২ চিংড়ি ব্যবসায়ীর বাড়িতে আয়কর হানা https://ift.tt/c4ijYCy - MAS News bengali

২ চিংড়ি ব্যবসায়ীর বাড়িতে আয়কর হানা https://ift.tt/c4ijYCy

এই সময়, কাঁথি: কাঁথির () দুই চিংড়ি ব্যবসায়ীর বাড়িতে এবার তল্লাশি চালালো ()। বুধ ও বৃহস্পতিবার পর পর দুই মাছ ব্যবসায়ীর বাড়িতে আয়কর হানায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এর আগেও কাঁথির মাজনা এলাকায় কয়েকজন কাজু ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছিল আয়কর দপ্তর। এবারের অভিযানে আয়কর আধিকারিকরা একাধিক দলে ভাগ হয়ে দুই ব্যবসায়ীর কাঁথি ও কলকাতার একাধিক বাড়ি, প্রসেসিং ইউনিট,অফিসে তল্লাশি চালান।বুধবার সকালে একটি দল ব্যবসায়ী মমরেজ আলির পিছাবনির প্রসেসিং ইউনিট, কলকাতার কালিন্দীর বাড়ি, ট্যাংরায় একাধিক বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালায়। তবে কাঁথির বাড়ি, অফিসে, সময়ে মমরেজ জেলায় ছিলেন না। তিনি ছিলেন কলকাতায়। বুধবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আয়কর দপ্তরের জিজ্ঞাসাবাদে মমরেজের দাদা কামরেজ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।অন্যদিকে, মমরেজের বাড়ির পাশাপাশি আরও এক চিংড়ি ব্যবসায়ী চিন্তামনি মণ্ডলের বাড়ি,অফিস, কারখানা এবং শোরুমেও হানা দেয় আয়কর দপ্তর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি চিংড়ি মাছের ফিসারি এবং উৎপাদিত মাছ প্রসেসিং করে বিদেশে রপ্তানির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। পূর্ব মেদিনীপুর এবং কলকাতায় একাধিক চিংড়ি প্রসেসিং ইউনিট রয়েছে মমরেজ এবং চিন্তামনির। কয়েক বছর আগে চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধি ও রপ্তানির জন্যে মৎস্য দপ্তরের মীনমিত্র পুরস্কারও পেয়েছিলেন মমরেজ। তিনি ৬টি বাড়ির মালিক বলেও স্থানীয় সূত্রে খবর।জানা গিয়েছে, মমরেজ এবং চিন্তামনি দুজনেই এক সময় ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু শুভেন্দু বিজেপিতে চলে গেলেও তাঁরা দুজনে তৃণমূলে থেকে যান। এমনকী, শুভেন্দু অধিকারী কাঁথি কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান থাকার সময়ে চিন্তামনি মণ্ডল ওই ব্যাঙ্কের ভাইস চেয়ারম্যানও ছিলেন। শুধু তাই নয়, শুভেন্দুর পরে চিন্তামনি ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও সামলেছিলেন। আর মমরেজ আলি ছিলেন কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের ভাইস চেয়ারম্যান। তবে আয়কর দপ্তরের হানা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি দুই পরিবারের লোকেরা। তাঁদের বাড়ি থেকে কী উদ্ধার হয়েছে তাও জানা যায়নি।এদিকে, রামনগরে এদিন তৃণমূলের সভা থেকে আয়কর দপ্তরের হানা নিয়ে মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, 'কেন্দ্রীয় সংস্থার লোকজন বিজেপি নেতাদের বাড়িতে যাচ্ছে না। মমরেজ তৃণমূল করে। সেজন্য তাঁর বাড়িতে গিয়ে তিন লক্ষ টাকা পেয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার লোকেদের চোরের মতো আসতে হচ্ছে। বাড়ির লোক বেড়াতে গিয়েছে। আর সাত সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এসে মশারি তুলে বলছে বেরিয়ে আসুন।' অন্যদিকে, বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুদাম পন্ডিত বলেন, 'আয়কর দপ্তর কেন্দ্রীয় সংস্থা। আইন মেনে কাজ করে। অহেতুক রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছে তৃণমূল নেতারা।'


from Bengali News, বাংলা খবর, Bangla News, Ajker Khobor, Latest Bengali News - Ei Samay https://ift.tt/bHe8xdE
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads