আসানসোলে সিপিএম প্রার্থী শ্রমিক নেত্রী জাহানারা খান https://ift.tt/9b2OySB - MAS News bengali

আসানসোলে সিপিএম প্রার্থী শ্রমিক নেত্রী জাহানারা খান https://ift.tt/9b2OySB

এই সময়, আসানসোল ও কালনা: আংশিক প্রার্থী ঘোষণা করল সিপিএম। রাজ্যের মোট ১৬টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে বামেদের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকায় নাম রয়েছে আসানসোল, বর্ধমান পূর্ব, বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুরের। আসানসোলে এবার প্রার্থী করেছে জামুড়িয়ায় তাদের দু’বারের বিধায়ক বছর ৫৫-র জাহানারা খানকে। পূর্ব বর্ধমান থেকে সিপিএম দাঁড় করিয়েছে নীরব খাঁকে। ২০২১-এর বিধানসভায় প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলেন নীরব। রাঢ়বঙ্গের বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর কেন্দ্র দু’টিতে সিপিএম প্রার্থী করেছে নিলাঞ্জন দাশগুপ্ত ও শীতল কৈবর্ত্যকে। এদিন আসানসোলের প্রার্থী ঘোষণার পরেই সিপিএমের সমস্ত স্তরের শাখা সংগঠন ও কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা যায়। শুরু হয়ে যায় বিভিন্ন জায়গায় মিছিল। মিঠাপুর থেকে নাগেশ্বর কোলিয়ারি হয়ে বীজপুর, জামুড়িয়া বাজার থেকে থানা মোড়, খাস কেন্দা থেকে নজরুল পাড়া পর্যন্ত পর পর মিছিল বার হয়। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়। তার পর ২০২২-এর উপনির্বাচনে প্রার্থী হন পার্থ মুখোপাধ্যায়। দু’জনেই প্রায় এক লাখের কাছাকাছি ভোট পান।এই লোকসভা কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা প্রায় ২৩ লক্ষ, যার মধ্যে ৪৯ শতাংশ মহিলা ভোটার। জাহানারাকে প্রার্থী করার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তিনি একেবারে কোলিয়ারির বাসিন্দা। একসময়ে জামুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি ছিলেন। ২০১১ ও ২০১৬ সালে তিনি বিধায়ক নির্বাচিত হন। শ্রমিক আন্দোলনে তিনি বরাবর প্রথম সারিতে ছিলেন। সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কের একটি অংশ তাঁর পক্ষে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। জাহানারা বলেন, ‘বেকার যুবকদের চাকরি, মানুষের রুটি-রুজির সংগ্রাম, একের পর এক কয়লাখনি বন্ধের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন প্রচারের অন্যতম ইস্যু হবে। সন্দেশখালি সমেত রাজ্যে নারী নির্যাতনের বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসবে।’পূর্ব বর্ধমানে সিপিএম প্রার্থী কালনার ধর্মডাঙা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নীরব খাঁ। সিপিএমের শিক্ষক সংগঠন এবিপিটিএর তিনি জেলা সম্পাদক। ২০২১ সালে কালনা বিধানসভা কেন্দ্রে ১৯ হাজারের মতো ভোট পেয়েছিলেন তিনি। প্রার্থী হওয়ার পর তিনি বলেন, ‘লড়াই বিজেপি ও তৃণমূলের গটআপের বিরুদ্ধে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা প্রচার চালাব।’বাঁকুড়া শহরের বাসিন্দা নীলাঞ্জন দাশগুপ্ত পেশায় আইনজীবী। তিনি বামেদের আইনজীবী সংগঠনের নেতা। সিপিএমের বাঁকুড়া পূর্ব এরিয়া কমিটির সদস্যও তিনি। এর আগে বাঁকুড়া বিধানসভায় একবার উপনির্বাচনে লড়াই করেছিলেন নীলাঞ্জন। অন্য দিকে, বিষ্ণুপুরের সিপিএম প্রার্থী শীতল কৈবর্ত্য জয়পুরের বাসিন্দা। তিনি জয়পুর রাজগ্রাম হাইস্কুলের শিক্ষক। সিপিএমের এরিয়া কমিটির নেতা। রয়েছেন বামেদের শিক্ষক সংগঠনেও। বিগত দিনে ইনিও কোতুলপুর বিধানসভায় প্রার্থী হয়েছিলেন।


from Bengali News, Latest Bangla Sangbad, News in Bengali, বাংলা খবর - Ei Samay https://ift.tt/cejJvYp
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads