ফরওয়ার্ড ব্লকের বুক স্টলে জ্যোতিষ-তন্ত্রসাধনার বই! বিতর্কের পড়ে মুখ খুলল নেতৃত্ব https://ift.tt/yCJQD09 - MAS News bengali

ফরওয়ার্ড ব্লকের বুক স্টলে জ্যোতিষ-তন্ত্রসাধনার বই! বিতর্কের পড়ে মুখ খুলল নেতৃত্ব https://ift.tt/yCJQD09

দুর্গাপুজো, কালীপুজোর সময় নিয়ম করে প্রগতিশীল বুক স্টল বসায় বামেরা। এ বছরও তার অন্যথা হয়নি। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এই বুক স্টলে ব্যাপক ভিড় নিয়ে ফলাও করে প্রচারে নেমেছেন বামপন্থীরা। কিন্তু, সেই বুক স্টল নিয়েই এবার বিতর্ক। বামেদের এই বিপণীতে দেখা গেল জ্যোতিষশাস্ত্র-তন্ত্রসাধনার বই। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যমগ্রামে সোদপুর বারাসত রোডের এই ফরওয়ার্ড ব্লকের বুক স্টলে। আর এই বই বিপণীর ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই হইচই পড়ে গিয়েছে চতুর্দিকে। বিষয়টি নিয়ে কী জানাচ্ছে ফরোয়ার্ড ব্লক? বামেদের বুক স্টলে জ্যোতিষশাস্ত্র-তন্ত্রসাধনার বই! নিয়ে মধ্যমগ্রামে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মধ্যমগ্রাম লোকাল কমিটির উদ্যোগে কালীপুজোর উৎসবে সোদপুর বারাসত রোডে একটি বুক স্টল বসানো হয়। সেখানেই দেখা যায় জ্যোতিষশাস্ত্রের একটি বই। প্রগতিশীল এবং বামপন্থা সংক্রান্ত বইগুলির ভিড়ে অ্যাস্ট্রোলজির বই দেখে চক্ষু চড়কগাছ বাম মনোভাবপন্নদের। যে বিষয়টিকে অযৌক্তিক বলে দাবি করে বামপন্থীরা, সেখানে তাদের স্টলে কী করে একটি জ্যোতিষ সংক্রান্ত বই রাখা হল? এই নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এখানেই শেষ নয়। জ্যোতিষশাস্ত্রের পাশাপাশি এই তে দেখা গিয়েছে গীতা, রামকৃষ্ণ কথামৃতের মতো একাধিক ধর্মীয় বই। এই বইগুলি সাধারণত বামেদের বুক স্টলে দেখা যায় না বলে মনে করছেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। ফলে ঘোরতর আপত্তি প্রকাশ করেছেন অনেকেই। এ প্রসঙ্গে এই সময় ডিজিটালের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় উত্তর ২৪ পরগনা ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, "এটা একটা বিরাট ভুল। বড় ত্রুটি। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সেই বিষয়ে আমরা সতর্ক থাকব। এই ভুলের কোনও ক্ষমতা থাকে না। এলাকারা দলীয় কর্মীদরেই ভুল হয়েছে। অভিযোগ আসা মাত্রই আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখেছি।" এদিকে, স্টলে উপস্থিত কর্মী সুকমল অবশ্য অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁর কথায়, "৩০-৪০ বছর ধরে ফরওয়ার্ড ব্লক এই অঞ্চলে বই বিপণী চালিয়ে আসছে। এখানে কেবলমাত্র পার্টির বই থাকে তা নয়। কোনও ব্যক্তি এসে যদি বইয়ের অর্ডার দেন, সেই বইও কলেজ স্ট্রিট থেকে এনে দেওয়া হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রের বই, গীতা এবং আয়র্বেদিক বইয়ের অর্ডার এসেছিল তাই আনিয়ে দেওয়া হয়েছে।" কিন্তু, একটি প্রগতিশীল যুক্তিবাদী স্টলে জ্যোতিষশাস্ত্রের বই রাখা উচিত কিনা, সে প্রসঙ্গে ওই দলীয় কর্মী বলেন, "আমরা এই বিপণীতে কোনও ধুপকাঠি জ্বালাই না। আমরা ঠাকুর মানি না। আমরা মনুষ্যত্ব মানি।" ফরওয়ার্ড ব্লকের বুক স্টলে জ্যোতিষবিদ্যার বই বিক্রি হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। তির্যক মন্তব্য উড়ে এসেছে তৃণমূল এবং BJP মনোভাবাপন্ন নেটিজেনদের তরফেও। সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই ওই বইগুলি স্টল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।


from Bengali News, Bangla News Live, আজকের বাংলা খবর, Current News in Bengali, বাংলা নিউজ, কলকাতা বাংলা খবর - এই সময় https://ift.tt/FJlDMGr

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads