পদ্মের সাংগঠনিক নির্বাচনে কি ‘ওল্ড’ উইল বি ‘গোল্ড’ https://ift.tt/4S7zOVM - MAS News bengali

পদ্মের সাংগঠনিক নির্বাচনে কি ‘ওল্ড’ উইল বি ‘গোল্ড’ https://ift.tt/4S7zOVM

মণিপুস্পক সেনগুপ্ত, এই সময় আরএসএসের উপর বিজেপি কতটা নির্ভরশীল? লোকসভা ভোটের প্রচারপর্বে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডাকে প্রশ্নটা করেছিলেন জনৈক সাংবাদিক। বডি ল্যাঙ্গুয়েজে ভরপুর আত্মবিশ্বাস ফুটিয়ে তুলে নাড্ডা জবাব দিয়েছিলেন, ‘অতীতে (অটলবিহারী বাজপেয়ীর সময়ে) বিজেপি দল হিসেবে ছোট ছিল। অক্ষম ছিল। এখন বিজেপি পরিণত এবং সক্ষম। তাই বিজেপি-ই বিজেপিকে চালাতে পারে।’সেদিন নাড্ডার এই ‘আত্মবিশ্বাস’-এর কোনও প্রত্যুত্তর রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের দিক থেকে ভেসে আসেনি। হয়তো তারাও ভোটের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছিল। সূত্রের খবর, গত দু’দফার নরেন্দ্র মোদীর জমানায় বিজেপি আদৌ কতটা পরিণত হয়েছে, তা এ বার দাঁড়িপাল্লায় মাপার তোড়জোড় শুরু করেছে সঙ্ঘ। গত কয়েকদিনে সঙ্ঘের বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ থেকেই তা স্পষ্ট। দু’দিন আগে নাগপুর থেকে নরেন্দ্র মোদীদের কড়া বার্তা দিয়েছিলেন সুপ্রিমো মোহন ভাগবত। এ বার আরএসএস মুখপত্র ‘অর্গানাইজার’-এর সাম্প্রতিকতম সংখ্যাতেও একই মনোভাব ব্যক্ত হয়েছে। লোকসভা ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করতে গিয়ে আরএসএসের প্রবীণ নেতা রতন শারদা তাঁর নিবন্ধে লিখেছেন, ‘বিজেপি নেতা-কর্মীরা সঙ্ঘের স্বয়ংসেবকদের নির্বাচনে গুরুত্ব দেননি, তার পরিণতি ভোটের ফলাফলেই দেখা গিয়েছে।’ অর্থাৎ, বিজেপি যে এখনও আরএসএসের সহযোগিতা ছাড়া একা চলতে পারে না, মুখপত্রে নাড্ডাদের সে কথাই স্মরণ করিয়ে দিয়েছে সঙ্ঘ। শুধু বিজেপির বর্তমান নেতৃত্বকে খোঁচা দেওয়ার মধ্যেই আরএসএসের উষ্মা আগামিদিনে সীমাবদ্ধ থাকবে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, এ বার শক্ত হাতে বিজেপির রাশ টানার ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে সঙ্ঘে।মোদীর নতুন মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন নাড্ডা। ফলে দলীয় গঠনতন্ত্র মেনে অচিরেই তাঁকে সরে যেতে হবে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির পদ থেকে। তাঁর ছেড়ে যাওয়া চেয়ারে কে বসবেন, তা নিয়ে জোর চর্চাও চলছে রাজনৈতিক মহলে। তবে একটা বিষয়ে স্পষ্ট যে, বিজেপির নতুন সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে এ বার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে আরএসএস। এমন কাউকেই তাঁরা আর বিজেপির সভাপতির চেয়ারে বসতে দেবেন না, যিনি নাড্ডার মতো আরএসএসের ভূমিকা মানতে চাইবেন না।এ বারের ভোটে দলের পুরোনো নেতা-কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে বিজেপির ভিতরেই অভিযোগ উঠেছে। বাংলার আরএসএস ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ কোনও রাখঢাক না করে প্রকাশ্যেই বিজেপির একাংশের বিরুদ্ধে পুরোনো কর্মীদের অবহেলা করার অভিযোগ তুলেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ওল্ড ইজ গোল্ড’ লিখে বঙ্গ-বিজেপির পুরোনো কর্মীদের একজোট হওয়ার বার্তাও তিনি দিয়ে রেখেছেন। দিলীপের অভিযোগের সারবত্তা যেন খুঁজে পেয়েছে আরএসএসও। ‘অর্গানাইজার’-এ শারদ তাঁর নিবন্ধের এক জায়গায় লিখেছেন, ‘যাঁরা কোনও স্বীকৃতির তোয়াক্কা না করে কাজ করে যান, এমন পুরোনো নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের উপেক্ষা করা হয়েছে। তাঁর বদলে নতুন সময়ের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে থাকা কর্মীদেরই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ভোটে তার ফল মিলেছে হাতেনাতে।’ আরএসএস-এর রণং-দেহি মনোভাব দেখে বিজেপির অনেকেরই ধারণা, আগামীতে আরএসএস সব থেকে বেশি জোর দেবে, বিজেপির পুরোনো নেতা-কর্মীদের মাঠে নামানোর উপর। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই দেশের সব রাজ্যে বিজেপির সাংগঠনিক স্তরেও বদল হবে। সেপ্টেম্বরে বিজেপিতে সাংগঠনিক নির্বাচন হওয়ার কথা আছে। লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে আরএসএস যেভাবে আসরে নেমেছে, তাতে বিজেপিতে সঙ্ঘর অনুমোদন ছাড়া একটি পাতাও আর নড়বে না বলে মনে করছেন পদ্মের অনেকে। এক বর্ষীয়ান বিজেপি নেতার কথায়, ‘পার্টিতে কোনও সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সেটা আরএসএস নেতৃত্বকে ছুঁয়ে রাখাটাই রীতি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আরএসএস থেকে কোনও মতামত চাপিয়ে দেওয়া হয় না। কিন্তু আমাদের পার্টির বর্তমান নেতৃত্ব সেটাকেই দস্তুর বলে ধরে নিয়েছেন। তাই এ বার উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং পশ্চিমবঙ্গে আরএসএসের পছন্দ-অপছন্দকে গুরুত্ব না দিয়ে টিকিট বিলি করেছে। এ বার আরএসএস লাগাম টানতে চলেছে।’


from Bengali News, বাংলা নিউজ, টি-২০ বিশ্বকাপ, Bangla News, Ajker Bangla Khabar - Eisamay https://ift.tt/Q2gbPca
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads