মাঝরাতে ঝাড়গ্রামে বস্তার গোডাউনে আগুন, মৃত্যু ১! ক্ষতি ১৫ লাখ টাকার https://ift.tt/cOVf4jv - MAS News bengali

মাঝরাতে ঝাড়গ্রামে বস্তার গোডাউনে আগুন, মৃত্যু ১! ক্ষতি ১৫ লাখ টাকার https://ift.tt/cOVf4jv

West Bengal Local News : বস্তার গোডাউনে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়ে গেল ১৫ লাখ টাকার সামগ্রী। ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে গোডাউনের এক কর্মচারীর। ঘটনাটি ঘটে রবিবার ভোররাতে ঝাড়গ্রাম শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জামদা এলাকার ঘটনা। মৃত কর্মচারীর নাম অরবিন্দ সাউ (৫৫)। বাড়ি বাঁকুড়া জেলার কেঠারডাঙা গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার গভীর রাতে আনুমানিক দু'টোর সময় গোডাউনের মধ্য থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন গোডাউনের মালিক কর্মবীর সাউ। তারপরেই গোডাউনের ভিতরে থাকা কর্মচারী অরবিন্দকে ফোন করলে ফোন না ধরায় বিষয়টি তড়িঘড়ি আত্মীয়-স্বজনকে জানানো হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে এবং দমকল বাহিনীকে। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ঝাড়গ্রাম দমকল বিভাগের কর্মীরা। মধ্যরাত থেকেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করে দমকল বাহিনীর কর্মীরা। গোডাউনের ভিতরে প্রায় ৫০ হাজারের উপর চটের বস্তা মজুত ছিল। যার জেরে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোডাউনের মধ্যেই। গোডাউনের দোতালায় থাকতো মালিকের পরিবার। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণে ঘটনাস্থলে আরও দমকলের আরও দুটো ইঞ্জিন পৌঁছয়। সকালে জেসিপি দিয়ে গোডাউনের জানলা-দরজা ভেঙে জ্বলন্ত বস্তা বাইরে বার করে নেভানো হয়। গোডাউনের মালিক কর্মবীর সাউ জানান, গোডাউনের মধ্যে প্রায় ১৫ লাখ টাকার চটের বস্তা মজুদ ছিল। বাঁকুড়ার আমার এক কর্মচারী রাত্রে বেলায় গোডাউনে ছিল। আমি রাত্রে ঘুম থেকে উঠে দেখি গোডাউন থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। তারপরেই আমার কর্মচারীকে ফোন করলে ফোনে পাইনি। ফোনে না পেতেই বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে জানায়। দমকল এবং পুলিশ পৌঁছে আগুন নিভিয়ে গোডাউনের ভিতরে থাকা কর্মচারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।"গোডাউনে কী ভাবে আগুন লাগল এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "আমার কর্মচারী প্রচুর বিড়ি সিগারেট খেত। আমি বলেছিলাম গোডাউনের ভিতরে বিড়ি না খাওয়ার জন্য। হয়তো বিড়ি খাওয়ার জন্যই আগুন লেগেছে।" এত বড় গোডাউনে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা নেই কেন সেই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "আমরা বিভিন্ন রেশন দোকান থেকে রেশনের চালের বস্তা কিনে এনে এখানে সেলাই করে পুনরায় বিক্রি করি। সব সময় গোডাউনে বেশি বস্তা থাকে না। তাই আগুন নেভানোর বড় কোনও ব্যবস্থা নেই।" শনিবার মধ্যরাত দুটো থেকে শুরু করে রবিবার দুপুর দুটোই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় দমকল বাহিনী। সকালে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ঝাড়গ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান কবিতা ঘোষ, ভাইস চেয়ারম্যান সুখী সরেন এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রবীর পাল।


from Bengali News, বাংলা খবর, Bangla News, Ajker Khobor, Latest Bengali News - Ei Samay https://ift.tt/8oFHl60
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads