পাখি ডালিম গাছে মৌ— যোগীন্দ্রনাথ সরকারের এই ছড়াতেই বাংলার অনেক শিশুর অক্ষর পরিচয় হয়েছে। কিন্ত সেই আতা বা ডালিম গাছের দেখা মেলাই এখন ভার। তেমনই নজরের বাইরে চলে যাচ্ছে ফলসা, জলপাই, বনজামের মতো অনেক জংলি ফল। জংলি ফল বা ওয়াইল্ড এডিবল ফ্রুটের সংরক্ষণে এ বার উদ্যোগ নিয়েছে শিবপুরের এজেসি বোস ইন্ডিয়ান বোটানিক গার্ডেন। অনেক বন্যপ্রাণীর মতো বন্য উদ্ভিদও অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছে। সেইসব গাছের অস্তিত্ব এখন ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে তা রেকর্ড করা, এখনও এই ধরনের গাছের যত প্রজাতি টিকে রয়েছে সেগুলি সংরক্ষণ করার দিকে বনমন্ত্রক নজর দিয়েছে। কারণ ক্রমাগত বন সাফ করে বসতি গড়া ও কৃষিজমির আয়তন বৃদ্ধি হচ্ছে বলে বন্য গাছগাছালির অস্তিত্বও ক্রমেই সঙ্কটে পড়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া নির্বিচারে গাছকাটা তো আছেই। তা ছাড়া বাস্তুতন্ত্রে এইসব গাছের ভূমিকা এবং এদের সংরক্ষণ এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে সেই ব্যপারে বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় তৈরিও এখন বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। সে কখা মাথায় রেখেই এজেসি বোস বোটানিক গার্ডেনের ২১ ডিভিশনে বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার উদ্যোগে একটি পৃথক সংরক্ষিত অংশে চালু হয়েছে নতুন বিভাগটি। একটি কমলার (অরেঞ্জ) চারা রোপণ করে নতুন এই বিভাগের সূচনা করেন কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের যুগ্মসচিব নমিতা প্রসাদ। উপস্থিত ছিলেন বোট্যানিক গার্ডেনের জয়েন্ট ডিরেক্টর দেবেন্দ্র সিং। ভবিষ্যতে বিলুপ্ত হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে ও গবেষণার স্বার্থে এইসব ফলের গাছ সংরক্ষণের ব্যবস্থা হচ্ছে বলে জানান তিনি।নতুন বিভাগের সূচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর এএ মাও। মাও বলেন, ‘মানুষের খাদ্য জংলি ফল মানুষের ভবিষ্যতের জন্যই সংরক্ষণ করা একান্ত জরুরি। এর থেকে পুষ্টি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ঐতিহ্যগত উপকার পাওয়া সম্ভব। ক্রমেই বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতেই এই সংরক্ষণ জরুরি।’ মাও একটি ফলসা (গ্রেইয়া এশিয়াটিকা) গাছের চারা রোপণ করেন। বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অন্যান্য আধিকারিকরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বোট্যানিক গার্ডেনের জয়েন্ট ডিরেক্টর দেবেন্দ্র সিং বলেন, ‘কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের অধীন সংস্থা হিসেবে আমাদের দায়িত্ব ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এইসব গাছের অস্তিত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করা। খাওয়ার উপযুক্ত বনফল বিভাগের সাহায্যে আমরা ছাত্রছাত্রী, গবেষক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করব।’আমলকি, জামরুলের মতো অনেক ফলই এ দেশে সেভাবে চাষ হয় না। বন থেকে সংগ্রহ করতে হয়। তাই শিবপুর বাগানের এই ডিভিশনে আমলকি, জামরুল, বনজাম, পিয়াল, বহড়া, আঁশফল, কেন্দু, আতা, নোনা, ডালিম, জলপাই, তমাল, খিরনি, ভল্লাতের মতো জংলি গাছ সংরক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন দেবেন্দ্র সিং। এ ভাবে নিজের উৎসস্থলের বাইরে গাছের সংরক্ষণকে উদ্ভিদবিদ্যার পরিভাষায় এক্স-সিটু সংরক্ষণ বলা হয়। শিবপুরের বাগানে আতা, ডালিম গাছে তোতা বা মৌটুসি পাখি বসবে কি না, তা ভবিষ্যতই বলবে।


from Bengali News, Latest Bangla Sangbad, News in Bengali, বাংলা খবর - Ei Samay https://ift.tt/dA5nfBZ
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads