শেষ ম্যাচেও হার, ISL-এর চলতি মরশুম থেকে বিদায় 'লাস্ট বয়' ইস্টবেঙ্গলের https://ift.tt/YhT0iDG - MAS News bengali

শেষ ম্যাচেও হার, ISL-এর চলতি মরশুম থেকে বিদায় 'লাস্ট বয়' ইস্টবেঙ্গলের https://ift.tt/YhT0iDG

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার সম্মান রক্ষার ম্যাচ খেলতে নেমেছিল SC ইস্টবেঙ্গল। বেঙ্গালুরু FC-র বিরুদ্ধে এই ম্যাচে ১-০ গোলে হেরেই তারা চলতি মরশুমের লিগ যাত্রা শেষ করল। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন সুনীল ছেত্রী। সুনীল ছেত্রীর করা একমাত্র গোলে বেঙ্গালুরু FC-র কাছে হেরেই এই মরশুমে নিজেদের আইএসএল অভিযান শেষ করল SC ইস্টবেঙ্গল। নিয়মরক্ষার ম্যাচ থাকায় গত ম্যাচ থেকে দলে পাঁচটি বদল করেন লাল হলুদ কোচ মারিও রিভেরা। লাল হলুদ জার্সিতে অনন্ত তামাংয়ের অভিষেক হল। প্রথম নেপালি ফুটবলার হিসেবে ভারতের এক নম্বর টুর্নামেন্ট ISL মাঠে নামলেন তিনি। পাশাপাশি লাল হলুদ জার্সিতে অভিষেক হল আই লিগ জয়ী তথা মোহনবাগানের প্রাক্তনী শুভ ঘোষেরও। বেঙ্গালুরুর কাছেও ম্যাচটা ছিল নিয়মরক্ষার। কিন্তু সেই সম্মানটুকুও বাঁচাতে পারল না লাল হলুদ ব্রিগেড। ম্যাচের শুরুতেই ইস্টবেঙ্গলের সামনে গোল করার সুযোগ চলে আসে। ২ মিনিটের মাথায় বেঙ্গালুরুর রক্ষণের ভুল পাসিং করে বল পেয়ে গিয়েছিলেন শুভ ঘোষ। তবে তড়িঘড়ি শট নিতে গিয়ে তা সোজা বেঙ্গালুরু গোলরক্ষক লারা শর্মার হাতে মেরে বসেন লালহলুদ ফরোয়ার্ড। নিজের প্রথম ISL ম্যাচে এখনও পর্যন্ত বেশ প্রভাবিত করেছেন অনন্ত তামাং। ১১ মিনিটে রক্ষণের ভুল বোঝাপড়ায় বেঙ্গালুরুর ফরোয়ার্ডের পায়ে আরেকটু হলেই বল পৌঁছে যেত এবং ফাঁকা পেনাল্টি বক্সে তাঁর গোল করার সুযোগ বেশ অনেকটাই ছিল। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে ছুটে এসে সুন্দর ট্যাকেলে বল ক্লিয়ার করেন তামাং। এর ৫ মিনিট পরে রোশন সিংয়ের কর্ণার থেকে সেকেন্ড পোস্টে গোল করার বড় সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন সুনীল ছেত্রী। তবে তিনি ফ্রি-হিডার পেলেও, ঠিকঠাক বলের সঙ্গে কানেক্ট করতে পারেননি। ফলে সুযোগ হাতছাড়া হয়। ইয়াইয়ার বাড়ানো বল পেনাল্টি বক্সের ঠিক বাইরে চেস্ট ডাউন করেন সুনীল ছেত্রী। তাঁর থেকে বল কাড়ার চেষ্টা করলেও অনন্তকে হেলায় সরিয়ে দিয়ে শট নেন তিনি। শুভম সেন বলে হাত লাগালেও গোলে জড়ানো থেকে রোখার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। ১-০ এগিয়ে যায় বেঙ্গালুরু। গোল পেয়েই বদল আনে বেঙ্গালুরু। অজয় ছেত্রীর বদলে মাঠে নামলেন লিংডো। আক্রমণ বাড়ায় লাল হলুদ ব্রিগেড । তবে ৪০ মিনিটে ফের হতাশ করলেন পেরোসেভিচ। প্রতি আক্রমণ থেকে দারুণ জায়গায় বল পেয়েছিলেন পেরোসেভিচ। বল পায়ে হু হু করে বেঙ্গালুরু গোলের দিকে ছুটছিলেন তিনি। তবে ধীরে ধীরে রোশন তাঁকে গোলের থেকে দূরে নিয়ে যেতে সক্ষম হন। দ্বিতীয় পোস্টে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা শুভ ঘোষ, পাস চেয়েও তা পাননি। বরং পেরোসেভিচের শট রোশন ব্লক করে তাঁর কিছু না হলেও এই শট নিতে গিয়ে পেরোসেভিচই আহত হন। আহত হয়ে আর খেলা চালিয়ে যেতে পারলেন না পেরোসেভিচ। তাঁর বদলে মাঠে নামলেন মার্সেলো। দ্বিতীয়ার্ধে অনেক বেশি আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সেই পুরোনো রোগ গোল মিস পিছু ছাড়লো না। ৬৩ মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে পর্চের ফ্রি-কিক ভুল বুঝে মিস করে বসেন অ্যালান। তাঁর পিছন থেকে রান নেন হাওকিপ। বল দখলে এনে শট করলেই গোল হওয়ার সুযোগ ছিল। তবে এক টাচে গোল করতে গিয়ে তিনি বল গোলের অনেক উপর দিয়ে বের করে দেন। এক মিনিট পরেই ফের বেঙ্গালুরুর পেনাল্টি বক্সে বেশ ভালো ফুটওয়ার্ক দেখিয়েছিলেন মার্সেলো।


from Bengali News, Bangla News, বাংলা সংবাদ, বাংলা নিউজ, News in Bengali, কলকাতা বাংলা খবর - Ei Samay https://ift.tt/v4O1wQY
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads