মৌচাকে ঠুকরে গেল বাজপাখি, তাতে মৌমাছির হুল খেল মানুষ https://ift.tt/ItcMXHC - MAS News bengali

মৌচাকে ঠুকরে গেল বাজপাখি, তাতে মৌমাছির হুল খেল মানুষ https://ift.tt/ItcMXHC

এই সময়, কাটোয়া: মাঝ আকাশের বাজপাখি নেমে এসেছিল মৌচাক থেকে মৌমাছি খেতে। আর তাতেই ধুন্ধুমার কাণ্ড। বাজপাখির টিকিও ছুঁতে পারল না মৌমাছিরা কিন্তু, তাদের রাগ গিয়ে পড়ল মানুষের উপর। ইট মারলে পাটকেল খেতে হয়। যদিও ইট না মেরেই পাটকেল খেয়ে গেলেন কাটোয়া ২ ব্লকের নওয়াপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরা।মৌমাছির হুলের জ্বালায় এক জনকে দেড় দিন ধরে ভর্তি থাকতে হচ্ছে হাসপাতালে। শরীরে তীব্র ব্যথা নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে আরও ১৫ জনকে। কাটোয়া ২ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চত্বরে রয়েছে বেশ পুরোনো একটি বটগাছ। সেখানেই বাসা বেঁধেছে একঝাঁক পাহাড়ি মৌমাছি। কেউ মৌমাছিদের বিরক্ত করে না, মৌমাছিরাও নিজের আনন্দে মধু খেয়ে বেড়ায়। কাউকে হুলও ফোঁটায় না। সমস্যা বাঁধাল একটি বাজপাখি। মৌমাছির চাকের দিকে তার নজর পড়ে। সোমবার দুপুরে সেই চাকে ঠোকর মেরে মৌমাছি খেতে যায় শিকারি পাখিটি। চাকে ঠোকর পড়তেই ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি উড়তে শুরু করে। বিপদ বুঝে নিজেকে বাঁচাতে বাজপাখি চম্পট দিলেও রেহাই পাননি প্রসেনজিৎ প্রধান, উত্তম ঘোষ, রজত দাসরা। হাসপাতালে নানা কাজে আসতে হয় তাঁদের। আচমকা কোনও কারণ ছাড়া বেমক্কা মৌমাছির হুলে তাঁরা জর্জরিত। প্রসেনজিৎ জলের ব্যবসা করেন। স্টাফ কোয়ার্টারে জল দিয়ে ওই সময়েই তিনি সেই বটগাছের নিচ দিয়ে ফিরছিলেন। মৌমাছিরা প্রথম টার্গেট করে তাঁকেই। প্রায় খান ১৫-২০ মৌমাছি তাঁকে ছেঁকে ধরে হুল ফোঁটায়। তিনি যন্ত্রণায় তীব্র আর্তনাদ করে উঠলে তখন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উপস্থিত অন্যরা ছুটে আসেন। তাঁদেরও হুল ফোটাতে থাকে মৌমাছি। সবাই সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঢুকে পড়েন। ঘণ্টাখানেক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রাখা হয় প্রসেনজিৎকে। চিকিৎসার পর ওই দিন দুপুরে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু সন্ধ্যার দিকে তাঁর শরীর বেশ খারাপ হয়ে যায়। বমি ভাব হতে থাকে, গা-হাত জ্বালাও করতে থাকে। তাই ফের হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। মঙ্গলবারও হাসপাতালে ছিলেন তিনি। বলেন, ‘আমি গাছের তলা দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ একঝাঁক মৌমাছি তেড়ে এসে যেখালে পারল হুল ফোঁটাল। প্রচণ্ড কষ্ট পাচ্ছি।’ হুল ফুটেছে রজত দাস, উত্তম ঘোষের শরীরেও। দু’জনেই এসেছিলেন ওষুধ নিতে। বলেন, ‘ওষুধ নিচ্ছিলাম। তখনই বাজপাখিটা মৌমাছির চাকে ঠুকরে সর্বনাশ করে দিল। আমরা কামড় খেয়ে মরলাম। পাখির অপরাধের সাজা পেলাম আমরা।’ উদ্বিগ্ন রোগীর আত্মীয়রা। হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর আত্মীয় অনিল দাস বলেন, ‘রীতিমতো চিন্তা হচ্ছে। হাসপাতালে বহু রোগী ও শিশু ভর্তি। তাদের কামড়ে দিলে মারাত্মক ব্যাপার হবে।’ কাটোয়া ২ ব্লকের বিএমওএইচ নিসার হোসেন শাহ বলেন, ‘বটগাছ থেকে মৌচাকটি সরাতে হবে। তার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে আমরা কথা বলছি।’ এদিকে বন দপ্তর জানিয়েছে, মৌমাছি তাদের আওতায় পড়ে না। ফলে ত্রাতা হবে কোন দপ্তর, তাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।


from Bengali News, Latest Bangla Sangbad, News in Bengali, বাংলা খবর - Ei Samay https://ift.tt/n6NOqt1
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads