ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী? কী জানাচ্ছে হাওয়া অফিস https://ift.tt/UyzpVgK - MAS News bengali

ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী? কী জানাচ্ছে হাওয়া অফিস https://ift.tt/UyzpVgK

আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই রাজ্যে আসতে চলেছে কালবৈশাখী। এমনটাই জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। যদিও সকাল থেকেই চড়া রোদ দিনভর চাঁদিফাটা গরমেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। বৃহস্পতিবারও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী থাকবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। চলতি সপ্তাহে কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবার্তন চোখে পড়েনি। যদিও উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাত হয়েছে। বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৪ ডিগ্রির আশপাশে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ডিগ্রির আশপাশে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ থাকতে পারে ৮৯ শতাংশ। দক্ষিণবঙ্গের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও এই মুহূর্তেই সম্ভাবনা নেই বৃষ্টিপাতের। পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার আকাশ অপেক্ষাকৃত অধিক মেঘলা থাকবে। দক্ষিণা বাতাসের উপর ভর করে রাজ্যে প্রবেশ করেছে প্রচুর জলীয় বাষ্প। তাই তাপমাত্রা খুব একটা বেশি না বাড়লেও অস্বস্তি বাড়াবে আদ্রতা। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সেভাবে তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের কাছাকাছি থাকবে। কিন্তু, রাতের দিকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। কিন্তু, বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। এদিনও দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতেও রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। আগামী চার পাঁচ দিনে তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন হবে না বলেই জানা যাচ্ছে। মার্চেই প্রবল গরমের সাক্ষী হয়েছিল বাংলা। এপ্রিলেও হাঁসফাস করছে কলকাতাবাসী। রোদ যেন আরও কড়া হয়ে গিয়েছে। এই অসহনীয় গরম দূর করার কি কোনও উপায় নেই? বিশেষজ্ঞদের উত্তর, "দূষণ কমানো, জল সংরক্ষণ, বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি গাছ না কাটার মতো অভ্যাসগুলি তৈরি করতে হবে। তাহলেই গরম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। কিন্তু, সরকারের তরফে শুধু ঘোষণা হয়। আমরাও বারবার এই সমাধান বাৎলে দিই। কিন্তু, আদতে কিছুই হয় না। ফলত তাপমাত্রার বদল ঘটতে থাকে। তাপপ্রবাহ, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, জলোচ্ছ্বাস, বৃষ্টি সবই অতিরিক্ত হবে। পরিবেশের ভারসাম্য তো আমরাই নষ্ট করেছি।" তবে আবহাওয়াবিদ ড. সুজীব কর বলেন, “আগামী দু’একজদিনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখী হতে পারে। যদিও তা খুব একটা স্পষ্ট নয়। কিন্তু, যেভাবে রাজ্যে জলীয় বাষ্প প্রবেশ করছে তাতে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা রয়েছে।” উল্লেখ্য, আবহাওয়ার পূর্বাভাস মোতাবেক এ বছর বর্ষাও নির্ধারিত সময় প্রবেশ করবে না। রাজ্যে বর্ষা শুরু হতে হতে ২৭ জুন হয়ে যাবে। জুন মাসের ২৭ তারিখের পর বর্ষা প্রবেশ করবে। কিন্তু, বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হবে। এ বছর আর ১০ জুন বর্ষা প্রবেশ করবে না। তবে কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে এপ্রিল মাসে? এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ড. সুজীব কর বলেন, ''উত্তর ভারতে জেট ওয়েভ সক্রিয় থাকলে হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলগুলিতে তাপমাত্রা হ্রাস পায়। কিন্তু, বর্তমানে হিমালয় অঞ্চল এই বায়পু্রবাহ রেগুলেশনের বাইরেই চলে গিয়েছে। ফলে গোটা দেশেই তার প্রভাব পড়ছে। নিজের মতো করেই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।''


from এই সময়: Bengali News, Bangla News, বাংলা সংবাদ, বাংলা নিউজ, News in Bengali, কলকাতা খবর - Ei Samay https://ift.tt/ZMqgF2k
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads