রিমেলের ভ্রূকুটি! মোকাবিলায় প্রস্তুত জেলা প্রশাসন, সুন্দরবনে পৌঁছল এনডিআরএফ https://ift.tt/LneI3ip - MAS News bengali

রিমেলের ভ্রূকুটি! মোকাবিলায় প্রস্তুত জেলা প্রশাসন, সুন্দরবনে পৌঁছল এনডিআরএফ https://ift.tt/LneI3ip

এই সময়, কাকদ্বীপ ও গোসাবা: উম্পুন, ইয়াসের পর সুন্দরবনের শিয়রে আরও একটি দুর্যোগ। ঘূর্ণিঝড় রিমেলের সতর্কবার্তা পাওয়ার পর থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সমস্ত রকম প্রস্তুতি নিচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। শনিবার কাকদ্বীপ মহকুমা প্রশাসন ভবনে রিমেল মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, সুন্দরবনের পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও ও ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার আধিকারিকরা। পরিস্থিতি খারাপের দিকে এগোলে উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সে জন্য সাইক্লোন ও ফ্লাড সেন্টার-সহ আশেপাশের এলাকার স্কুলগুলিকে খুলে রাখা হয়েছে। ত্রাণ সামগ্রী-সহ শুকনো খাবার এবং শিশুদের জন্য গুঁড়ো দুধেরও ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সুন্দরবনের উপকূল এলাকায় সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে।এ দিন সকালে এনডিআরএফের চারটি দল দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পৌঁছেছে। একটি দল রয়েছে গোসাবায় এবং অন্য দুটি দল রয়েছে কাকদ্বীপ এবং গঙ্গাসাগরে। এ দিন সকাল থেকে সুন্দরবনের উপকূল এলাকা রোদ ঝলমলে থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ ঘন মেঘে ঢেকে যায়। দুপুরের দিকে বেশ কিছু জায়গায় ঝোড়ো বাতাস-সহ মুষলধারে বৃষ্টি হয়। পূর্ণিমার কোটালের জেরে নদী ও সমুদ্রে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে জোয়ারের সময় বাঁধ উপচে জল ঢোকার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ দিন সাগর, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি-সহ উপকূল এলাকায় সতর্কতা প্রচার চালায় পুলিশ। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ইতিমধ্যে উপকূলের ব্লকগুলিতে খোলা রয়েছে কন্ট্রোলরুম। সতর্ক করা হয়েছে পঞ্চায়েতগুলোকে। বিডিও অফিসের পাশাপাশি প্রতিটি পঞ্চায়েতে ত্রাণ সামগ্রী মজুত রাখা হয়েছে। আজ, রবিবার বেলা ১০টার পর থেকে পরিস্থিতি বুঝে সুন্দরবনের সমস্ত ফেরি সার্ভিস সোমবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।উপকূল এলাকার প্রত্যেকটি ব্লক হাসপাতালে একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেই নম্বরে ফোন করলে স্বাস্থ্যকর্মীরা এলাকায় গিয়ে রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে আসবেন। জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, 'ইতিমধ্যে প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। জেলা সদরে একটি বিশেষ কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। প্রতিটি ব্লকের কন্ট্রোলরুমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হবে।'জোয়ারে জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং বৃষ্টির জেরে নদী এবং সমুদ্রের বেহাল মাটির বাঁধ নরম হয়ে যাচ্ছে। ফলে দুর্যোগ আছড়ে পড়ার পর ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে বাঁধ ভেঙে নতুন করে প্লাবনের আশঙ্কা করছেন সুন্দরবনের বাসিন্দারা। উম্পুন ও ইয়াসের সময় বিঘের পর বিঘে চাষ জমি নোনাজলে প্লাবিত হয়েছিল। ভেঙে গিয়েছিল বহু বাঁধ। সেই ক্ষত সেরে উঠতে না উঠতেই নতুন ঘূর্ণিঝড় আসার খবরে চিন্তায় উপকূলের মানুষ। গোসাবা ব্লক এলাকায় ৯টি দ্বীপে ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারাও উদ্বিগ্ন। গোসাবার বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার মানুষকে বিশেষ করে নদীর ধারে থাকা গ্রামগুলির বাসিন্দাদের ঝড়ের সময় নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার কথা প্রশাসন থেকে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে। এ দিন যে এলাকায় নদীবাঁধগুলির অবস্থা খারাপ তা পরিদর্শন করে সেচ দপ্তর। বিডিও অফিস থেকে ত্রাণ পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন পঞ্চায়েতে। তবে গোসাবায় এ দিন কোনও বৃষ্টি হয়নি। কড়া রোদ ছিল। অতীতের অভিজ্ঞতা নিয়ে ঝড়ের আগেই সুন্দরবনের দুর্গম অঞ্চলে থাকা রেঞ্জ, বিট কিংবা ভাসমান ক্যাম্প অফিসগুলিতে ব্যবস্থা নিয়েছে বনদপ্তর। সোলার লাইট, প্যানেল, যন্ত্রপাতির ক্ষতি আটকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি এলাকায় মোতায়েন থাকা কর্তব্যরত বন কর্মীদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্যোগের সময় যাতে কোনও ভাবে বাঘ, হরিণ, বন্য শূকর, কুমির লোকালয়ে ঢুকে না পড়ে, সেই জন্য বন দপ্তরের পক্ষ থেকে বিশেষ টিম তৈরি রাখা হয়েছে।


from Bengali News, বাংলা নিউজ, Bangla News, Ajker Bangla Khabar, Latest Bengali News - Eisamay https://ift.tt/JxEIt3H
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads