নিয়ম মেনে চুল না কাটলেই আইনি ব্যবস্থা! নির্দেশিকা জারি বাংলাদেশের ভোলায় https://ift.tt/3bqRLIq - MAS News bengali

নিয়ম মেনে চুল না কাটলেই আইনি ব্যবস্থা! নির্দেশিকা জারি বাংলাদেশের ভোলায় https://ift.tt/3bqRLIq

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক : ‘শিব ঠাকুরের আপন দেশে, আইন কানুন সর্বনেশে’। সুকুমার রায়ের ‘একুশে আইন’ কবিতায় আইন ভাঙলে ‘ প্যায়াদা’ এসে কী করবে তার উল্লেখ করা আছে। এবার এক অদ্ভুত নিয়ম জারি করলেন বাংলাদেশের ভোলার চরফ্যাশনের জাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন হাওলাদার। কী ভাবে সেখানে চুল কাটতে হবে তা নিয়ে নির্দেশ জারি করেছেন তিনি। তার নির্দেশের বাইরে অন্য স্টাইলে চুল কাটলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বলেও জানিয়েছে তিনি। ওই বিজ্ঞপ্তি জাহানপুর ইউনিয়নের সর্বত্র লাগিয়ে দেওয়াও হয়েছে । ‘ জরুরী বিজ্ঞপ্তি’ বলে তাতে চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, ‘এতদ্বারা জানানো যাচ্ছে যে, ১৪ নং জাহানপুর ইউনিয়নের সকল সেলুন দোকান মালিক ও কারিগরদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, সুন্নতি কাটিং, ডিফেন্স/আর্মি কাটিং ব্যতীত অন্য কোনও কাটিং করা হলে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তবে ‘সুন্নতি কাটিং’ বা ‘আর্মি কাটিং’ কেমন হবে সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। সোমবার এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তি জারি করায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা বলছেন, এই নির্দেশ জারি করে বাংলাদেশের সংবিধানের ৩১ ও ৩২ ধারা লঙ্ঘিত হয়েছে। এদিকে ওই নির্দেশের প্রতিবাদ করায় এক কিশোরকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ছেলে তুষারের বিরুদ্ধেই উঠেছে অভিযোগের আঙুল। সম্প্রতি ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন নাজিম উদ্দিন। তার ওই নির্দেশ জারি করা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে ওই এলাকায়। এই নিয়ে নাজিম উদ্দিন হাওলাদার বলেন, ‘ আমি স্থানীয় মুসলিমদের সাথে কথা বলে ২৫ অক্টোবর ওই নোটিশ জারি করেছি। তবে ঠিক করেছি বা ভুল করেছি তা নিয়ে আমি এখন দ্বিধায় আছি। ’ ওই কিশোরকে মারধর করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলের সঙ্গে স্থানীয় এক কিশোরের বাক-বিতণ্ডা হয়েছে। তবে আমি সেটা মিটমাট করে দিয়েছি।’ ওই নির্দেশ জারি করা নিয়ে ওই উপজেলার নির্বাহী অফিসার নোমান রাহুল বলেন, ‘ কোনও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এই রকম নোটিশ জারি করতে পারেন না। এতে মানুষের ব্যক্তিগত রুচি এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হয়।’ এদিকে গতমাসেই বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের এক শিক্ষকের ১৬ জন পড়ুয়ার চুল কেটে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । ওই বিভাগের চেয়ারম্যানের সহকারী ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন চুল কেটে দেন বলে অভিযোগ। এই নিয়ে প্রতিবাদ জানায় পড়ুয়ারা। ওই ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ফারহানাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।


from Bengali News: বাংলা সংবাদ, বাংলার আজকের খবর, Latest Bangla News, Breaking Bengali News, Latest Bengali News | Eisamay https://ift.tt/3nOEtLs
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads