২৩-এর একুশে লক্ষ্য রেকর্ড ভিড় https://ift.tt/6sZrOSQ - MAS News bengali

২৩-এর একুশে লক্ষ্য রেকর্ড ভিড় https://ift.tt/6sZrOSQ

এই সময়: কোনও ব্লক নেতৃত্ব ইতিমধ্যে বাসের বুকিং করে ফেলেছেন, কেউ আবার সদস্য-সমর্থকদের জন্য ট্রেনের টিকিট কাটতে দিয়েছেন। কোথাও ম্যাটাডর, মিনিডর বুক করা হচ্ছে, কোথাও আবার ছোট গাড়ির বুকিংও শুরু হয়েছে। তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের দিকে তাকিয়ে জেলায় জেলায় জোড়াফুল শিবিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। একই সঙ্গে উত্তরবঙ্গ-সহ দূরবর্তী জেলাগুলি থেকে যে জনতা শহরে আসবে, তাদের রাত্রিবাসের জন্যও বৃহত্তর কলকাতার তৃণমূল নেতৃত্ব প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। জেলায় জেলায় কী রকম প্রস্তুতি চলছে?নদিয়া জেলার হরিণঘাটা ব্লক নেতৃত্ব ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের জন্য ইতিমধ্যে ১১০টি বাস বুক করেছে। জলপাইগুড়ি জেলা নেতৃত্ব তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস, কাঞ্চনকন্যা, হলদিবাড়ি, দার্জিলিং মেলের মতো ট্রেনে হাজার হাজার টিকিট বুকিং শুরু করে দিয়েছে। তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব থেকে যে নির্দেশ গিয়েছে, তাতে রাজ্যের প্রতিটি বুথ থেকেই কর্মী-সমর্থকদের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে যোগ দিতে বলা হয়েছে। কোন বুথ থেকে কত লোক যাবে, তা সেখানকার অঞ্চল ও ব্লক নেতৃত্ব চূড়ান্ত করবেন। কোচবিহারের বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহর কথায়, 'প্রতিটি বুথে, ব্লকে কর্মী-সমর্থকরা প্রস্তুতি শুরু করেছেন।' কোচবিহার থেকে ১০-১৫ হাজার লোক কলকাতায় যাবে ধরে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। জলপাইগুড়ি জেলার তৃণমূল সভাপতি মহুয়া গোপের কথায়, 'প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে কমবেশি দু'শো মানুষ যাবেন। অধিকাংশই ট্রেনে যাবেন। ট্রেনে টিকিট টাকা শুরু হয়ে গিয়েছে।'পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামের মতো দূরের জেলার জনতা ১৯-২০ জুলাই নাগাদ কলকাতায় পৌঁছে যাবেন। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছেন তৃণমূলের কলকাতার নেতারা। সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে ৩০ হাজার লোক রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। মূলত দুই দিনাজপুর, কোচবিহার, নিউ আলিপুর, জলপাইগুড়ি থেকে আসা কর্মীদের সেখানে রাখা হবে। কয়েকদিন আগেই যাবতীয় প্রস্তুতি দেখে এসেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেন্ট্রাল পার্কে কর্মীদের দেখভালের দায়িত্বে থাকা দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, 'জেলা থেকে আসা মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেজন্য যাবতীয় ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।' মালদা, মুর্শিদাবাদ থেকে আসা সমর্থকদের রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে। এখানে থাকবেন ২০-২৫ হাজার কর্মী-সমর্থক। সবার জন্য দু'বেলা খাবারের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে পর্যাপ্ত পানীয় জল, বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন কলকাতা পুরসভার ১২ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান সুশান্তকুমার ঘোষ। রবিবার তিনি জানান, যাবতীয় প্রস্তুতি শেষের পথে।বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলার কর্মীদের থাকার জন্য উত্তর কলকাতার বড়বাজার, বউবাজার চত্বরে বেশ কিছু গেস্ট হাউস, হোটেল, ধর্মশালা ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে ২০ হাজার লোক থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে সেখানে। বনগাঁ ও রানাঘাটের মতুয়া বলয় থেকে রেকর্ড সংখ্যায় কর্মী-সমর্থককে ধর্মতলায় নিয়ে যেতে চাইছে তৃণমূল। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের কথায়, 'অন্তত ৩০-৩৫ হাজার মানুষ যাবেন। সবাই ট্রেনে যাবেন।' আরামবাগের তৃণমূল নেতৃত্ব প্রতিটি ব্লককে পাঁচ হাজার লোক নিয়ে যাওয়ার টার্গেট দিয়েছে। জেলা সভাপতি রামেন্দু সিংহরায়ের কথায়, 'পাঁচটি ব্লক ও দু'টি টাউন থেকে অন্তত ৩৫ হাজার মানুষ যাবেন।' নন্দীগ্রামের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা ইতিমধ্যে শতাধিক বাস বুক করে ফেলেছেন। তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্রের কথায়, 'নন্দীগ্রামের দু'টি ব্লক ও ময়না থেকে মানুষ বাসে যাবেন। বাকি আটটি ব্লক থেকে ট্রেনে যাবে জনতা। প্রায় ৭০-৭৫ হাজার মানুষ যাবেন ধর্মতলায়।'


from Bengali News, বাংলা সংবাদ, আজকের বাংলা খবর, Live Bangla News, News in Bangla, Bengali News Today https://ift.tt/pbnPI21
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads