দাঁতে চিপে জ্যান্ত কই মাছ ধরার চেষ্টা, গলায় ঢুকে জীবন সংশয়! https://ift.tt/RhxKSXr - MAS News bengali

দাঁতে চিপে জ্যান্ত কই মাছ ধরার চেষ্টা, গলায় ঢুকে জীবন সংশয়! https://ift.tt/RhxKSXr

গলায় সামান্য মাছের কাঁটা আটকে গেলেই যেন প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়। কিন্তু ভাবুন তো, যদি আস্ত কই মাছ গলার শ্বাসনালিতে গিয়ে আটকে যায়, তখন কি অবস্থা হয়! এরকমই একটি অবিশ্বাস্য বিরল ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর থানার লদিপুর গ্রামে। নদীতে ছিপ ফেলে মাছ ধরতে গিয়ে শ্বাসনালীতে কই মাছ আটকে গেল এক ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, ভগবানপুর থানার লদিপুর গ্রামের বাসিন্দা তাপস মাইতির গলায় মঙ্গলবার দুপুরে একটি আস্ত কই মাছ আটকে যায়। শ্বাসনালীতে কই মাছ আটকে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ৪০ বছর বয়সি তাপসবাবুর প্রবল রক্তক্ষরণ ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ভাবতে পারেননি, কই মাছ আর শ্বাসনালী থেকে বেরোবে এবং তিনি স্বাভাবিক জীবন পাবেন। তবে চণ্ডীপুর মাল্টি স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকদের চেষ্টায় দু-ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করে তাপসবাবুর শ্বাসনালী থেকে কই মাছ বের করে তাঁর প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়। এটি ‘বিরল ঘটনা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন চণ্ডীপুর মাল্টি স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের অধিকর্তা পবিত্র জানা। কিন্তু মাছ ধরতে গিয়ে কীভাবে শ্বাসনালীতে কই মাছ ঢুকল? তাপসবাবুর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার দুপুর ৩টে নাগাদ তাপস মাইতি নদীতে ছিপ ফেলে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। সেই সময় একটি জ্যান্ত কই মাছ তিনি দাঁতে চেপে রেখেছিলেন। মুহূর্তের অসতর্কতায় আচমকাই জ্যান্ত কই মাছটি সোজা তাপসবাবুর শ্বাসনালীতে ঢুকে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর প্রবল শ্বাসকষ্ট ও মুখ দিয়ে অবিরত রক্তপাত শুরু হয়। তাপসবাবুর পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা তড়িঘড়ি করে তাঁকে চণ্ডীপুর মাল্টি স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের Emergency বিভাগে নিয়ে যান। তারপর হাসপাতালের সিনিয়ার ENT সার্জন ডা. রত্নদীপ ঘোষেরর তত্ত্বাবধানে চার চিকিৎসকের একটি দল জরুরি ভিত্তিতে তাপসবাবুর গলায় অস্ত্রোপচার করেন। সেই দলে ছিলেন, সিনিয়ার সার্জেন ডা. A.K গুড়িয়া, অর্থপেডিক সার্জেন ডা. কানাইলাল জানা ও অ্যানাসথেসিস ডা. পার্থপ্রতিম দাস। তাঁদের দু-ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ট্রেডিয়োস্টোমি করে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অবশেষে তাপস মাইতির গলা থেকে আস্ত কই মাছকে বের করা হয়। বর্তমানে রোগীকে ICU-তে রাখা হয়েছে। তবে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। চিকিৎসকদের কথায়, “যদি আপৎকালীনভাবে অস্ত্রোপ্রচার না করা হতো, তা হলে তাপস মাইতির প্রাণ বাঁচানো যেত না।” সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শ্বাসনালী থেকে কই মাছ বের করায় তাপসবাবুর পুনর্জন্ম হল বলে জানান হাসপাতালের অধিকর্তা পবিত্র জানা। তিনি বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত বিরল। আমাদের ডাক্তার, নার্সদের প্রচেষ্টা যে সফল হয়েছে এবং তাতে একটি পরিবার তাদের প্রিয়জনের প্রাণ ফিরে পেল, সেটি আমাদের কাছে গর্বের। বর্তমান সময়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নততর হওয়ার জন্যই কাজটি করতে আমাদের সুবিধা হয়েছে।” চণ্ডীপুর মাল্টি স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের পরিষেবায় খুশি তাপসবাবুর পরিবার।


from এই সময়: Bengali News, Bangla News, বাংলা সংবাদ, বাংলা নিউজ, News in Bengali, কলকাতা খবর - Ei Samay https://ift.tt/yfGZrMp
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads