বাঘেদের খাদ্য ভাণ্ডার সুনিশ্চিত করার প্রয়াস, ৮৬ চিতল হরিণ আনা হল বক্সায় https://ift.tt/o6nl12k - MAS News bengali

বাঘেদের খাদ্য ভাণ্ডার সুনিশ্চিত করার প্রয়াস, ৮৬ চিতল হরিণ আনা হল বক্সায় https://ift.tt/o6nl12k

West Bengal News : ব্যাঘ্র সংরক্ষণে নজর বন দফতরের। তার জন্য বাঘের খাদ্য ভাণ্ডার সুনিশ্চিত করার তাগিদে বীরভূমের বল্লভপুর অভয়ারণ্য থেকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বক্সার জঙ্গলে ৮৬ টি নিয়ে এল বন দফতর। পাশাপাশি, জঙ্গল সংলগ্ন জনবসতি এলাকায় বাঘের চলে আসার বিষয়টিকেও রোধ করা যাবে বলে মনে করছে বন দফতর। সূত্রে খবর, গত বছরের প্রথম দিকে শিলিগুড়ি বেঙ্গল সাফারি থেকে শেষবার চিতল হরিণ আনা হয়েছিল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে জঙ্গলে। গত তিন বছরে এই নিয়ে ৫০০ টিরও বেশি চিতল হরিণ বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে ছাড়া হয়। সম্প্রতি চিফ ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডের তরফ থেকে নির্দেশ পেতেই হরিণ ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু করে বনদফতর। গত ১১ ই মার্চ বীরভূমের বল্লভপুর অভয়ারণ্যে হরিণ গুলি ধরার প্রক্রিয়া শুরু করে বনকর্মীরা। বল্লভপুর জঙ্গলের ভেতরে বোমা ম্যাথডের মাধ্যমে হরিণ গুলিকে বন্দী করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। বোমা ম্যাথড শুনে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, এ আবার কেমন পদ্ধতি? জঙ্গলের গভীরে মাটি কেটে বহনকারী ট্রাকটিকে লুকিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। ট্রাকের পেছনদিকের দুপাশ দিয়ে বিশাল আকার জালের দেয়াল তৈরি করে জালগুলি সহ পুরো ট্রাকটিকে গাছের লতা পাতা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। ট্রাকের ভেতরে হরিণদের পছন্দমত খাবার ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয় কর্মীরা। সেই খাবার খেতে হরিণ গুলি ট্রাকের ভেতরে পৌঁছোতেই চটজলদি ট্রাকের পেছনের মুখ বন্ধ করে দেয় বনকর্মীরা। এইভাবে নির্দিষ্ট সংখ্যার হরিণ ধরা পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলে। এইভাবে বল্লভপুর অভয়ারণ্য থেকে ৮৬ টি হরিণ ধরতে সময় লাগে প্রায় ৫ দিন। গতকাল বিকেল নাগাদ হরিণগুলি ধরা শেষ হলে সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ তিনটি ট্রাকে করে হরিণ গুলিকে নিয়ে আসার উদ্দেশ্যে রওনা হয় বনকর্মীরা।সড়কপথে ১৯ ঘণ্টা পথ পাড়ি দিয়ে শুক্রবার দুপুর ২ টা ১০ মিনিটে হরিণ গুলি বক্সার জঙ্গলে এসে পৌঁছয়। দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার ঘটনায় হরিণ গুলিকে ধকল দুর করতে তাদের কিছুক্ষণ বিশ্রাম দেয়া হয়। এরপর হরিণ গুলিকে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের গভীর জঙ্গলে মুক্ত করে । বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র আধিকারিক অপূর্ব সেন বলেন, "বক্সার জঙ্গলে বাঘেদের খাবার জন্য সম্বর ও বার্কিং দিয়ার প্রজাতির পর্যাপ্ত হরিণ রয়েছে। তবে হামেশাই বাঘেদের অন্যান্য হরিণের চেয়ে চিতল হরিণ বেশি সুস্বাদু বলে অনুমান। সেই ঘটনায় আজ বীরভূম থেকে মোট ৮৬ টি চিতল হরিণ বক্সার জঙ্গলে আনা হয়েছে।"


from Bengali News, বাংলা খবর, Bangla News, Ajker Khobor, Latest Bengali News - Ei Samay https://ift.tt/FjtW3Qu
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads