অনুব্রতহীন বীরভূমেও নড়বড়ে পদ্মের সংগঠন, কী যুক্তি নেতাদের? https://ift.tt/nRGmP5j - MAS News bengali

অনুব্রতহীন বীরভূমেও নড়বড়ে পদ্মের সংগঠন, কী যুক্তি নেতাদের? https://ift.tt/nRGmP5j

মণিপুষ্পক সেনগুপ্তআর ক'জন গ্রেপ্তার হলে সংগঠন গড়া যাবে? বীরভূম জেলার বিজেপি নেতাদের কাছে এ প্রশ্নেরই সদুত্তর চাইছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কারণ, তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল গ্রেপ্তার হওয়ার আগেও বীরভূমে বিজেপির সংগঠনের যে নড়বড়ে দশা ছিল, এখনও তা-ই আছে। দলীয় সূত্রের খবর, নতুন করে একটি বুথেও বিজেপি কমিটি গড়তে পারেনি কেষ্টহীন বীরভূমে। অথচ অনুব্রতকে সিবিআই গ্রেপ্তার করার আগের দিন পর্যন্ত জেলার বিজেপি নেতারা তাঁদের সাংগঠনিক দুর্বলতার জন্য কাঠগড়ায় তুলতেন তৃণমূলের জেলা সভাপতিকেই। তাঁদের দাবি ছিল, বীরভূম জুড়ে কেষ্ট সন্ত্রাসের আবহ কায়েম করে রেখেছে। ফলে অনেকেই ভয়ে প্রকাশ্যে বিজেপি করতে পারছেন না। কেষ্ট গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রায় সাত মাস। তার পরেও কেন বীরভূমে শক্তিশালী সংগঠন গড়ে উঠছে না বিজেপির? কেনই বা দলীয় মিটিং মিছিলে হাজার হাজার মানুষ পদ্ম-ঝান্ডা নিয়ে সিউড়ি অথবা বোলপুরের রাস্তায় মিছিল করছেন না? এই প্রশ্নগুলিই সম্প্রতি তুলেছেন বিজেপির দুই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল এবং মঙ্গল পাণ্ডে। এখনও জেলাস্তরের বিজেপি নেতারা অবশ্য সন্ত্রাসের সেই চেনা অভিযোগকেই খাড়া করে চলেছেন। যদিও তৃণমূলের বক্তব্য, নাচতে না জানলে উঠোন তো বাঁকা হবেই।ক'দিন আগেই বীরভূমে সাংগঠনিক বৈঠক করতে গিয়েছিলেন সুনীল। সেখানে বিজেপির জেলার নেতাদের কাছে তিনি দলের বুথওয়াড়ি সাংগঠনিক রিপোর্ট দেখতে চান। যা দেখে তিনি কার্যত হতাশ বলে বিজেপি সূত্রের খবর। এক বিজেপি বিধায়কের কথায়, 'বীরভূমের সাংগঠনিক কার্যকলাপে খুশি নন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। গোটা তৃণমূল দলটা জেলে গেলেও কি বীরভূমে বিজেপির সংগঠন মজবুত হবে?' কাজের সুবিধার জন্য বীরভূমকে দু'টি সাংগঠনিক জেলায় ভাগ করেছে বিজেপি। বীরভূম এবং বোলপুর। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে দু'টি জেলা মিলিয়ে তিরিশ শতাংশ বুথেও কমিটি নেই গেরুয়া শিবিরের। রাজ্যজুড়ে বিজেপি যে বুথ সশক্তিকরণ অভিযান শুরু করেছে, তাতেও বীরভূম এবং বোলপুরে বিশেষ সাড়া মিলছে না বলে রাজ্য বিজেপি দপ্তরে বার্তা এসেছে। কিছু দিন আগে সুনীল বনসলের নেতৃত্বে বীরভূমে যে সাংগঠনিক বৈঠক হয়েছে সেখানেও গরহাজির ছিলেন জেলাস্তরের বেশ কয়েকজন নেতা।বীরভূম প্রশাসনিক জেলার ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে দুবরাজপুর কেন্দ্রটিই বিজেপির দখলে। ওই কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অনুপকুমার সাহা এ প্রসঙ্গে বলেন, 'অনুব্রত মণ্ডল গ্রেপ্তার হয়েছেন ঠিকই। কিন্তু বীরভূমে তৃণমূলের সন্ত্রাস কমেনি। জেলাজুড়ে ব্যাপক সন্ত্রাস চলছে।' একই দাবি বীরভূম সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহারও। তিনি বলেন, 'পুলিশই তো সন্ত্রাস চালাচ্ছে। অনুব্রত জেলে ঠিকই, কিন্তু তৃণমূলের সন্ত্রাস-নীতি একই আছে।' বোলপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি শশীচরণ মণ্ডলেরও বক্তব্য, 'জেলার সর্বত্রই সন্ত্রাসের পরিবেশ। মানুষ আতঙ্কিত। অনুব্রতর সাঙ্গপাঙ্গরা তো ঘুরে বেড়াচ্ছে।' রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'অনুব্রত ব্যক্তি মাত্র। সমস্যা তৃণমূলের নীতিতে। অনুব্রতর নীতির সঙ্গে তার কোনও ফারাক নেই। সন্ত্রাস কায়েম করাই শেষ কথা। অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে পুলিশই সেই কাজটা করছে। তবে তৃণমূল দিঘিতে ডুবেছে, সাগরেও ডুববে।' পাল্টা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের কটাক্ষ, 'নাচতে না জানলে উঠোন তো বাঁকা হবেই। যে দল পঞ্চায়েত ভোটে ৭০ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পারবে না, সেই দল সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে নিজেদের মুখরক্ষার চেষ্টা তো করবেই। এ আর নতুন কী!'


from Bengali News, বাংলা খবর, Bangla News, Ajker Khobor, Latest Bengali News - Ei Samay https://ift.tt/Y7CdQMA
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads