যাত্রী-সুরক্ষার জবাব গতির হাড়িকাঠেই? https://ift.tt/GXcmUWD - MAS News bengali

যাত্রী-সুরক্ষার জবাব গতির হাড়িকাঠেই? https://ift.tt/GXcmUWD

বাড়াতে হবে গড় গতি। তো বটেই এমনকী পণ্যবাহী ট্রেনেরও - এমনই একাধিক প্রকল্প নিয়েছিল ভারতীয় রেল। এর মধ্যে রয়েছে 'মিশন রফতার' এবং প্রধানমন্ত্রীর সাধের '' প্রকল্পও। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, তেজস এক্সপ্রেস এবং বুলেট ট্রেনের মতো একের পর এক 'সেমি হাইস্পিড' এবং 'হাইস্পিড' ট্রেন চালু করাই ছিল এই প্রকল্পগুলোর উদ্দেশ্য।এত কিছুর মধ্যে ২০১৬ সালে নেওয়া ভারতীয় রেলের অন্য একটা প্রকল্পের কথা হয়তো বেমালুম ভুলেই গিয়েছেন রেলের কর্তারা। দুর্ঘটনা কমিয়ে একেবারে শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছিল ''। সেই শপথের পর প্রায় ৮ বছর পার হয়েছে। রেলের হিসেব বলছে, একমাত্র ২০১৯ সালেই গোটা দেশে কোনও রেল দুর্ঘটনা ঘটেনি। বরং ২০২২-এর পর থেকে মুখ থুবড়ে পড়েছে মিশন জ়িরো অ্যাক্সিডেন্ট। 'আসলে গতির নেশা পেয়ে বসেছে কর্তাদের এবং মন্ত্রীদের'- মন্তব্য রেলের এক কর্মীর।সোমবার রাঙাপানির কাছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে মালগাড়ির ধাক্কা নতুন করে কাঁপিয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। এক বছর আগে ২ জুন ওডিশার বাহানাগা স্টেশনে এমন ভাবেই একই লাইনে এসে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িকে ধাক্কা মেরেছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ভয়াবহ সংঘর্ষে লাইনচ্যুত হয়েছিল এক্সপ্রেসের ২০টি কামরা। তার কয়েকটা ছিটকে পড়েছিল পাশের লাইনে। ওই লাইন দিয়ে সেই সময়ে যাচ্ছিল বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেস। তিন ট্রেনের সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছিল ২৯৭ জনের। আহত হয়েছিল ১২০০ যাত্রী। সেই দুর্ঘটনার ক'মাস পরেই বাঁকুড়ার ওন্দাগ্রাম স্টেশনে একই লাইনে এসে সংঘর্ষ হয় দুটো মালগাড়ির। সে যাত্রায় কারও প্রাণহানি হয়নি। এবার ফের একই ট্র্যাকে পরপর দু'টো ট্রেন, সংঘর্ষ এবং প্রাণহানি।কেন এমন হচ্ছে?অল ইন্ডিয়া রেলওয়েমেন্স ফেডারেশনের (এআইআরএফ) সহকারী সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষের কথায়, 'শুধু ২০১৮ সালে গোটা দেশের সব ক'টি জ়োন মিলিয়ে ছোটবড় ১৮টি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। এর মধ্যে চলন্ত ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনা থেকে শুরু করে কামরা লাইনচ্যুত হওয়া - সব কিছুই ঘটেছে। শুধু ২০২৩ সালে রেল দুর্ঘটনায় সাড়ে তিনশোর বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। এর পরেও ২০২৪-এ নির্বাচনের আগের বেশ কয়েক মাস ধরে রেলকে ব্যবহার করা হলো শুধু প্রচারের কাজে। সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও সময়ানুবর্তিতা - রেল পরিষেবার তিনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে উপেক্ষা করে মন দেওয়া হয়েছিল নানা উদ্বোধনে।'রেলকর্মীদের একটা বড় অংশই এই অভিযোগকে সমর্থন করে বলছেন, 'কর্তাদের নজর এখন বেশি ভাড়ার প্রিমিয়াম ট্রেনগুলোর ওপরে। এই সব ট্রেনের ভাড়া ১১০০-১২০০ দিয়ে শুরু। সাধারণ মানুষ যে ট্রেনে ১০০-২০০ টাকায় যেতে পারেন, সেই সব ট্রেন নিয়ে ভাবার সময় কোথায় ওঁদের? বিলাস আর স্বাচ্ছন্দ্যে নজর দিতে গিয়ে তাই বলি দেওয়া হয়েছে সুরক্ষা আর নিরাপত্তাকে।' রেলকর্মীরাই জানাচ্ছেন, গোটা দেশে বিভিন্ন প্রিমিয়াম ট্রেন পরিষেবার মধ্যে শুধু বন্দে ভারতের জন্যই রেল বাজেটে ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে। একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস তৈরিতে খরচ হয় প্রায় ১০৫ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি রেল ট্র্যাককে বন্দে ভারতের উপযুক্ত করে তুলতেও কোটি কোটি টাকা খরচ করছে কেন্দ্র। ২০২২-এর সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ মার্চ পর্যন্ত ৪৯টি নতুন রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু করা হয়েছে। আর ওই সময়ের মধ্যে ট্রেন দুর্ঘটনার সংখ্যা ২২। এর মধ্যে সব ক'টায় যে প্রাণহানি হয়েছে তা নয়। কিন্তু দুর্ঘটনা তো দুর্ঘটনাই। কোথাও একটা গাফিলতি ছিল বলেই তো এমন হয়েছে।


from Bengali News, বাংলা নিউজ, Read Latest Bengali News, টি-২০ বিশ্বকাপ, Bangla News, Ajker Bangla Khabar - Eisamay https://ift.tt/7qX0Tb3
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads